ক্রীড়া প্রতিবেদক : দুয়ারে কড়া নাড়ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আর মাস দেড়েক পরই কুড়ি ওভারের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে নামবে ১৬টি দেশ। তার আগে আজ থেকে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সবশেষ দ্বিপাক্ষিক সিরিজ। যেখানে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে টাইগাররা।
আগস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ৪-১ ব্যবধানে জিতেছিল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। তাই এবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও প্রত্যাশার পারদ বেশ উঁচুতে। কাগজে-কলমে শক্তির বিচারেও সেই অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ সফরে আসা বর্তমান কিউই দলটি।
গত মাসে বাংলাদেশ সফরে আসা ৯ ক্রিকেটারকে নিজেদের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে রেখেছে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল। অন্যদিকে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকা একজন খেলোয়াড়কেও বাংলাদেশ সফরে পাঠায়নি নিউজিল্যান্ড। মোটামুটি এক অনভিজ্ঞ দল নিয়েই টি-টোয়েন্টি সিরিজটি খেলতে এসেছে তারা।
তাই অস্ট্রেলিয়াকে ৪-১ ব্যবধানে হারানোয় এবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রত্যাশা ৫-০’তে হোয়াইটওয়াশ করার। আর তা করতে পারলে আইসিসি টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়েও বড় লাফ দেবে বাংলাদেশ দল। পুরো সিরিজের সব ম্যাচ জিতলে পাঁচ ধাপ এগিয়ে র্যাংকিংয়ের পাঁচ নম্বরেই উঠে যাবে টাইগাররা।
সিরিজ শুরুর আগে ২৩৪ রেটিং নিয়ে দশ নম্বরে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে ২৬৩ রেটিং নিয়ে তিন নম্বরে রয়েছে নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশ যদি ৫-০ ব্যবধানে জিততে পারে, তাহলে রেটিং বাড়বে ১৪ এবং ২৪৮ রেটিং নিয়ে তারা উঠে যাবে পাঁচ নম্বরে। এর ফলে কিউইদের রেটিং কমবে ১৩ এবং তারা নেমে যাবে চার নম্বরে।
র্যাংকিংয়ের পাঁচে ওঠার জন্য যে পাঁচ ম্যাচই জিততে হবে, এমনটাও নয়। বাংলাদেশ যদি ৪-১ ব্যবধানেও সিরিজটি জেতে, তাহলেও উঠতে পারবে পাঁচ নম্বরে। সেক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার আসন্ন সিরিজটিতে জয়ী দলের নাম হতে হবে শ্রীলঙ্কা। তাহলে কমবে দক্ষিণ আফ্রিকার রেটিং এবং ২৪৪ রেটিং নিয়ে পাঁচ নম্বরে উঠবে বাংলাদেশ।
এই সিরিজে শুধুমাত্র একটি ম্যাচ জিতলে র্যাংকিংয়ে কোনো নড়চড় ঘটবে না বাংলাদেশ দলের। এছাড়া দুই ম্যাচ জিতলে বাংলাদেশ উঠে যাবে ৮ নম্বরে আর তিন ম্যাচ জিতলে টাইগারদের অবস্থান হবে ষষ্ঠ। অর্থাৎ ন্যুনতম ৩-২ ব্যবধানে সিরিজটি জিতে নিতে পারলেও র্যাংকিংয়ে ৪ ধাপ এগিয়ে যাবে টাইগাররা।
চার ম্যাচ জিতলেই র্যাংকিংয়ের পাঁচে বাংলাদেশ
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ