ঢাকা ০২:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

চাকরির প্রস্তুতি

  • আপডেট সময় : ১১:৪০:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ৮৮ বার পড়া হয়েছে

ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক : আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শেষ না করে ক্যারিয়ার প্রস্তুতি শুরু করেন না। কিন্তু বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বাজারে নিজেকে নিয়োগদাতাদের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে হলে প্রয়োজন এমন কিছু দক্ষতা, যেগুলো অর্জন করা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। এ কারণে এখন অনেকেই সচেতন হয়ে উঠেছেন।
ক্যারিয়ার প্রস্তুতি নেওয়া কতটা জরুরি? ক্যারিয়ার বাছাই করা বেশ কঠিন কাজ। নিজের পছন্দ-অপছন্দ, দক্ষতা আর সামর্থ্য-বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এ কারণে সময় নিয়ে ক্যারিয়ার প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি। নাহলে পরবর্তীতে পেশা পরিবর্তনের প্রয়োজন হতে পারে।
কখন নেবেন ক্যারিয়ার প্রস্তুতি? মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পর্যায় থেকেই নিজের পছন্দের বিষয় বা আগ্রহের পেশা ও তার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে চিন্তাভাবনা করা উচিত। এক্ষেত্রে খুব বেশি সচেতনতার দরকার নেই। শুধু আগ্রহের বিষয়ে খেয়াল রাখলেই যথেষ্ট। যেমন – ভবিষ্যতে আইন, দর্শন, ভাষা বা সাহিত্যের মতো বিষয়ে পড়ে ক্যারিয়ার গঠন করতে চাইলে এ পর্যায়ে মানবিক বিষয় নিয়ে পড়া ভালো। তেমনিভাবে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হতে চাইলে মাধ্যমিকে বিজ্ঞান নেওয়া দরকার।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আগেই উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে যদি একটু সচেতন থাকা যায়, তাহলে ভর্তি পরীক্ষাও অনেকাংশে সহজ হয়ে যেতে পারে। কী হতে চান আর কোথায় পড়লে কাঙ্ক্ষিত পেশায় যেতে পারবেন – এ প্রশ্নগুলো মাথায় রেখে পড়াশোনা করলে পরীক্ষাপ্রস্তুতিতে ভালোমতো মনোযোগ দিতে পারবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসেও ক্যারিয়ার নিয়ে নতুনভাবে হিসাবনিকাশ করা যায়। এর কারণ সামাজিকভাবে প্রচলিত ধারণা। আমরা অনেকেই হয়তো ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আইনজীবী, অর্থনীতিবিদ বা শিক্ষকের বাইরে অন্যান্য পেশা সম্পর্কে জানিনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ এ ধারণা বদলে দিতে পারে। বর্তমানে বহু বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যারিয়ার ক্লাব আর অ্যালামনাই এসোসিয়েশনে ক্যারিয়ার বিষয়ক অনেক তথ্য পাওয়া যায়। একটু খোঁজখবর রাখলেই নিজের পড়াশোনার বিষয়ে কেমন ক্যারিয়ার গড়া যায়, সে ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন। উল্লেখ্য যে, সরকারি চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতিও বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকার সময় শুরু করা শ্রেয়। পাশাপাশি উচ্চশিক্ষার জন্য বিভিন্ন পরীক্ষার (এগঅঞ, এজঊ, ওঊখঞঝ, ঞঙঊঋখ) উপর নিজেকে প্রস্ত্তত করা সম্ভব।
মূল কথা হলো, ক্যারিয়ার প্রস্তুতির নির্দিষ্টভাবে আদর্শ কোন সময় নেই। তবে স্কুল-কলেজে পড়ার সময় থেকেই যদি কোন পেশায় নিজের আগ্রহ থাকে, সে পেশা গ্রহণের জন্যে কী ধরনের শিক্ষাগত যোগ্যতা দরকার বা কোন বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ প্রয়োজন আছে কি না – এসব সাধারণ বিষয় নিয়ে জানার চেষ্টা করলে ভালো ক্যারিয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন খুব সহজ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নতুন আপদ ‘মব সন্ত্রাস’, আতঙ্কে সারা দেশ

চাকরির প্রস্তুতি

আপডেট সময় : ১১:৪০:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২

ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক : আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শেষ না করে ক্যারিয়ার প্রস্তুতি শুরু করেন না। কিন্তু বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বাজারে নিজেকে নিয়োগদাতাদের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে হলে প্রয়োজন এমন কিছু দক্ষতা, যেগুলো অর্জন করা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। এ কারণে এখন অনেকেই সচেতন হয়ে উঠেছেন।
ক্যারিয়ার প্রস্তুতি নেওয়া কতটা জরুরি? ক্যারিয়ার বাছাই করা বেশ কঠিন কাজ। নিজের পছন্দ-অপছন্দ, দক্ষতা আর সামর্থ্য-বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এ কারণে সময় নিয়ে ক্যারিয়ার প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি। নাহলে পরবর্তীতে পেশা পরিবর্তনের প্রয়োজন হতে পারে।
কখন নেবেন ক্যারিয়ার প্রস্তুতি? মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পর্যায় থেকেই নিজের পছন্দের বিষয় বা আগ্রহের পেশা ও তার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে চিন্তাভাবনা করা উচিত। এক্ষেত্রে খুব বেশি সচেতনতার দরকার নেই। শুধু আগ্রহের বিষয়ে খেয়াল রাখলেই যথেষ্ট। যেমন – ভবিষ্যতে আইন, দর্শন, ভাষা বা সাহিত্যের মতো বিষয়ে পড়ে ক্যারিয়ার গঠন করতে চাইলে এ পর্যায়ে মানবিক বিষয় নিয়ে পড়া ভালো। তেমনিভাবে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হতে চাইলে মাধ্যমিকে বিজ্ঞান নেওয়া দরকার।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আগেই উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে যদি একটু সচেতন থাকা যায়, তাহলে ভর্তি পরীক্ষাও অনেকাংশে সহজ হয়ে যেতে পারে। কী হতে চান আর কোথায় পড়লে কাঙ্ক্ষিত পেশায় যেতে পারবেন – এ প্রশ্নগুলো মাথায় রেখে পড়াশোনা করলে পরীক্ষাপ্রস্তুতিতে ভালোমতো মনোযোগ দিতে পারবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসেও ক্যারিয়ার নিয়ে নতুনভাবে হিসাবনিকাশ করা যায়। এর কারণ সামাজিকভাবে প্রচলিত ধারণা। আমরা অনেকেই হয়তো ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আইনজীবী, অর্থনীতিবিদ বা শিক্ষকের বাইরে অন্যান্য পেশা সম্পর্কে জানিনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ এ ধারণা বদলে দিতে পারে। বর্তমানে বহু বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যারিয়ার ক্লাব আর অ্যালামনাই এসোসিয়েশনে ক্যারিয়ার বিষয়ক অনেক তথ্য পাওয়া যায়। একটু খোঁজখবর রাখলেই নিজের পড়াশোনার বিষয়ে কেমন ক্যারিয়ার গড়া যায়, সে ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন। উল্লেখ্য যে, সরকারি চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতিও বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকার সময় শুরু করা শ্রেয়। পাশাপাশি উচ্চশিক্ষার জন্য বিভিন্ন পরীক্ষার (এগঅঞ, এজঊ, ওঊখঞঝ, ঞঙঊঋখ) উপর নিজেকে প্রস্ত্তত করা সম্ভব।
মূল কথা হলো, ক্যারিয়ার প্রস্তুতির নির্দিষ্টভাবে আদর্শ কোন সময় নেই। তবে স্কুল-কলেজে পড়ার সময় থেকেই যদি কোন পেশায় নিজের আগ্রহ থাকে, সে পেশা গ্রহণের জন্যে কী ধরনের শিক্ষাগত যোগ্যতা দরকার বা কোন বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ প্রয়োজন আছে কি না – এসব সাধারণ বিষয় নিয়ে জানার চেষ্টা করলে ভালো ক্যারিয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন খুব সহজ।