ঢাকা ০৩:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

চাহিদার শীর্ষে মাঝারি গরু

  • আপডেট সময় : ০২:৩১:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ জুলাই ২০২১
  • ৯৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : এক দিন বাদেই মুসলমানদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। এরই মধ্যে জমে উঠেছে রাজধানীর পশুর হাটগুলো। বাজারে ছোট, বড় নানান ধরনের গরু থাকলেও এবার ক্রেতাদের চাহিদার শীর্ষে রয়েছে মাঝারি আকারের গরু। গতকাল সোমবার রাজধানীর কয়েকটি পশুর হাট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পশু বিক্রির ব্যস্ততা বেড়েছে সব হাটেই। ঈদ ঘনিয়ে আসতেই বাজারে বেড়েছে ক্রেতাদের আনাগোনা। এরমধ্যে রাজধানীর গাবতলী পশুর হাটে সবচেয়ে বেশি ব্যস্ততা দেখা গেছে। স্থায়ী হাটটিতে বিক্রি শুরু হয়েছে আরও এক সপ্তাহ আগে থেকেই। বাজারে নানা রঙের ছোট, বড়, মাঝারি গরু। যুবরাজ, মনু, কালা পাহাড়, বিট্টু, জামাইবাবু, রাজা বাদশাসহ অনেক নামের দেশী-বিদেশি জাতের গরুর বিপুল সমাহার। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বড় গরুগুলোর নামকরণ করা হয়েছে। তবে আকর্ষণীয় নামকরণ থাকলেও ক্রেতাদের আকর্ষণ করছে মাঝারি গরুগুলো। ক্রেতারা বড় গরু রেখে ভিড় করছেন মাঝারি গরুগুলোর পাশে। করছেন দরদাম। বিক্রেতার সাথে ক্রেতার মতের মিল হলেই কিনে নিচ্ছেন পছন্দের গরুটি।
এদিকে রাজধানী গাবতলীর হাসিল ঘরগুলোর সামনেও দেখা গেছে মাঝারি গরু কিনে এনে ভিড় করছেন ক্রেতারা। নাটোর থেকে পাঁচটি গরু নিয়ে গাবতলী হটে এসেছেন নাজমুল। তিনি বলেন, এলাকা থেকে ৫টি গরু নিয়ে এসেছিলাম। তিনটি মাঝারি ও দুটি বড়। মাঝারি গরু তিনটিই বিক্রি হয়ে গেছে। বড় গরু দুটিরও দরদাম হয়েছে; কিন্তু এখনও বিক্রি হয়নি। ক্রেতারা দামদর করে চলে যাচ্ছে। অন্য এক বিক্রেতা মাহিদ। এসেছেন কুষ্টিয়া থেকে। তিনি বলেন, চারটি বড় গরু নিয়ে এসেছি। এখন পর্যন্ত ২টি বেঁচতে পারছি। বড় গরুর চাহিদা কম। হাতেগোনা কিছু মানুষ বড় গরু কিনছেন। মানুষ এসে দামাদামি করছেন ঠিকই; কিন্তু নিচ্ছেন মাঝারি গরু।
হাট ছাড়াও রাজধানীর মোড়ে মোড়ে ছাগল বিক্রি : রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের পশুর হাট ছাড়াও রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে ছাগল বিক্রি হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ব্যবসায়ীরা প্রতিবারের মতো এবারও ছাগল নিয়ে এসেছেন। আর ঈদুল আজহার ঠিক আগে আগে বিক্রিও ভালো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। তবে ক্রেতারা দাবি করছেন, অন্যান্য বারের তুলনায় এবার ছাগলের দাম একটু বেশি।
গতকাল সোমবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঝিনাইদহ, গাজীপুর, সিরাজগঞ্জ ও বগুড়া থেকে সবচেয়ে বেশি ছাগল এনেছেন ব্যবসায়ীরা। মিরপুরের চৌরাস্তায় দুটি ছাগল নিয়ে এসেছেন শরিফুল ইসলাম। ঝিনাইদহ থেকে আনা তার দুটি ছাগলের দাম চাচ্ছেন ১ লাখ টাকা। তিনি বলেন, দুটি ছাগলের ওজন হবে ১০০ কেজি। তবে ক্রেতারা ৬০ হাজার টাকা দাম করছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি দুটি ছাগলই এনেছি। রাস্তায় আসতে কোনো সমস্যা হয়নি।’
গতকাল সোমবার ২৬টি ছাগল নিয়ে নতুনবাজারের মোড়ে এসেছেন বগুড়ার পাঁচজন। এসব ছাগলের মধ্যে বিকেল পর্যন্ত দুটি ছাগল বিক্রি করেছেন তারা। সেখানকার মো. এরফান নামে একজন বলেন, ‘আমার কাছে ৭০ কেজির একটি ছাগল আছে। এটিই সবচেয়ে বড়। এটির দাম চাচ্ছি ৮০ হাজার টাকা। সকাল পর্যন্ত আমাদের দুটি ছোট ছাগল বিক্রি করেছি। তবে মাত্র দুই হাজার টাকা লাভ হয়েছে। আর পুলিশ আমাদের বাধা দিচ্ছে, হাঁটে যেতে বলছে। কিন্তু হাঁটে নিয়ে পোষায় না। তাই আমরা মোড়ে মোড়ে ছাগল বিক্রি করি।’ তবে বারিধারা ডি ব্লকের ক্রেতা আরিফুল হক বলেন, ‘ছাগলের দাম খুব বেশি চাওয়া হচ্ছে। তাই এখনো কিনতে পারিনি। কেবল দরদাম করছি।’
মানিক মিয়া এভিনিউয়ে এমপি ভবনের সামনে অনেকেই ছাগল নিয়ে এসেছেন। সেখানে একজন এমপির হয়ে ছাগল কিনছিলেন আবদুল হালিম। তিনি বলেন, ‘এমপি স্যার দেশেও কোরবানি দেবেন। ঢাকার জন্য ১৫ হাজার টাকা দিয়ে একটি ছাগল কিনলাম। গতবারের চেয়ে এবার ছাগলের দাম বেশি মনে হয়েছে।’ সিরাজগঞ্জ থেকে সেখানে আসা মোবারক হোসেন বলেন, ‘আমি ছাগল লালনপালন করি না। গ্রাম থেকে ছাগল কিনে কোরবানির সময় ঢাকায় এনে বিক্রি করি। আজ সকাল থেকে সাতটি ছাগল বিক্রি করেছি, এখানে বিক্রি ভালোই হচ্ছে। আগামীকাল ঈদের আগের দিন সবচেয়ে বেশি ছাগল বিক্রি হবে।’
স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘনে গাবতলী হাটকে ১০ লাখ জরিমানা : করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যেও জমে উঠা রাজধানীর গাবতলী পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের নির্দেশে হাট কর্তৃপক্ষের জারিমানা করা হয়। পশুর হাটে সরকারি নির্দেশনাসহ স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে না মানলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই বাজার সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন মেয়র।
গতকাল সোমবার সকালে গাবতলী হাট পরিদর্শনে যান ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম। এ সময় স্বাস্থ্যবিধি ভঙের দৃশ্য দেখে হাট কর্তৃপক্ষের ১০ লাখ টাকা জরিমানা করতে ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দেন তিনি। এছাড়া এক ঘণ্টার জন্য একটি হাসিল ঘর বন্ধ করে দেন। ঈদের দুই দিন আগে গাবতলীসহ সব হাটে কোরবানির পশু বিক্রি বেড়েছে। হাটে আসছে প্রচুর ক্রেতা-বিক্রেতা। তবে স্বাস্থবিধি মেনে হাট বসানো কথা থাকলেও কোনো হাটেই ক্রেতা বিক্রেতাদের মধ্যে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি নিয়ন্ত্রিত অস্থায়ী হাটগুলোতেও কুরবানির পশু বিক্রি হচ্ছে অনেক। দুই সিটি মিলিয়ে ২৩টি অস্থায়ী হাট বসার কথা থাকলেও কোভিড-১৯ মহামারির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তিনটি হাট বন্ধ ঘোষণা করে দক্ষিণ সিটি। এখন দক্ষিণে নয়টি ও উত্তরে ১০টি অস্থায়ী হাট বসেছে। উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় অস্থায়ী হাট বসেছে নয়টি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আবু সাঈদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে গণঅভ্যুত্থানের সূচনা

চাহিদার শীর্ষে মাঝারি গরু

আপডেট সময় : ০২:৩১:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ জুলাই ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : এক দিন বাদেই মুসলমানদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। এরই মধ্যে জমে উঠেছে রাজধানীর পশুর হাটগুলো। বাজারে ছোট, বড় নানান ধরনের গরু থাকলেও এবার ক্রেতাদের চাহিদার শীর্ষে রয়েছে মাঝারি আকারের গরু। গতকাল সোমবার রাজধানীর কয়েকটি পশুর হাট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পশু বিক্রির ব্যস্ততা বেড়েছে সব হাটেই। ঈদ ঘনিয়ে আসতেই বাজারে বেড়েছে ক্রেতাদের আনাগোনা। এরমধ্যে রাজধানীর গাবতলী পশুর হাটে সবচেয়ে বেশি ব্যস্ততা দেখা গেছে। স্থায়ী হাটটিতে বিক্রি শুরু হয়েছে আরও এক সপ্তাহ আগে থেকেই। বাজারে নানা রঙের ছোট, বড়, মাঝারি গরু। যুবরাজ, মনু, কালা পাহাড়, বিট্টু, জামাইবাবু, রাজা বাদশাসহ অনেক নামের দেশী-বিদেশি জাতের গরুর বিপুল সমাহার। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বড় গরুগুলোর নামকরণ করা হয়েছে। তবে আকর্ষণীয় নামকরণ থাকলেও ক্রেতাদের আকর্ষণ করছে মাঝারি গরুগুলো। ক্রেতারা বড় গরু রেখে ভিড় করছেন মাঝারি গরুগুলোর পাশে। করছেন দরদাম। বিক্রেতার সাথে ক্রেতার মতের মিল হলেই কিনে নিচ্ছেন পছন্দের গরুটি।
এদিকে রাজধানী গাবতলীর হাসিল ঘরগুলোর সামনেও দেখা গেছে মাঝারি গরু কিনে এনে ভিড় করছেন ক্রেতারা। নাটোর থেকে পাঁচটি গরু নিয়ে গাবতলী হটে এসেছেন নাজমুল। তিনি বলেন, এলাকা থেকে ৫টি গরু নিয়ে এসেছিলাম। তিনটি মাঝারি ও দুটি বড়। মাঝারি গরু তিনটিই বিক্রি হয়ে গেছে। বড় গরু দুটিরও দরদাম হয়েছে; কিন্তু এখনও বিক্রি হয়নি। ক্রেতারা দামদর করে চলে যাচ্ছে। অন্য এক বিক্রেতা মাহিদ। এসেছেন কুষ্টিয়া থেকে। তিনি বলেন, চারটি বড় গরু নিয়ে এসেছি। এখন পর্যন্ত ২টি বেঁচতে পারছি। বড় গরুর চাহিদা কম। হাতেগোনা কিছু মানুষ বড় গরু কিনছেন। মানুষ এসে দামাদামি করছেন ঠিকই; কিন্তু নিচ্ছেন মাঝারি গরু।
হাট ছাড়াও রাজধানীর মোড়ে মোড়ে ছাগল বিক্রি : রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের পশুর হাট ছাড়াও রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে ছাগল বিক্রি হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ব্যবসায়ীরা প্রতিবারের মতো এবারও ছাগল নিয়ে এসেছেন। আর ঈদুল আজহার ঠিক আগে আগে বিক্রিও ভালো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। তবে ক্রেতারা দাবি করছেন, অন্যান্য বারের তুলনায় এবার ছাগলের দাম একটু বেশি।
গতকাল সোমবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঝিনাইদহ, গাজীপুর, সিরাজগঞ্জ ও বগুড়া থেকে সবচেয়ে বেশি ছাগল এনেছেন ব্যবসায়ীরা। মিরপুরের চৌরাস্তায় দুটি ছাগল নিয়ে এসেছেন শরিফুল ইসলাম। ঝিনাইদহ থেকে আনা তার দুটি ছাগলের দাম চাচ্ছেন ১ লাখ টাকা। তিনি বলেন, দুটি ছাগলের ওজন হবে ১০০ কেজি। তবে ক্রেতারা ৬০ হাজার টাকা দাম করছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি দুটি ছাগলই এনেছি। রাস্তায় আসতে কোনো সমস্যা হয়নি।’
গতকাল সোমবার ২৬টি ছাগল নিয়ে নতুনবাজারের মোড়ে এসেছেন বগুড়ার পাঁচজন। এসব ছাগলের মধ্যে বিকেল পর্যন্ত দুটি ছাগল বিক্রি করেছেন তারা। সেখানকার মো. এরফান নামে একজন বলেন, ‘আমার কাছে ৭০ কেজির একটি ছাগল আছে। এটিই সবচেয়ে বড়। এটির দাম চাচ্ছি ৮০ হাজার টাকা। সকাল পর্যন্ত আমাদের দুটি ছোট ছাগল বিক্রি করেছি। তবে মাত্র দুই হাজার টাকা লাভ হয়েছে। আর পুলিশ আমাদের বাধা দিচ্ছে, হাঁটে যেতে বলছে। কিন্তু হাঁটে নিয়ে পোষায় না। তাই আমরা মোড়ে মোড়ে ছাগল বিক্রি করি।’ তবে বারিধারা ডি ব্লকের ক্রেতা আরিফুল হক বলেন, ‘ছাগলের দাম খুব বেশি চাওয়া হচ্ছে। তাই এখনো কিনতে পারিনি। কেবল দরদাম করছি।’
মানিক মিয়া এভিনিউয়ে এমপি ভবনের সামনে অনেকেই ছাগল নিয়ে এসেছেন। সেখানে একজন এমপির হয়ে ছাগল কিনছিলেন আবদুল হালিম। তিনি বলেন, ‘এমপি স্যার দেশেও কোরবানি দেবেন। ঢাকার জন্য ১৫ হাজার টাকা দিয়ে একটি ছাগল কিনলাম। গতবারের চেয়ে এবার ছাগলের দাম বেশি মনে হয়েছে।’ সিরাজগঞ্জ থেকে সেখানে আসা মোবারক হোসেন বলেন, ‘আমি ছাগল লালনপালন করি না। গ্রাম থেকে ছাগল কিনে কোরবানির সময় ঢাকায় এনে বিক্রি করি। আজ সকাল থেকে সাতটি ছাগল বিক্রি করেছি, এখানে বিক্রি ভালোই হচ্ছে। আগামীকাল ঈদের আগের দিন সবচেয়ে বেশি ছাগল বিক্রি হবে।’
স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘনে গাবতলী হাটকে ১০ লাখ জরিমানা : করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যেও জমে উঠা রাজধানীর গাবতলী পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের নির্দেশে হাট কর্তৃপক্ষের জারিমানা করা হয়। পশুর হাটে সরকারি নির্দেশনাসহ স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে না মানলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই বাজার সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন মেয়র।
গতকাল সোমবার সকালে গাবতলী হাট পরিদর্শনে যান ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম। এ সময় স্বাস্থ্যবিধি ভঙের দৃশ্য দেখে হাট কর্তৃপক্ষের ১০ লাখ টাকা জরিমানা করতে ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দেন তিনি। এছাড়া এক ঘণ্টার জন্য একটি হাসিল ঘর বন্ধ করে দেন। ঈদের দুই দিন আগে গাবতলীসহ সব হাটে কোরবানির পশু বিক্রি বেড়েছে। হাটে আসছে প্রচুর ক্রেতা-বিক্রেতা। তবে স্বাস্থবিধি মেনে হাট বসানো কথা থাকলেও কোনো হাটেই ক্রেতা বিক্রেতাদের মধ্যে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি নিয়ন্ত্রিত অস্থায়ী হাটগুলোতেও কুরবানির পশু বিক্রি হচ্ছে অনেক। দুই সিটি মিলিয়ে ২৩টি অস্থায়ী হাট বসার কথা থাকলেও কোভিড-১৯ মহামারির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তিনটি হাট বন্ধ ঘোষণা করে দক্ষিণ সিটি। এখন দক্ষিণে নয়টি ও উত্তরে ১০টি অস্থায়ী হাট বসেছে। উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় অস্থায়ী হাট বসেছে নয়টি।