ঢাকা ০৯:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

চালের মজুদদারিতে ক্ষোভ, অভিযানে সমর্থন

  • আপডেট সময় : ০৩:১৫:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জুন ২০২২
  • ৯৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভরা মৌসুমে চালের দাম বৃদ্ধির ঘটনায় ব্যাবসায়ীদের ওপর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখালেন তাদেরই শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। তিনি বলেছেন, “শুষ্ক মৌসুমে চালের উৎপাদন সবচেয়ে বেশি হয়। এখন সেই মৌসুম, কিন্তু হাওরের কথা বলে কৃত্রিমভাবে চালের দাম বাড়ানো হচ্ছে। দেশের উৎপাদিত মোট চালের মধ্যে মাত্র ৬ শতাংশ হাওর এলাকায় হয়।” বৃহস্পতিবার মতিঝিলে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে ‘নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর আমদানি মজুদ, সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি বিষয়ে মতবিনিময় সভায় কথা বলছিলেন সংগঠনের সভাপতি। গত বুধবার থেকে সারাদেশে অবৈধ মজুদদারদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থা। প্রথম দিনে আট বিভাগে কয়েকশ প্রতিষ্ঠানে যায় অভিযানকারী দল; জরিমানা করা হয় প্রায় ২৪ লাখ টাকা। জসিম বলেন, “হাওরে এবার সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাতে বাজারে দাম বাড়ার কথা নয়। “কিছু ব্যবসায়ী চালের দাম বাড়াচ্ছে; সরকারেরর ধরপাকড় সঠিক, মনিটরিং অব্যাহত রাখা। মজুদ করে কেন বেশি দামে বিক্রি করবেন ব্যবসায়ীরা?” নিজস্ব মিল ও অনুমোদন না থাকলে বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো যেন ধান-চালের ব্যবসায় যুক্ত না হয়, সে বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার আরেক অনুষ্ঠানে সতর্ক করেন খাদ্যমন্ত্রী। এ সময় সারাদেশে ধানচাল মজুদদারদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান আরও জোরদার করার ঘোষণাও তিনি দেন। মিলে এখন উন্নত প্রযুক্তি যুক্ত হওয়ায় চাল উৎপাদন খরচ কমে আসার কথা মন্তব্য করে এফবিসিসিআইয়ের অনুষ্ঠানে জসিম উদ্দিন প্রশ্ন করেন, “তাহলে কেন কমছে না?” এ সময়ে চাল ব্যবসায়ীদের পক্ষে সিটি গ্রুপের উপদেষ্টা অমিতাভ চক্রবর্তী বলেন, “ধান বেশি দামে কিনলে তো বেশি দামে চাল বিক্রি করব। মাত্র ১ শতাংশ ব্যবসায়ী খারাপ কাজ করছে, তাদের দায় তো সব ব্যবসায়ী নেবে না। চালের সরবরাহ যথেষ্ট রয়েছে, সমস্যা হবে না।” ভোজ্য তেলের বিষয়ে তিনি বলেন, “আগামী কোরবানির ঈদে তেলের ঘাটতি হবে না।” মসলা ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে বলা হয়, মসলা নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য হওয়ার পরও আমদানিতে শুল্ক দিতে হয় পচনশীল পণ্য ধরে। প্রতি টন এলাচে শুল্ক দিতে হয় তিন লাখ ৮৫ হাজার টাকা, কেজি প্রতি ৩৮৫ টাকা। গোলমরিচে প্রতি কেজিতে শুল্ক ২৭০ টাকা, আলু বোখারাতে ৬৮ টাকা, কিসমিসে ৮৫ টাকা, বাদামে ৯৯ টাকা দিতে হয়। মসলার ওপর আরোপিত শুল্ক পর্যালোচনার দাবি করেন এ খাতের ব্যবসায়ীরা। গত রোজার সময় আনা মসলা এখনও বিক্রি হয়নি জানিয়ে তারা বলেন, আগামী ঈদে মসলা নিয়ে কোনো সংকট তৈরি হওয়ার কথা না।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

অতিদ্রুত অপরাধীদের গ্রেফতার করুন: মির্জা ফখরুল

চালের মজুদদারিতে ক্ষোভ, অভিযানে সমর্থন

আপডেট সময় : ০৩:১৫:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জুন ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভরা মৌসুমে চালের দাম বৃদ্ধির ঘটনায় ব্যাবসায়ীদের ওপর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখালেন তাদেরই শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। তিনি বলেছেন, “শুষ্ক মৌসুমে চালের উৎপাদন সবচেয়ে বেশি হয়। এখন সেই মৌসুম, কিন্তু হাওরের কথা বলে কৃত্রিমভাবে চালের দাম বাড়ানো হচ্ছে। দেশের উৎপাদিত মোট চালের মধ্যে মাত্র ৬ শতাংশ হাওর এলাকায় হয়।” বৃহস্পতিবার মতিঝিলে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে ‘নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর আমদানি মজুদ, সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি বিষয়ে মতবিনিময় সভায় কথা বলছিলেন সংগঠনের সভাপতি। গত বুধবার থেকে সারাদেশে অবৈধ মজুদদারদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থা। প্রথম দিনে আট বিভাগে কয়েকশ প্রতিষ্ঠানে যায় অভিযানকারী দল; জরিমানা করা হয় প্রায় ২৪ লাখ টাকা। জসিম বলেন, “হাওরে এবার সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাতে বাজারে দাম বাড়ার কথা নয়। “কিছু ব্যবসায়ী চালের দাম বাড়াচ্ছে; সরকারেরর ধরপাকড় সঠিক, মনিটরিং অব্যাহত রাখা। মজুদ করে কেন বেশি দামে বিক্রি করবেন ব্যবসায়ীরা?” নিজস্ব মিল ও অনুমোদন না থাকলে বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো যেন ধান-চালের ব্যবসায় যুক্ত না হয়, সে বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার আরেক অনুষ্ঠানে সতর্ক করেন খাদ্যমন্ত্রী। এ সময় সারাদেশে ধানচাল মজুদদারদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান আরও জোরদার করার ঘোষণাও তিনি দেন। মিলে এখন উন্নত প্রযুক্তি যুক্ত হওয়ায় চাল উৎপাদন খরচ কমে আসার কথা মন্তব্য করে এফবিসিসিআইয়ের অনুষ্ঠানে জসিম উদ্দিন প্রশ্ন করেন, “তাহলে কেন কমছে না?” এ সময়ে চাল ব্যবসায়ীদের পক্ষে সিটি গ্রুপের উপদেষ্টা অমিতাভ চক্রবর্তী বলেন, “ধান বেশি দামে কিনলে তো বেশি দামে চাল বিক্রি করব। মাত্র ১ শতাংশ ব্যবসায়ী খারাপ কাজ করছে, তাদের দায় তো সব ব্যবসায়ী নেবে না। চালের সরবরাহ যথেষ্ট রয়েছে, সমস্যা হবে না।” ভোজ্য তেলের বিষয়ে তিনি বলেন, “আগামী কোরবানির ঈদে তেলের ঘাটতি হবে না।” মসলা ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে বলা হয়, মসলা নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য হওয়ার পরও আমদানিতে শুল্ক দিতে হয় পচনশীল পণ্য ধরে। প্রতি টন এলাচে শুল্ক দিতে হয় তিন লাখ ৮৫ হাজার টাকা, কেজি প্রতি ৩৮৫ টাকা। গোলমরিচে প্রতি কেজিতে শুল্ক ২৭০ টাকা, আলু বোখারাতে ৬৮ টাকা, কিসমিসে ৮৫ টাকা, বাদামে ৯৯ টাকা দিতে হয়। মসলার ওপর আরোপিত শুল্ক পর্যালোচনার দাবি করেন এ খাতের ব্যবসায়ীরা। গত রোজার সময় আনা মসলা এখনও বিক্রি হয়নি জানিয়ে তারা বলেন, আগামী ঈদে মসলা নিয়ে কোনো সংকট তৈরি হওয়ার কথা না।