ঢাকা ০৫:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫

চাকরি ছেড়ে সমুচা বেচে দম্পতির দিনে আয় ১৫ লাখ টাকা

  • আপডেট সময় : ১০:৪৯:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩
  • ১৩১ বার পড়া হয়েছে

নারী ও শিশু ডেস্ক : স্বপ্ন দেখা সহজ, তবে তা বাস্তবায়ন করা বেশ কঠিন। তবে যারা সত্যিকার অর্থেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে চান, তারা হাজার প্রতিবন্ধকতাও জয় করতে পারেন। তেমন দুজন মানুষ হলো নিধি সিং ও তার স্বামী শিখর বীর সিং। ভারতের বেঙ্গালুরুর এই দম্পতি সমাজ ও পরিবারের বাধা ডিঙিয়ে ও লোককথায় কান না দিয়ে স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন। লাখ লাখ টাকা বেতনের চাকরি ছেড়ে তারা সমুচার ব্যবসায় নেমে পড়েন।
এমনকি নিজেদের বাড়িটিও বিক্রি করে দেন স্বপ্নপূরণে। নিজের সঞ্চয় আর বাড়ি বিক্রির টাকা খাটিয়েই তারা ব্যবসা শুরু করেন। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকে হয়নি তাদের। আজ তারা দিনে ১২ লাখ রুপি অর্থাৎ বাংলাদেশি অর্থে দিনে ১৫ লাখ ৩৭ হাজারেরও বেশি টাকা উপার্জন করেন। তাদের এই গল্প সত্যিই অন্যদের কাছে দৃষ্টান্তস্বরূপ। শিখর জানান, ছাত্র থাকা অবস্থায় সমুচা বিক্রির এই ধারণা তার মাথায় আসে। স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (এসবিআই) শাখার বাইরে সামোসা বিক্রি করার স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি। তবে সমাজের নিয়ম ও তার ডিগ্রির কথা মাথায় রেখে একজন বিজ্ঞানী হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন শিখর। তবুও মনে মনে ওই স্বপ্ন তিনি লালন করছিলেন।
২০১৫ সালের একদিন তিনি এক শিশুকে একটি ফুড কোর্টের সামনে সমুচার জন্য কান্নাকাটি করতে দেখেন। সেদিনই তিনি সমুচা বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন। একজন বিজ্ঞানী হিসেবে তার স্বনামধন্য চাকরি ছেড়ে বেঙ্গালুরুতে চলে আসেন ও ‘সামোসা সিং’ নামক স্ন্যাকস এর দোকান খোলেন। তখন নিধি সিং গুরুগ্রামের একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিতে ৩০ লাখ টাকার বার্ষিক প্যাকেজ’সহ উচ্চ পদে কর্মরত ছিলেন। সমাজের নিয়মগুলোকে সামনে রেখে চাকরি থেকে ব্যবসায় পাল্টানো এই দম্পতির পক্ষে সহজ ছিল না। তবে তারা সফল হয়েছেন। এই ব্যবসা শুরু করতে তারা নিজেদের সব সঞ্চয় কাজে লাগান। পরবর্তী সময়ে যখন ব্যবসা বাড়তে থাকে ও তাদের রান্নাঘরের জন্য একটি বড় জায়গার প্রয়োজন হয়, তখন নিজেদের ফ্ল্যাট বিক্রি করে দেন এই দম্পতি। পরে বেঙ্গালুরুতে একটি কারখানা ভাড়া নেন তারা। জানলে অবাক হবেন, এই দম্পতির সমুচা সমগ্র ভারতে জনপ্রিয়। ভারত জুড়ে ৪০টিরও বেশি আউটলেট আছে ‘সমুচা সিং’ এর। তাদের সমুচা স্বাদে অনন্য। আর এ কারণেই ক্রেতারা তাদের সমুচার স্বাদে মুগ্ধ। বাটার চিকেন সামোসা ও কদাই পনির সামোসার জন্য বেশি পরিচিত ‘সমুচা সিং’। এখন তারা আরও বেশি স্বাদে ও আউটলেট বাড়ানোর পরিকল্পনা করছেন। সমুচার পাশাপাশি পানি পুরি, দই পুরি, মসলা পুরি, ভাদা পাভ, দাবেলি, সামোসা থালা, জাজিরা, গুলাব জামুন, মুগ ডালের হালুয়া’সহ আরও নানা ধরনের মুখোরোচক খাবারও পাওয়া যায় ‘সমুচা সিং’ এর আউটলেটে। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া/বিজনেস টুডে/হিন্দুস্তান টাইমস/জি নিউজ

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

চাকরি ছেড়ে সমুচা বেচে দম্পতির দিনে আয় ১৫ লাখ টাকা

আপডেট সময় : ১০:৪৯:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩

নারী ও শিশু ডেস্ক : স্বপ্ন দেখা সহজ, তবে তা বাস্তবায়ন করা বেশ কঠিন। তবে যারা সত্যিকার অর্থেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে চান, তারা হাজার প্রতিবন্ধকতাও জয় করতে পারেন। তেমন দুজন মানুষ হলো নিধি সিং ও তার স্বামী শিখর বীর সিং। ভারতের বেঙ্গালুরুর এই দম্পতি সমাজ ও পরিবারের বাধা ডিঙিয়ে ও লোককথায় কান না দিয়ে স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন। লাখ লাখ টাকা বেতনের চাকরি ছেড়ে তারা সমুচার ব্যবসায় নেমে পড়েন।
এমনকি নিজেদের বাড়িটিও বিক্রি করে দেন স্বপ্নপূরণে। নিজের সঞ্চয় আর বাড়ি বিক্রির টাকা খাটিয়েই তারা ব্যবসা শুরু করেন। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকে হয়নি তাদের। আজ তারা দিনে ১২ লাখ রুপি অর্থাৎ বাংলাদেশি অর্থে দিনে ১৫ লাখ ৩৭ হাজারেরও বেশি টাকা উপার্জন করেন। তাদের এই গল্প সত্যিই অন্যদের কাছে দৃষ্টান্তস্বরূপ। শিখর জানান, ছাত্র থাকা অবস্থায় সমুচা বিক্রির এই ধারণা তার মাথায় আসে। স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (এসবিআই) শাখার বাইরে সামোসা বিক্রি করার স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি। তবে সমাজের নিয়ম ও তার ডিগ্রির কথা মাথায় রেখে একজন বিজ্ঞানী হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন শিখর। তবুও মনে মনে ওই স্বপ্ন তিনি লালন করছিলেন।
২০১৫ সালের একদিন তিনি এক শিশুকে একটি ফুড কোর্টের সামনে সমুচার জন্য কান্নাকাটি করতে দেখেন। সেদিনই তিনি সমুচা বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন। একজন বিজ্ঞানী হিসেবে তার স্বনামধন্য চাকরি ছেড়ে বেঙ্গালুরুতে চলে আসেন ও ‘সামোসা সিং’ নামক স্ন্যাকস এর দোকান খোলেন। তখন নিধি সিং গুরুগ্রামের একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিতে ৩০ লাখ টাকার বার্ষিক প্যাকেজ’সহ উচ্চ পদে কর্মরত ছিলেন। সমাজের নিয়মগুলোকে সামনে রেখে চাকরি থেকে ব্যবসায় পাল্টানো এই দম্পতির পক্ষে সহজ ছিল না। তবে তারা সফল হয়েছেন। এই ব্যবসা শুরু করতে তারা নিজেদের সব সঞ্চয় কাজে লাগান। পরবর্তী সময়ে যখন ব্যবসা বাড়তে থাকে ও তাদের রান্নাঘরের জন্য একটি বড় জায়গার প্রয়োজন হয়, তখন নিজেদের ফ্ল্যাট বিক্রি করে দেন এই দম্পতি। পরে বেঙ্গালুরুতে একটি কারখানা ভাড়া নেন তারা। জানলে অবাক হবেন, এই দম্পতির সমুচা সমগ্র ভারতে জনপ্রিয়। ভারত জুড়ে ৪০টিরও বেশি আউটলেট আছে ‘সমুচা সিং’ এর। তাদের সমুচা স্বাদে অনন্য। আর এ কারণেই ক্রেতারা তাদের সমুচার স্বাদে মুগ্ধ। বাটার চিকেন সামোসা ও কদাই পনির সামোসার জন্য বেশি পরিচিত ‘সমুচা সিং’। এখন তারা আরও বেশি স্বাদে ও আউটলেট বাড়ানোর পরিকল্পনা করছেন। সমুচার পাশাপাশি পানি পুরি, দই পুরি, মসলা পুরি, ভাদা পাভ, দাবেলি, সামোসা থালা, জাজিরা, গুলাব জামুন, মুগ ডালের হালুয়া’সহ আরও নানা ধরনের মুখোরোচক খাবারও পাওয়া যায় ‘সমুচা সিং’ এর আউটলেটে। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া/বিজনেস টুডে/হিন্দুস্তান টাইমস/জি নিউজ