নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর আদাবর থেকে প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া দশটি ওয়াশিং মেশিন এবং তিনটি ফ্রিজ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মারুফ হোসেন সোহাগ, মহসিন ও অসীম নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার তেজগাঁও বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার (ডিসি) আজিমুল হক এসব তথ্য জানান। উদ্ধার পণ্যের মূল্য সাড়ে তিনলাখ টাকার বেশি।
পুলিশ জানিয়েছে, মামলার বাদী ভুক্তভোগী আব্দুর রাজ্জাক খান ‘কসমো ট্রান্সপোর্ট’ এজেন্সি নামে একটি পরিবহন ব্যবসা করেন এবং তিনি একটি ইলেক্ট্রনিকস পণ্য প্রস্তুত প্রতিষ্ঠানের তালিকাভুক্ত পরিবহন ঠিকাদার। ৯ অক্টোবর গাজীপুরের চন্দ্রায় ওই প্রতিষ্ঠানটির ফ্যাক্টরি থেকে কসমো ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির কাভার্ডভ্যানে ৩০ পিস ওয়াশিং মেশিন নিয়ে রওনা হয়। সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে আদাবরের শাহাবুদ্দিন প্লাজার সামনে পৌঁছালে দুইজন কাভার্ডভ্যানটি গতিরোধ করে। যারা প্রতারক চক্রের সদস্য।
চক্রের সদস্যরা কাভার্ডভ্যান চালককে গাড়িতে থাকা ইলেক্ট্রনিকস মালামাল আছে কি না নিশ্চিত হয়ে বলতেন, ‘আপনার সঙ্গে মোবাইলে যার কথা হয়েছে, তিনিই আমাদেরকে মালামালগুলো নেওয়ার জন্য পাঠিয়েছেন। আমাদের গোডাউনে জায়গা না থাকায় এখানে দশটি মাল নামিয়ে রাখতে বলেছে।’
তখন কাভার্ডভ্যান চালক সরল মনে শাহাবুদ্দিন প্লাজার সামনে দশটি ওয়াশিং মেশিন চক্রের কাছে দেয় এবং বাকি মালামালগুলো গোডাউনের পেছনে আনলোড করবে বলে চালককে জানায়।
ডিসি আজিমুল হক বলেন, এই ঘটনায় আব্দুর রাজ্জাক ১৩ অক্টোবর আদাবর থানায় একটি মামলা করেন। পরে ঘটনাস্থল ও আশপাশের ১৯টি সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চক্রের হোতা মারুফ হোসেন সোহাগকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
তার দেওয়া তথ্যে আরও দুই সদস্য মহসিন ও অসীমকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে মোহাম্মদপুর, আগারগাঁও, রামপুরা, মিরপুর, সবুজবাগ, নারায়ণগঞ্জ, চাঁদপুর ও তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকা থেকে দশটি ওয়াশিং মেশিন এবং তিনটি ফ্রিজ উদ্ধার করা হয়।
তেজগাঁও ডিসি জানান, অভিযুক্তরা একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। তারা দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় এই অপরাধ করে আসছিল। ইলেক্ট্রনিকস পণ্যবাহী ট্রাক টার্গেট করে নির্ধারিত জায়গায় পৌঁছানোর আগেই তারা চালককে ভুল বুঝিয়ে কৌশলে তা নিয়ে সটকে পড়ত। একবছরের ১৬টি এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে অভিযুক্তরা।
চালককে বোকা বানিয়ে ফ্রিজ ওয়াশিং মেশিন লুটে নিত তারা
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ