ঢাকা ০৭:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫
গল্প====

চাষাভুষার মেয়ে

  • আপডেট সময় : ০৭:৫২:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫
  • ০ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

ফারহানা খানম

ইজার মুখ শুকিয়ে যাচ্ছে। ঠোঁট ফেটে গেছে, জিভের ডগা কেমন কাঁপছে। দাঁতের ফাঁক দিয়ে গরম বাতাস বেরোচ্ছে। সকাল থেকে এখন পর্যন্ত এক ফোঁটা পানি মুখে দেয়নি সে। কিন্তু তৃষ্ণায় নয়, ভয়ে।
ঢাকার মিরপুরের এক পুরানো সরকারি অফিসের সিঁড়িতে বসে আছে ওমাইজা। বেসামরিক গঠনের এক পিওন বারবার এসে বলে যাচ্ছে, ম্যাডাম, একটু পরে ডাকবে, বসেন।
ওমাইজা বসে থাকে। হাতের কাগজগুলো আঁকড়ে ধরে রাখে, যেন ওগুলোই তার একমাত্র জীবনরেখা। নীল ফাইলের ওপর লেখা, ‘নিয়োগ পরীক্ষা- ফলাফল সংশোধন আবেদন।’ এই ফাইলটা নিয়েই সে তিন মাস ধরে দৌড়াচ্ছে। নিজে ঢাকার মানুষ না, এসেছে পাবনা থেকে। একবারে চাষাভুষার মেয়ে। বাবা ছিলেন স্কুলের দারোয়ান, এখন প্যারালাইসিসে শুয়ে আছেন। সংসারের ভার, চিকিৎসা, ছোট ভাইয়ের লেখাপড়া সব ওমাইজার কাঁধে। আর সেই জন্যই তো সে সরকারি চাকরির জন্য এত কষ্ট করছে।
কিন্তু ফলাফলের দিন সে দেখল, নিজের রোল নম্বর নেই। অথচ তার থেকে কম নম্বর পাওয়া পাশের মেয়ে সুমাইয়া নির্বাচিত। দুদিন পরে অফিসে গিয়ে জানল, ‘কম্পিউটারে হয়তো ভুল হয়েছে, দেখব।’ কিন্তু কেউ কিছু দেখল না। কেউ চাইলও না। তখনই সে বুঝল, সোজা পথে কিছু হয় না।
ওমাইজা একদিন বিকেলে হাজির হলো সেই অফিসে, এই বিল্ডিংয়েই। সবার চোখ এড়িয়ে সে কথা বলল সহকারী পরিচালক কামরুল হকের সঙ্গে।
কামরুল হক মোটা গলায় হেসে বলেছিল, দেখেন বোন, এইটা সিস্টেমের ভুল না। সিস্টেমটা মানুষে চালায়, কম্পিউটার না। এখন আপনি চান আপনার রোল উঠুক, তাই না?
জি, আমি শুধু আমার যোগ্যতার জায়গাটা ফিরে চাই।
চাইতে তো পারেন। কিন্তু জিনিসটা ফ্রি না। বুঝেনই তো।
ওমাইজার তখন মাথা ঝিমঝিম করছিল। সে বলেছিল, স্যার, আমি ঘুষ দিতে পারব না।
কামরুল হক ঠোঁটে হাসি মেখে বলেছিল, তাহলে আপনি ওমাইজা ম্যাডাম থাকবেন, ‘উপযুক্ত প্রার্থী’ না।
এরপর থেকে তিন মাস ধরে অফিসে ঘুরে ঘুরে নিজের ফাইল জমা, আবেদন, অনুরোধ সব করে গেছে। সবাই এক কথা বলেছে, ‘দেখছি’, ‘হবে’, ‘কাজ হচ্ছে’ কিন্তু কিছুই হয়নি। আজ সে শেষবারের মতো এসেছে। ভেতরে ফাইল যাবে, না গেলে আর কিছুই থাকবে না।
পেছন থেকে এক তরুণ কণ্ঠ শোনা গেল, আপনার ফাইলটা নীল?
ওমাইজা চমকে তাকায়। এক যুবক, মুখে হালকা দাড়ি, গায়ে ফ্যাকাসে চেক শার্ট। হাতে মোবাইল।
জি, কেন?
আমি অফিসের ভেতরের লোক। আজ কামরুল সাহেবের ঘরে ঢুকেছেন এক সাংবাদিক। আপনি চান, আপনার বিষয়টা আমি ভিতরে পাঠিয়ে দিই?
ওমাইজার মনে সন্দেহ জাগে।
আপনি কে?
তানভীর। আমি চুক্তিভিত্তিক ডেটা অপারেটর ছিলাম। এক মাস আগে বরখাস্ত করেছে, কারণ আমি সিস্টেমের একটা ‘অস্বাভাবিক নাম্বার মেলামেশা’ ধরা দিয়েছিলাম।
ওমাইজা বুঝতে পারল লোকটা সত্যিই জানে কিছু।
তাহলে আপনি আমাকে সাহায্য করতে পারবেন?
পারব, তবে একটা ঝুঁকি আছে। যদি ধরতে পারে যে আপনি আমার সঙ্গে কাজ করছেন, ওরা আপনাকে কালো তালিকায় ফেলে দেবে।
ওমাইজা চুপ থাকে কিছুক্ষণ। তারপর বলে আমার নাম তো আগেই মুছে দিয়েছে, আর কী হারানোর আছে?
তানভীর মাথা নাড়ে।
দুজন মিলে চুপিচুপি উপরের তলায় যায়। করিডরের শেষে সারি সারি ফাইলের ঘর। তানভীর এক মুহূর্তে কম্পিউটারের মেশিন অন করে দেয়, বলে, আপনার রোল নম্বর?
ওমাইজা বলে দেয়।
স্ক্রিনে একসাথে কয়েকটা নাম ভেসে ওঠে। পাশে দেখা যায় ‘নম্বর পরিবর্তন- অনুমোদন: কামরুল হক।’
তানভীর ফিসফিস করে বলে, দেখেছেন? আপনার নম্বর কেটে দেওয়া হয়েছে, আর তার জায়গায় সুমাইয়ারটা বসানো হয়েছে। আমি এই স্ক্রিনশট নিচ্ছি।
ঠিক সেই সময় দরজায় টক্কর।
কে আছে ভেতরে?
ওমাইজা জমে যায়। তানভীর ফাইলগুলো তাড়াতাড়ি বন্ধ করে দেয়। কামরুল হক নিজেই ঢোকে ভেতরে। চোখ সরু করে দুজনের দিকে তাকিয়ে বলে, এইখানে কী চলছে?
তানভীর হাসে, স্যার, একটা ডেটা এন্ট্রির ফাইল ঠিক করছিলাম।
তুমি তো বরখাস্ত, তাই না?
হ্যাঁ। কিন্তু আমি সত্য ঠিক করতে ভালোবাসি।
ওমাইজা বুঝতে পারে, এখন কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে। কামরুল হকের চোখ লাল, মুখে আগুন।
এই মেয়েটাকে বাইরে নিয়ে যাও!
সে গার্ডদের ডাকে। কিন্তু ততক্ষণে তানভীর মোবাইলে সব প্রমাণ পাঠিয়ে দিয়েছে এক সাংবাদিক বন্ধুর কাছে।
বিকেলে নিউজ চ্যানেলে শিরোনাম চলে আসে, চাকরিতে অনিয়ম: নিয়োগ বোর্ডে নথি পরিবর্তনের প্রমাণ মিলেছে। দুই দিনের মধ্যেই তদন্ত কমিটি গঠন হয়। কামরুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। আর ওমাইজার হাতে আসে এক অফিসিয়াল চিঠি, আপনার নিয়োগ প্রক্রিয়া পুনর্বিবেচনা করা হয়েছে। সেদিন অফিসে ঢোকার সময় ওমাইজা বুঝল, তার মুখ শুকিয়ে নেই। ঠোঁটেও ফাটল নেই। একটা হালকা বাতাস এসে মুখ ছুঁয়ে গেল, যেন নতুন করে বাঁচার অনুমতি দিল।
তানভীর দূর থেকে দাঁড়িয়ে হাসছে। ওমাইজা তাকিয়ে মৃদু গলায় বলল, ধন্যবাদ।
তানভীর বলল, ধন্যবাদ না, সাহসটা আপনি দেখিয়েছেন। আমি শুধু প্রমাণটা সামনে এনেছি।
অফিসের দরজায় লাল রঙের নতুন বোর্ড টাঙানো, ‘দুর্নীতিমুক্ত অফিস গড়ি।’ ওমাইজা থেমে একবার তাকায়। মনে মনে বলে, বোর্ডে লেখা নয়, ভেতরের মানুষ বদলানোই আসল কাজ। আর এইবার, তার মুখে প্রথমবারের মতো একটু হাসি ফুটে ওঠে।

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

গল্প====

চাষাভুষার মেয়ে

আপডেট সময় : ০৭:৫২:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫

ফারহানা খানম

ইজার মুখ শুকিয়ে যাচ্ছে। ঠোঁট ফেটে গেছে, জিভের ডগা কেমন কাঁপছে। দাঁতের ফাঁক দিয়ে গরম বাতাস বেরোচ্ছে। সকাল থেকে এখন পর্যন্ত এক ফোঁটা পানি মুখে দেয়নি সে। কিন্তু তৃষ্ণায় নয়, ভয়ে।
ঢাকার মিরপুরের এক পুরানো সরকারি অফিসের সিঁড়িতে বসে আছে ওমাইজা। বেসামরিক গঠনের এক পিওন বারবার এসে বলে যাচ্ছে, ম্যাডাম, একটু পরে ডাকবে, বসেন।
ওমাইজা বসে থাকে। হাতের কাগজগুলো আঁকড়ে ধরে রাখে, যেন ওগুলোই তার একমাত্র জীবনরেখা। নীল ফাইলের ওপর লেখা, ‘নিয়োগ পরীক্ষা- ফলাফল সংশোধন আবেদন।’ এই ফাইলটা নিয়েই সে তিন মাস ধরে দৌড়াচ্ছে। নিজে ঢাকার মানুষ না, এসেছে পাবনা থেকে। একবারে চাষাভুষার মেয়ে। বাবা ছিলেন স্কুলের দারোয়ান, এখন প্যারালাইসিসে শুয়ে আছেন। সংসারের ভার, চিকিৎসা, ছোট ভাইয়ের লেখাপড়া সব ওমাইজার কাঁধে। আর সেই জন্যই তো সে সরকারি চাকরির জন্য এত কষ্ট করছে।
কিন্তু ফলাফলের দিন সে দেখল, নিজের রোল নম্বর নেই। অথচ তার থেকে কম নম্বর পাওয়া পাশের মেয়ে সুমাইয়া নির্বাচিত। দুদিন পরে অফিসে গিয়ে জানল, ‘কম্পিউটারে হয়তো ভুল হয়েছে, দেখব।’ কিন্তু কেউ কিছু দেখল না। কেউ চাইলও না। তখনই সে বুঝল, সোজা পথে কিছু হয় না।
ওমাইজা একদিন বিকেলে হাজির হলো সেই অফিসে, এই বিল্ডিংয়েই। সবার চোখ এড়িয়ে সে কথা বলল সহকারী পরিচালক কামরুল হকের সঙ্গে।
কামরুল হক মোটা গলায় হেসে বলেছিল, দেখেন বোন, এইটা সিস্টেমের ভুল না। সিস্টেমটা মানুষে চালায়, কম্পিউটার না। এখন আপনি চান আপনার রোল উঠুক, তাই না?
জি, আমি শুধু আমার যোগ্যতার জায়গাটা ফিরে চাই।
চাইতে তো পারেন। কিন্তু জিনিসটা ফ্রি না। বুঝেনই তো।
ওমাইজার তখন মাথা ঝিমঝিম করছিল। সে বলেছিল, স্যার, আমি ঘুষ দিতে পারব না।
কামরুল হক ঠোঁটে হাসি মেখে বলেছিল, তাহলে আপনি ওমাইজা ম্যাডাম থাকবেন, ‘উপযুক্ত প্রার্থী’ না।
এরপর থেকে তিন মাস ধরে অফিসে ঘুরে ঘুরে নিজের ফাইল জমা, আবেদন, অনুরোধ সব করে গেছে। সবাই এক কথা বলেছে, ‘দেখছি’, ‘হবে’, ‘কাজ হচ্ছে’ কিন্তু কিছুই হয়নি। আজ সে শেষবারের মতো এসেছে। ভেতরে ফাইল যাবে, না গেলে আর কিছুই থাকবে না।
পেছন থেকে এক তরুণ কণ্ঠ শোনা গেল, আপনার ফাইলটা নীল?
ওমাইজা চমকে তাকায়। এক যুবক, মুখে হালকা দাড়ি, গায়ে ফ্যাকাসে চেক শার্ট। হাতে মোবাইল।
জি, কেন?
আমি অফিসের ভেতরের লোক। আজ কামরুল সাহেবের ঘরে ঢুকেছেন এক সাংবাদিক। আপনি চান, আপনার বিষয়টা আমি ভিতরে পাঠিয়ে দিই?
ওমাইজার মনে সন্দেহ জাগে।
আপনি কে?
তানভীর। আমি চুক্তিভিত্তিক ডেটা অপারেটর ছিলাম। এক মাস আগে বরখাস্ত করেছে, কারণ আমি সিস্টেমের একটা ‘অস্বাভাবিক নাম্বার মেলামেশা’ ধরা দিয়েছিলাম।
ওমাইজা বুঝতে পারল লোকটা সত্যিই জানে কিছু।
তাহলে আপনি আমাকে সাহায্য করতে পারবেন?
পারব, তবে একটা ঝুঁকি আছে। যদি ধরতে পারে যে আপনি আমার সঙ্গে কাজ করছেন, ওরা আপনাকে কালো তালিকায় ফেলে দেবে।
ওমাইজা চুপ থাকে কিছুক্ষণ। তারপর বলে আমার নাম তো আগেই মুছে দিয়েছে, আর কী হারানোর আছে?
তানভীর মাথা নাড়ে।
দুজন মিলে চুপিচুপি উপরের তলায় যায়। করিডরের শেষে সারি সারি ফাইলের ঘর। তানভীর এক মুহূর্তে কম্পিউটারের মেশিন অন করে দেয়, বলে, আপনার রোল নম্বর?
ওমাইজা বলে দেয়।
স্ক্রিনে একসাথে কয়েকটা নাম ভেসে ওঠে। পাশে দেখা যায় ‘নম্বর পরিবর্তন- অনুমোদন: কামরুল হক।’
তানভীর ফিসফিস করে বলে, দেখেছেন? আপনার নম্বর কেটে দেওয়া হয়েছে, আর তার জায়গায় সুমাইয়ারটা বসানো হয়েছে। আমি এই স্ক্রিনশট নিচ্ছি।
ঠিক সেই সময় দরজায় টক্কর।
কে আছে ভেতরে?
ওমাইজা জমে যায়। তানভীর ফাইলগুলো তাড়াতাড়ি বন্ধ করে দেয়। কামরুল হক নিজেই ঢোকে ভেতরে। চোখ সরু করে দুজনের দিকে তাকিয়ে বলে, এইখানে কী চলছে?
তানভীর হাসে, স্যার, একটা ডেটা এন্ট্রির ফাইল ঠিক করছিলাম।
তুমি তো বরখাস্ত, তাই না?
হ্যাঁ। কিন্তু আমি সত্য ঠিক করতে ভালোবাসি।
ওমাইজা বুঝতে পারে, এখন কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে। কামরুল হকের চোখ লাল, মুখে আগুন।
এই মেয়েটাকে বাইরে নিয়ে যাও!
সে গার্ডদের ডাকে। কিন্তু ততক্ষণে তানভীর মোবাইলে সব প্রমাণ পাঠিয়ে দিয়েছে এক সাংবাদিক বন্ধুর কাছে।
বিকেলে নিউজ চ্যানেলে শিরোনাম চলে আসে, চাকরিতে অনিয়ম: নিয়োগ বোর্ডে নথি পরিবর্তনের প্রমাণ মিলেছে। দুই দিনের মধ্যেই তদন্ত কমিটি গঠন হয়। কামরুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। আর ওমাইজার হাতে আসে এক অফিসিয়াল চিঠি, আপনার নিয়োগ প্রক্রিয়া পুনর্বিবেচনা করা হয়েছে। সেদিন অফিসে ঢোকার সময় ওমাইজা বুঝল, তার মুখ শুকিয়ে নেই। ঠোঁটেও ফাটল নেই। একটা হালকা বাতাস এসে মুখ ছুঁয়ে গেল, যেন নতুন করে বাঁচার অনুমতি দিল।
তানভীর দূর থেকে দাঁড়িয়ে হাসছে। ওমাইজা তাকিয়ে মৃদু গলায় বলল, ধন্যবাদ।
তানভীর বলল, ধন্যবাদ না, সাহসটা আপনি দেখিয়েছেন। আমি শুধু প্রমাণটা সামনে এনেছি।
অফিসের দরজায় লাল রঙের নতুন বোর্ড টাঙানো, ‘দুর্নীতিমুক্ত অফিস গড়ি।’ ওমাইজা থেমে একবার তাকায়। মনে মনে বলে, বোর্ডে লেখা নয়, ভেতরের মানুষ বদলানোই আসল কাজ। আর এইবার, তার মুখে প্রথমবারের মতো একটু হাসি ফুটে ওঠে।

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ