ঢাকা ১০:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

চার দিনে এলো ১৫ হাজার টন পেঁয়াজ

  • আপডেট সময় : ০৩:৩১:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ জুন ২০২৩
  • ৬৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: আড়াই মাস পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকার পর সোমবার (০৫ জুন) দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। গত চার দিনে পাঁচ লাখ চার হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১৫ হাজার মেট্রিক টন আমদানি করা পেঁয়াজ দেশে এসেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (০৮ জুন) কৃষি মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা (সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা) মো. কামরুল ইসলাম ভূঁইয়া এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, গত সোমবার থেকে এখন পর্যন্ত পাঁচ লাখ চার হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দেশে এসেছে ১৫ হাজার মেট্রিক টন। প্রসঙ্গত, দেশের বাজারে পেঁয়াজের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি রোধে আমদানির অনুমতি দেয় কৃষি মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (০৮ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন পাইকারি পেঁয়াজের বাজার ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন জাতের দেশি পেঁয়াজের পাশাপাশি আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
বর্তমানে বাজারে প্রতি পাল্লা (পাঁচ কেজি) পাবনার পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে ৩৭৫ টাকা থেকে ৪০০ টাকা, যা কেজিতে পড়ছে ৭৫ টাকা থেকে ৮০ টাকা। ফরিদপুরের পেঁয়াজের পাল্লা বিক্রি করা হচ্ছে ৩১০ টাকা থেকে ৩৪০ টাকা, যা কেজিতে পড়ছে ৬২ থেকে ৬৮ টাকা। রাজশাহীর পেঁয়াজের পাল্লা বিক্রি করা হচ্ছে ৩৭৫ টাকা, যা কেজিতে পড়ছে ৭৫ টাকা। এছাড়া আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে ৩২৫ টাকা, যা কেজিতে পড়েছে ৬৫ টাকা।
অথচ ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরুর আগে এ বাজারেই প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১১০ টাকার বেশি বিক্রি হয়েছিল। এদিকে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির পর দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৩০- ৩৫ টাকা কমলেও সন্তুষ্ট হতে পারছে না ক্রেতারা। তাদের দাবি, দাম বাড়ানোর তুলনায় দাম কমেনি। বর্তমান দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে পেঁয়াজের দাম এখনও নি¤œ ও মধ্যবিত্তদের নাগালের বাইরে। এছাড়া অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের জোর ভূমিকা নেই বলেও জানিয়েছেন তারা। তবে পাইকারি বাজারে দাম কমলেও খুচরা বাজারে এখনো পেঁয়াজের দাম কমার প্রভাব পড়েনি। পাড়া-মহল্লার মুদি দোকানে আজও পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়।
৪ লাখ ৭৩ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি
এর আগে দেশে ৪ লাখ ৭৩ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। কৃষি মন্ত্রণালয় গত সোমবার থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া শুরু করে। মঙ্গলবার পর্যন্ত ৪ লাখ ৩৩ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়। সবশেষ বুধবার (৭ জুন) আরও ৪০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়। প্রথম দিন সোমবার ২ লাখ ৮০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেয় কৃষি মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গত রোববার কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক ঘোষণা দেন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি বা আইপি দেবে কৃষি মন্ত্রণালয়। পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সীমিত আয়ের এবং শ্রমজীবী মানুষের কষ্ট লাঘবসহ সব ভোক্তার স্বার্থ রক্ষায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে মন্ত্রণালয়। উল্লেখ্য, পেঁয়াজ উৎপাদন করে কৃষক যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য কৃষকের স্বার্থ সুরক্ষায় বিগত ১৫ মার্চ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি বন্ধ রাখা হয়েছিল। এদিকে ভারত থেকে আমদানি করা হবে এমন ঘোষণার পর কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। দুই দিনে পণ্যটির দাম প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

চার দিনে এলো ১৫ হাজার টন পেঁয়াজ

আপডেট সময় : ০৩:৩১:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ জুন ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: আড়াই মাস পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকার পর সোমবার (০৫ জুন) দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। গত চার দিনে পাঁচ লাখ চার হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১৫ হাজার মেট্রিক টন আমদানি করা পেঁয়াজ দেশে এসেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (০৮ জুন) কৃষি মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা (সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা) মো. কামরুল ইসলাম ভূঁইয়া এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, গত সোমবার থেকে এখন পর্যন্ত পাঁচ লাখ চার হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দেশে এসেছে ১৫ হাজার মেট্রিক টন। প্রসঙ্গত, দেশের বাজারে পেঁয়াজের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি রোধে আমদানির অনুমতি দেয় কৃষি মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (০৮ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন পাইকারি পেঁয়াজের বাজার ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন জাতের দেশি পেঁয়াজের পাশাপাশি আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
বর্তমানে বাজারে প্রতি পাল্লা (পাঁচ কেজি) পাবনার পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে ৩৭৫ টাকা থেকে ৪০০ টাকা, যা কেজিতে পড়ছে ৭৫ টাকা থেকে ৮০ টাকা। ফরিদপুরের পেঁয়াজের পাল্লা বিক্রি করা হচ্ছে ৩১০ টাকা থেকে ৩৪০ টাকা, যা কেজিতে পড়ছে ৬২ থেকে ৬৮ টাকা। রাজশাহীর পেঁয়াজের পাল্লা বিক্রি করা হচ্ছে ৩৭৫ টাকা, যা কেজিতে পড়ছে ৭৫ টাকা। এছাড়া আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে ৩২৫ টাকা, যা কেজিতে পড়েছে ৬৫ টাকা।
অথচ ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরুর আগে এ বাজারেই প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১১০ টাকার বেশি বিক্রি হয়েছিল। এদিকে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির পর দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৩০- ৩৫ টাকা কমলেও সন্তুষ্ট হতে পারছে না ক্রেতারা। তাদের দাবি, দাম বাড়ানোর তুলনায় দাম কমেনি। বর্তমান দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে পেঁয়াজের দাম এখনও নি¤œ ও মধ্যবিত্তদের নাগালের বাইরে। এছাড়া অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের জোর ভূমিকা নেই বলেও জানিয়েছেন তারা। তবে পাইকারি বাজারে দাম কমলেও খুচরা বাজারে এখনো পেঁয়াজের দাম কমার প্রভাব পড়েনি। পাড়া-মহল্লার মুদি দোকানে আজও পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়।
৪ লাখ ৭৩ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি
এর আগে দেশে ৪ লাখ ৭৩ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। কৃষি মন্ত্রণালয় গত সোমবার থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া শুরু করে। মঙ্গলবার পর্যন্ত ৪ লাখ ৩৩ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়। সবশেষ বুধবার (৭ জুন) আরও ৪০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়। প্রথম দিন সোমবার ২ লাখ ৮০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেয় কৃষি মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গত রোববার কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক ঘোষণা দেন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি বা আইপি দেবে কৃষি মন্ত্রণালয়। পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সীমিত আয়ের এবং শ্রমজীবী মানুষের কষ্ট লাঘবসহ সব ভোক্তার স্বার্থ রক্ষায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে মন্ত্রণালয়। উল্লেখ্য, পেঁয়াজ উৎপাদন করে কৃষক যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য কৃষকের স্বার্থ সুরক্ষায় বিগত ১৫ মার্চ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি বন্ধ রাখা হয়েছিল। এদিকে ভারত থেকে আমদানি করা হবে এমন ঘোষণার পর কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। দুই দিনে পণ্যটির দাম প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে।