ঢাকা ০২:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫

চাকসুর ২৬ পদের মধ্যে ২৪টিতে বিজয়ী শিবির

  • আপডেট সময় : ০৮:৫৪:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫
  • ৫ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

চট্টগ্রাম সংবাদদাতা: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে ভূমিধস জয় পেয়েছে ছাত্রশিবির সমর্থিত সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট। ভিপি-জিএসসহ ২৬ পদের মধ্যে ২৪টিতেই জয়লাভ করেছেন এ প্যানেলের প্রার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) ভোরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন এ ফলাফল ঘোষণা করেন। এসময় তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। প্রার্থী ও ভোটারদের অংশগ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয় উৎসবমুখর হয়ে উঠেছিল।

ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল থেকে সহ-সভাপতি (ভিপি) হিসেবে মো. ইব্রাহিম হোসেন রনি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সাঈদ বিন হাবিব জয়ী হয়েছেন। এর মাধ্যমে চাকসুতে ৪৪ বছর পর নেতৃত্বে ফিরেছে ছাত্রশিবির।

এ প্যানেলের বাইরে সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের আইয়ুবুর রহমান তৌফিক এবং সহ-খেলাধুলা ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী তামান্না মাহবুব প্রীতি জয় পেয়েছেন।

ইতিহাস বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রনি ভিপি পদে পেয়েছেন ৭ হাজার ৯৮৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় পেয়েছেন ৪ হাজার ৩৭৪ ভোট। জিএস পদে জয়ী ইতিহাস বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হাবিব পেয়েছেন ৮ হাজার ৩১ ভোট। আর ছাত্রদলের প্রার্থী মো. শাফায়াত পেয়েছেন ২ হাজার ৭৩৪ ভোট।

শিবির সমর্থিত প্যানেল থেকে বিজয়ী বাকিরা হলেন- খেলাধুলা ও ক্রীড়া সম্পাদক মোহাম্মদ শাওন; সাহিত্য, সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক হারেস মাতাব্বর; সহ-সাহিত্য, সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক জিহাদ আহনাফ; দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান; সহ-দপ্তর সম্পাদক জান্নাতুল আদন নুসরাত; সমাজসেবা ও পরিবেশ সম্পাদক তাহসিনা রহমান; গবেষণা ও উদ্ভাবন সম্পাদক তানভীর আঞ্জুম শোভন এবং বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক মাহবুবুর রহমান।

এছাড়া ছাত্রীকল্যাণ সম্পাদক নাহিমা আক্তার দীপা; সহ-ছাত্রীকল্যাণ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদাউস রিতা; স্বাস্থ্য সম্পাদক আফনান হাসান ইমরা; মুক্তিযোদ্ধা ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক মোনায়েম শরীফ; ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক মেহেদি হাসান সোহান; যোগাযোগ ও আবাসন সম্পাদক ইসহাক ভূঁইয়া; সহ-যোগাযোগ ও আবাসন সম্পাদক ওবায়দুল সালমান; আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক ফজলে রাব্বি তাওহিদ এবং পাঠাগার ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ জয়ী হয়েছেন।

সেই সঙ্গে পাঁচ নির্বাহী সদস্য পদে শিবির প্যানেলের জান্নাতুল ফেরদাউস সানজিদা, সালমান সাকিব, আকাশ দাশ, সোহানুর রহমান সোহান ও আদনান শরিফ নির্বাচিত হয়েছেন।

চাকসু নির্বাচনে বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এ নির্বাচনে ভোট হয়েছে ব্যালট পেপারে। গণনা হয়েছে ওএমআর (অপটিক্যাল মার্ক রিডার) পদ্ধতিতে। এলইডি স্ক্রিনের মাধ্যমে ভোট গণনা সরাসরি দেখানো হয়। এজন্য ছিল ১৪টি এলইডি স্ক্রিন।

চাকসু নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন বলেন, চাকসু নির্বাচনে হাতে লাগানো অমোচনীয় কালি উঠে যাওয়াসহ বিচ্ছিন্ন কিছু অভিযোগ ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। উৎসব মুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণ হয়েছে।

চাকসু নির্বাচনে এবার ২৭ হাজার ৫১৬ জন ভোটারের মধ্যে ১৭ হাজার ৭১৭ জন ভোট দিয়েছেন। মোট ভোট পড়েছে ৬৫ শতাংশ।

এসি/আপ্র/১৬/১০/২০২৫

 

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

চাকসুর ২৬ পদের মধ্যে ২৪টিতে বিজয়ী শিবির

আপডেট সময় : ০৮:৫৪:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

চট্টগ্রাম সংবাদদাতা: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে ভূমিধস জয় পেয়েছে ছাত্রশিবির সমর্থিত সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট। ভিপি-জিএসসহ ২৬ পদের মধ্যে ২৪টিতেই জয়লাভ করেছেন এ প্যানেলের প্রার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) ভোরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন এ ফলাফল ঘোষণা করেন। এসময় তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। প্রার্থী ও ভোটারদের অংশগ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয় উৎসবমুখর হয়ে উঠেছিল।

ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল থেকে সহ-সভাপতি (ভিপি) হিসেবে মো. ইব্রাহিম হোসেন রনি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সাঈদ বিন হাবিব জয়ী হয়েছেন। এর মাধ্যমে চাকসুতে ৪৪ বছর পর নেতৃত্বে ফিরেছে ছাত্রশিবির।

এ প্যানেলের বাইরে সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের আইয়ুবুর রহমান তৌফিক এবং সহ-খেলাধুলা ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী তামান্না মাহবুব প্রীতি জয় পেয়েছেন।

ইতিহাস বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রনি ভিপি পদে পেয়েছেন ৭ হাজার ৯৮৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় পেয়েছেন ৪ হাজার ৩৭৪ ভোট। জিএস পদে জয়ী ইতিহাস বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হাবিব পেয়েছেন ৮ হাজার ৩১ ভোট। আর ছাত্রদলের প্রার্থী মো. শাফায়াত পেয়েছেন ২ হাজার ৭৩৪ ভোট।

শিবির সমর্থিত প্যানেল থেকে বিজয়ী বাকিরা হলেন- খেলাধুলা ও ক্রীড়া সম্পাদক মোহাম্মদ শাওন; সাহিত্য, সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক হারেস মাতাব্বর; সহ-সাহিত্য, সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক জিহাদ আহনাফ; দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান; সহ-দপ্তর সম্পাদক জান্নাতুল আদন নুসরাত; সমাজসেবা ও পরিবেশ সম্পাদক তাহসিনা রহমান; গবেষণা ও উদ্ভাবন সম্পাদক তানভীর আঞ্জুম শোভন এবং বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক মাহবুবুর রহমান।

এছাড়া ছাত্রীকল্যাণ সম্পাদক নাহিমা আক্তার দীপা; সহ-ছাত্রীকল্যাণ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদাউস রিতা; স্বাস্থ্য সম্পাদক আফনান হাসান ইমরা; মুক্তিযোদ্ধা ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক মোনায়েম শরীফ; ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক মেহেদি হাসান সোহান; যোগাযোগ ও আবাসন সম্পাদক ইসহাক ভূঁইয়া; সহ-যোগাযোগ ও আবাসন সম্পাদক ওবায়দুল সালমান; আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক ফজলে রাব্বি তাওহিদ এবং পাঠাগার ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ জয়ী হয়েছেন।

সেই সঙ্গে পাঁচ নির্বাহী সদস্য পদে শিবির প্যানেলের জান্নাতুল ফেরদাউস সানজিদা, সালমান সাকিব, আকাশ দাশ, সোহানুর রহমান সোহান ও আদনান শরিফ নির্বাচিত হয়েছেন।

চাকসু নির্বাচনে বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এ নির্বাচনে ভোট হয়েছে ব্যালট পেপারে। গণনা হয়েছে ওএমআর (অপটিক্যাল মার্ক রিডার) পদ্ধতিতে। এলইডি স্ক্রিনের মাধ্যমে ভোট গণনা সরাসরি দেখানো হয়। এজন্য ছিল ১৪টি এলইডি স্ক্রিন।

চাকসু নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন বলেন, চাকসু নির্বাচনে হাতে লাগানো অমোচনীয় কালি উঠে যাওয়াসহ বিচ্ছিন্ন কিছু অভিযোগ ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। উৎসব মুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণ হয়েছে।

চাকসু নির্বাচনে এবার ২৭ হাজার ৫১৬ জন ভোটারের মধ্যে ১৭ হাজার ৭১৭ জন ভোট দিয়েছেন। মোট ভোট পড়েছে ৬৫ শতাংশ।

এসি/আপ্র/১৬/১০/২০২৫