ঢাকা ১১:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫

চাষ না করলেই জমি ‘খাস’ করার সুযোগ নেই: মন্ত্রিপরিষদ সচিব

  • আপডেট সময় : ০২:২৫:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ নভেম্বর ২০২২
  • ১২১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : জমি নিয়ে ‘গুজব’ রটানো হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, ব্যক্তিগত জমি চাষ না করলেই তা ‘খাস জমি’ করে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর ব্রিফিংয়ে এসে বিষয়টি স্পষ্ট করেন তিনি। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সম্প্রতি বেশ কিছু জায়গায় ‘গুজব’ চলছে যে, যেসব জমিতে চাষ করা হবে না, সেগুলো খাস হয়ে যাবে।
“আমরা স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছি, কারো জমি চাষ করল, না আর আমি খাস করব– এ রকম কোনো পদ্ধতি নেই। খাস করার একটা আলাদা পদ্ধতি রয়েছে। কোনো জমি খাস করার দরকার হলে প্রয়োজনীয় সব ধরনের নিয়ম মেনে করতে হবে।”
সম্প্রতি চট্টগ্রামের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে খবর আসে, সেখানে বিভিন্ন উপজেলায় অনাবাদি জমি চিহ্নিতকরণ ও ‘খাসকরণ’ শুরু হয়েছে। চন্দনাইশের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিভিন্ন জমি পরিদর্শন করেছেন এবং তিন বছরের বেশি সময় ধরে অনাবাদি পড়ে রয়েছে– এমন বেশ কয়েকটি জমি চিহ্নিত করে লাল পতাকা এবং সতর্কতা বার্তা সম্বলিত ব্যানার টাঙিয়ে দিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাছরীন আক্তারকে উদ্ধৃত করে ১২ নভেম্বর দৈনিক আজাদিতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, “প্রধামন্ত্রীর নির্দেশনা হচ্ছে- জমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে এবং কোনো জমিই আবাদের বাইরে রাখা যাবে না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী চন্দনাইশে অনাবাদি জমি চিহ্নিতকরণ ও খাসকরণের কাজ শুরু করা হয়েছে। “তিনি বলেন, পরিদর্শনের সময় যে সমস্ত আবাদযোগ্য জমি বিগত ৩ বছর ধরে অনাবাদি রয়েছে সে সমস্ত জমি চিহ্নিত করে রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন, ১৯৫০ এর ৯২ (১) (গ) ধারা মোতাবেক খাস করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই অভিযান নিয়মিত চলবে বলেও জানান তিনি।” কিন্তু এরকম কোনো নির্দেশনা সরকারের তরফ থেকে দেওয়া হয়নি জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, “জমিতে চাষ করে না আর এটা খাস করে ফেলবে– এই রকম কোনো বিধান নেই। এটা একটা গুজব চারদিকে ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। “যদি দুই এক জায়গায় কোথাও কেউ করেও থাকে, তাহলে ইতোমধ্যে নির্দেশনা দিয়ে দেওয়া হয়েছে, কেউ যেন এ ধরনের কোনো ব্যবস্থা না নেয়।” বিষয়টি যে গুজব, তা সবাইকে জানিয়ে দিতে সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

চাষ না করলেই জমি ‘খাস’ করার সুযোগ নেই: মন্ত্রিপরিষদ সচিব

আপডেট সময় : ০২:২৫:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : জমি নিয়ে ‘গুজব’ রটানো হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, ব্যক্তিগত জমি চাষ না করলেই তা ‘খাস জমি’ করে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর ব্রিফিংয়ে এসে বিষয়টি স্পষ্ট করেন তিনি। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সম্প্রতি বেশ কিছু জায়গায় ‘গুজব’ চলছে যে, যেসব জমিতে চাষ করা হবে না, সেগুলো খাস হয়ে যাবে।
“আমরা স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছি, কারো জমি চাষ করল, না আর আমি খাস করব– এ রকম কোনো পদ্ধতি নেই। খাস করার একটা আলাদা পদ্ধতি রয়েছে। কোনো জমি খাস করার দরকার হলে প্রয়োজনীয় সব ধরনের নিয়ম মেনে করতে হবে।”
সম্প্রতি চট্টগ্রামের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে খবর আসে, সেখানে বিভিন্ন উপজেলায় অনাবাদি জমি চিহ্নিতকরণ ও ‘খাসকরণ’ শুরু হয়েছে। চন্দনাইশের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিভিন্ন জমি পরিদর্শন করেছেন এবং তিন বছরের বেশি সময় ধরে অনাবাদি পড়ে রয়েছে– এমন বেশ কয়েকটি জমি চিহ্নিত করে লাল পতাকা এবং সতর্কতা বার্তা সম্বলিত ব্যানার টাঙিয়ে দিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাছরীন আক্তারকে উদ্ধৃত করে ১২ নভেম্বর দৈনিক আজাদিতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, “প্রধামন্ত্রীর নির্দেশনা হচ্ছে- জমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে এবং কোনো জমিই আবাদের বাইরে রাখা যাবে না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী চন্দনাইশে অনাবাদি জমি চিহ্নিতকরণ ও খাসকরণের কাজ শুরু করা হয়েছে। “তিনি বলেন, পরিদর্শনের সময় যে সমস্ত আবাদযোগ্য জমি বিগত ৩ বছর ধরে অনাবাদি রয়েছে সে সমস্ত জমি চিহ্নিত করে রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন, ১৯৫০ এর ৯২ (১) (গ) ধারা মোতাবেক খাস করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই অভিযান নিয়মিত চলবে বলেও জানান তিনি।” কিন্তু এরকম কোনো নির্দেশনা সরকারের তরফ থেকে দেওয়া হয়নি জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, “জমিতে চাষ করে না আর এটা খাস করে ফেলবে– এই রকম কোনো বিধান নেই। এটা একটা গুজব চারদিকে ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। “যদি দুই এক জায়গায় কোথাও কেউ করেও থাকে, তাহলে ইতোমধ্যে নির্দেশনা দিয়ে দেওয়া হয়েছে, কেউ যেন এ ধরনের কোনো ব্যবস্থা না নেয়।” বিষয়টি যে গুজব, তা সবাইকে জানিয়ে দিতে সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।