ঢাকা ০১:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

চালের দাম আরও বেড়েছে

  • আপডেট সময় : ১১:৪০:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ অক্টোবর ২০২২
  • ৮৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : মোটা চালের দাম আবারও কেজিতে বেড়েছে এক থেকে দুই টাকা। সরু বা চিকন চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ টাকা। চাল ব্যবসায়ীরা বলছেন, এখন মোকামে চালের দাম চড়া। এছাড়া দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ঢাকায় চাল আনতে খরচ বেশি পড়ছে। এ কারণে তাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, মোটা চাল (স্বর্ণা ও চায়না ইরি) বাজারে বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৫৪ থেকে ৫৮ টাকায়। তবে একটু নি¤œমানের এই চাল গত সপ্তাহে ৪৭ টাকা কেজিতেও বিক্রি হয়েছে। এখন ৪৮ থেকে ৪৯ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মাঝারি মানের চালের (বিআর ২৮) দাম এই সপ্তাহে কেজিপ্রতি ৫৮ থেকে ৬০ টাকা। গত সপ্তাহে এই চাল ৫৬ থেকে ৫৮ টাকায় পাওয়া গেছে। ব্যবসায়ীরা মানভেদে সরু চাল বিক্রি করছেন প্রতিকেজি ৭০ থেকে ৮৫ টাকা পর্যন্ত। সরু চালের মধ্যে মিনিকেট ও নাজিরশাইলের বিক্রি বেশি। ভালো মানের মিনিকেটের কেজি ৭৫ টাকা, আর নাজিরশাইল কিনতে গুনতে হচ্ছে ৮৫ টাকা। যা গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা বেশি। দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে আটা ও ময়দাও। যদিও বিশ্ববাজারে গমের দাম কমেছে। কিন্তু দেশের বাজারে আটার দাম এখনও বাড়তি। খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৫৩ থেকে ৫৫ টাকায়। প্যাকেটজাত আটার দুই কেজির প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২৫ টাকায়। খোলা ময়দা কেজিপ্রতি রাখা হচ্ছে ৬০ টাকার কাছাকাছি। দোকানিরা বলছেন, প্যাকেট আটার দাম কেজিতে বেড়েছে দুই টাকার মতো। অর্থাৎ যে আটা (প্যাকেট) ৫০ টাকা কেজিতে পাওয়া যেতো, এখন তা কিনতে হচ্ছে ৫২ টাকায়। খোলা ময়দার দাম বেড়েছে কেজিতে দুই থেকে তিন টাকা। দোকানিরা গত সপ্তাহে খোলা ময়দা ৬২ টাকা কেজি দরে বিক্রি করলেও এ সপ্তাহে বিক্রি করছেন ৬৫ টাকা। এছাড়া ৫৮ টাকা কেজি দরের খোলা ময়দা চলতি সপ্তাহে বিক্রি করছেন ৬০ টাকা। এদিকে গত সপ্তাহে ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা মসুর ডাল (ছোট দানা) এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকা। আর ১৩৫ টাকা কেজি দরের (নেপালি) মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা। বাজারে এখনও মোটা ডাল বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১০৫ থেকে ১১০ টাকায়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আলুর দাম বেড়েছে কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা। গত সপ্তাহের ২৪ টাকা কেজি দরের (হলেন্ডার) আলু চলতি সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ২৬ টাকায়। কোথাও কোথাও ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লাল আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি। এদিকে খুচরা বাজারে এখনও প্রতি ডজন ডিম ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ব্রয়লার মুরগি প্রতিকেজি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে গরুর মাংস প্রতিকেজি ৬৮০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭১০ টাকা। নতুন করে বেড়েছে গুঁড়াদুধের দামও। বিক্রেতারা জানান, চলতি বছরে এর আগে তিন দফা দাম বেড়েছিল এ নিত্যপণ্যটির। এখন আবারও বাড়ানো হয়েছে। এ দফায় দেশি-বিদেশি কোম্পানিগুলো ব্র্যান্ড অনুযায়ী প্রতি কেজি দুধের দাম ৩০ থেকে ৫০ টাকা বাড়িয়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, কোম্পানিভেদে দুধের দাম ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে এখন প্রতি কেজি ডানো ৮৫০ টাকা, ডিপ্লোমা ৮৪০ টাকা, ফ্রেশ ৭১০ টাকা ও মার্কস ৭৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নতুন আপদ ‘মব সন্ত্রাস’, আতঙ্কে সারা দেশ

চালের দাম আরও বেড়েছে

আপডেট সময় : ১১:৪০:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ অক্টোবর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : মোটা চালের দাম আবারও কেজিতে বেড়েছে এক থেকে দুই টাকা। সরু বা চিকন চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ টাকা। চাল ব্যবসায়ীরা বলছেন, এখন মোকামে চালের দাম চড়া। এছাড়া দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ঢাকায় চাল আনতে খরচ বেশি পড়ছে। এ কারণে তাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, মোটা চাল (স্বর্ণা ও চায়না ইরি) বাজারে বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৫৪ থেকে ৫৮ টাকায়। তবে একটু নি¤œমানের এই চাল গত সপ্তাহে ৪৭ টাকা কেজিতেও বিক্রি হয়েছে। এখন ৪৮ থেকে ৪৯ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মাঝারি মানের চালের (বিআর ২৮) দাম এই সপ্তাহে কেজিপ্রতি ৫৮ থেকে ৬০ টাকা। গত সপ্তাহে এই চাল ৫৬ থেকে ৫৮ টাকায় পাওয়া গেছে। ব্যবসায়ীরা মানভেদে সরু চাল বিক্রি করছেন প্রতিকেজি ৭০ থেকে ৮৫ টাকা পর্যন্ত। সরু চালের মধ্যে মিনিকেট ও নাজিরশাইলের বিক্রি বেশি। ভালো মানের মিনিকেটের কেজি ৭৫ টাকা, আর নাজিরশাইল কিনতে গুনতে হচ্ছে ৮৫ টাকা। যা গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা বেশি। দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে আটা ও ময়দাও। যদিও বিশ্ববাজারে গমের দাম কমেছে। কিন্তু দেশের বাজারে আটার দাম এখনও বাড়তি। খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৫৩ থেকে ৫৫ টাকায়। প্যাকেটজাত আটার দুই কেজির প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২৫ টাকায়। খোলা ময়দা কেজিপ্রতি রাখা হচ্ছে ৬০ টাকার কাছাকাছি। দোকানিরা বলছেন, প্যাকেট আটার দাম কেজিতে বেড়েছে দুই টাকার মতো। অর্থাৎ যে আটা (প্যাকেট) ৫০ টাকা কেজিতে পাওয়া যেতো, এখন তা কিনতে হচ্ছে ৫২ টাকায়। খোলা ময়দার দাম বেড়েছে কেজিতে দুই থেকে তিন টাকা। দোকানিরা গত সপ্তাহে খোলা ময়দা ৬২ টাকা কেজি দরে বিক্রি করলেও এ সপ্তাহে বিক্রি করছেন ৬৫ টাকা। এছাড়া ৫৮ টাকা কেজি দরের খোলা ময়দা চলতি সপ্তাহে বিক্রি করছেন ৬০ টাকা। এদিকে গত সপ্তাহে ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা মসুর ডাল (ছোট দানা) এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকা। আর ১৩৫ টাকা কেজি দরের (নেপালি) মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা। বাজারে এখনও মোটা ডাল বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১০৫ থেকে ১১০ টাকায়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আলুর দাম বেড়েছে কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা। গত সপ্তাহের ২৪ টাকা কেজি দরের (হলেন্ডার) আলু চলতি সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ২৬ টাকায়। কোথাও কোথাও ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লাল আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি। এদিকে খুচরা বাজারে এখনও প্রতি ডজন ডিম ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ব্রয়লার মুরগি প্রতিকেজি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে গরুর মাংস প্রতিকেজি ৬৮০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭১০ টাকা। নতুন করে বেড়েছে গুঁড়াদুধের দামও। বিক্রেতারা জানান, চলতি বছরে এর আগে তিন দফা দাম বেড়েছিল এ নিত্যপণ্যটির। এখন আবারও বাড়ানো হয়েছে। এ দফায় দেশি-বিদেশি কোম্পানিগুলো ব্র্যান্ড অনুযায়ী প্রতি কেজি দুধের দাম ৩০ থেকে ৫০ টাকা বাড়িয়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, কোম্পানিভেদে দুধের দাম ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে এখন প্রতি কেজি ডানো ৮৫০ টাকা, ডিপ্লোমা ৮৪০ টাকা, ফ্রেশ ৭১০ টাকা ও মার্কস ৭৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।