ঢাকা ০৯:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

  • আপডেট সময় : ১২:২০:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মে ২০২১
  • ১০১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : চাকরির পেছনে না ছুটে যুবকদের উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গতকাল শনিবার সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে মৎস্যজীবী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় পাঠানো ভিডিওবার্তায় এ কথা বলেন তিনি। ভিডিওবার্তায় মৎস্যজীবী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা জানান তিনি।
বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীলে দেশে পদার্পণ করেছে। সরকার এখন দেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করে সকলক্ষেত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে চায় মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, সকল ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে চাই। এবং জাতির পিতা যে আদর্শ নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছেন, সেই আদর্শ নিয়ে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে চলবে বাংলাদেশ। তার জন্মশতবার্ষিকীতে এই প্রতিজ্ঞাই করব, এই দেশকে সবদিক থেকে উন্নত ও সমৃদ্ধ করব।
সরকারপ্রধান আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করছে। আমাদের লক্ষ্য ছিলো বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করবে। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে ৯৮ সালেই দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করি। দ্বিতীয়বার সরকারে এসে আমরা সেই লক্ষ্য পূরণ করি। খাদ্যের সাথে পুষ্টিটা যাতে যোগ হয় তার ব্যবস্থা গ্রহণ করি।
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, আমাদের যুব সমাজকে প্রশিক্ষণ দেয়, জলাধারগুলো সংরক্ষণ করা। মাছ উৎপাদন যাতে বৃদ্ধি তার ব্যবস্থা নেওয়া। গবেষণা করে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করা। কৃত্রিম প্রজনন বৃদ্ধি করা। খাদ্য তালিকায় সব থেকে নিরাপদ পুষ্টি মাছই দেয়। একটা মানুষ ৬০ গ্রাম মাছ খেতে পারলে তার জন্য যথেষ্ট। এখন মানুষ ৬২ গ্রাম পর্যন্ত নিতে পারে। সুযোগটা সৃষ্টি হচ্ছে। একই সাথে ব্যাপক কর্মসংস্থান হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, যুব সমাজকে পড়ালেখা শেষ করে চাকরির পেছনে না ছুটে নিজেরাই মৎস্য খামার করে মাছ উৎপাদন করে বিক্রি করে পয়সা পেতে পারে। পাশাপাশি সারা বাংলাদেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছি। সেখানে আমরা সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্প গড়ে তোলা। মাছ ও মৎস্যজাত যেকোনো বিছু প্রক্রিয়াজাত করতে পারে সেই সুযোগটাও সৃষ্টি হচ্ছে। কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে জামানত ছাড়া ঋণ নিতে পারবে। সেখান থেকে ঋণ নিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ নদী-নালা, খাল-বিলের দেশ। বাংলাদেশে শত শত নদী রয়েছে। আমরা খাল-বিল ও জলাধারকে সংস্কার করার কাজ করে যাচ্ছি। সেখানে যাতে আরও বেশি পরিমাণ মাছ উৎপাদন হয় তার ব্যবস্থাও নিচ্ছি। আমাদের মাছের উৎপাদন যেখানে ২৭ লাখ মেট্রিক টন ছিলো এখন প্রায় ৫০ লাখ মেট্রিক টন উৎপাদন করে যাচ্ছি।
সরকারপ্রধান আরও বলেন, ইলিশ উৎপাদনে যথেষ্ঠ পদেক্ষপ নিয়েছি। মাছের প্রজনন সময়ে মৎস্যজীবীদের জন্য বিশেষ বরাদ্দ দিয়ে থাকি। প্রত্যেককে বিনা পয়সায় খাদ্য সাহায্য দিয়ে থাকি। বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও করে থাকি। তারা যাতে কষ্ট না পায় সেই ব্যবস্থাও করেছি। শেখ হাসিনা বলেন, মাছ উৎপাদনে আমরা বিশেষ যতœ নিচ্ছি। খাদ্য নিরাপত্তার পরে পুষ্টি নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়াতে এখন মানুষ পুষ্টিহীনতায় ভুগছে না। খাদ্য তালিকায় ভাতের পাশাপাশি মাছ, সবজি ও ফলমূল রাখতে অনুরোধ করেন তিনি। মৎস্যজীবী লীগকে আরও সুসংগঠিত করার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, মৎস্য উৎপাদনে আমাদের যুব সমাজ যাতে মনোযোগী হয় সেদিকে একটু দৃষ্টি দেয়া উচিত। এই খাতে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। সেই সুযোগটা কাজে লাগাতে এর জন্য প্রশিক্ষণ ও ঋণের ব্যবস্থা রয়েছে। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস যাতে কারো কোনো ক্ষতি করতে না পারে সেই দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে। নিজে সুরক্ষিত থাকতে হবে। অপরকে সুরক্ষিত রাখতে হবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

আপডেট সময় : ১২:২০:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মে ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : চাকরির পেছনে না ছুটে যুবকদের উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গতকাল শনিবার সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে মৎস্যজীবী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় পাঠানো ভিডিওবার্তায় এ কথা বলেন তিনি। ভিডিওবার্তায় মৎস্যজীবী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা জানান তিনি।
বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীলে দেশে পদার্পণ করেছে। সরকার এখন দেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করে সকলক্ষেত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে চায় মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, সকল ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে চাই। এবং জাতির পিতা যে আদর্শ নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছেন, সেই আদর্শ নিয়ে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে চলবে বাংলাদেশ। তার জন্মশতবার্ষিকীতে এই প্রতিজ্ঞাই করব, এই দেশকে সবদিক থেকে উন্নত ও সমৃদ্ধ করব।
সরকারপ্রধান আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করছে। আমাদের লক্ষ্য ছিলো বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করবে। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে ৯৮ সালেই দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করি। দ্বিতীয়বার সরকারে এসে আমরা সেই লক্ষ্য পূরণ করি। খাদ্যের সাথে পুষ্টিটা যাতে যোগ হয় তার ব্যবস্থা গ্রহণ করি।
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, আমাদের যুব সমাজকে প্রশিক্ষণ দেয়, জলাধারগুলো সংরক্ষণ করা। মাছ উৎপাদন যাতে বৃদ্ধি তার ব্যবস্থা নেওয়া। গবেষণা করে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করা। কৃত্রিম প্রজনন বৃদ্ধি করা। খাদ্য তালিকায় সব থেকে নিরাপদ পুষ্টি মাছই দেয়। একটা মানুষ ৬০ গ্রাম মাছ খেতে পারলে তার জন্য যথেষ্ট। এখন মানুষ ৬২ গ্রাম পর্যন্ত নিতে পারে। সুযোগটা সৃষ্টি হচ্ছে। একই সাথে ব্যাপক কর্মসংস্থান হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, যুব সমাজকে পড়ালেখা শেষ করে চাকরির পেছনে না ছুটে নিজেরাই মৎস্য খামার করে মাছ উৎপাদন করে বিক্রি করে পয়সা পেতে পারে। পাশাপাশি সারা বাংলাদেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছি। সেখানে আমরা সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্প গড়ে তোলা। মাছ ও মৎস্যজাত যেকোনো বিছু প্রক্রিয়াজাত করতে পারে সেই সুযোগটাও সৃষ্টি হচ্ছে। কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে জামানত ছাড়া ঋণ নিতে পারবে। সেখান থেকে ঋণ নিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ নদী-নালা, খাল-বিলের দেশ। বাংলাদেশে শত শত নদী রয়েছে। আমরা খাল-বিল ও জলাধারকে সংস্কার করার কাজ করে যাচ্ছি। সেখানে যাতে আরও বেশি পরিমাণ মাছ উৎপাদন হয় তার ব্যবস্থাও নিচ্ছি। আমাদের মাছের উৎপাদন যেখানে ২৭ লাখ মেট্রিক টন ছিলো এখন প্রায় ৫০ লাখ মেট্রিক টন উৎপাদন করে যাচ্ছি।
সরকারপ্রধান আরও বলেন, ইলিশ উৎপাদনে যথেষ্ঠ পদেক্ষপ নিয়েছি। মাছের প্রজনন সময়ে মৎস্যজীবীদের জন্য বিশেষ বরাদ্দ দিয়ে থাকি। প্রত্যেককে বিনা পয়সায় খাদ্য সাহায্য দিয়ে থাকি। বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও করে থাকি। তারা যাতে কষ্ট না পায় সেই ব্যবস্থাও করেছি। শেখ হাসিনা বলেন, মাছ উৎপাদনে আমরা বিশেষ যতœ নিচ্ছি। খাদ্য নিরাপত্তার পরে পুষ্টি নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়াতে এখন মানুষ পুষ্টিহীনতায় ভুগছে না। খাদ্য তালিকায় ভাতের পাশাপাশি মাছ, সবজি ও ফলমূল রাখতে অনুরোধ করেন তিনি। মৎস্যজীবী লীগকে আরও সুসংগঠিত করার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, মৎস্য উৎপাদনে আমাদের যুব সমাজ যাতে মনোযোগী হয় সেদিকে একটু দৃষ্টি দেয়া উচিত। এই খাতে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। সেই সুযোগটা কাজে লাগাতে এর জন্য প্রশিক্ষণ ও ঋণের ব্যবস্থা রয়েছে। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস যাতে কারো কোনো ক্ষতি করতে না পারে সেই দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে। নিজে সুরক্ষিত থাকতে হবে। অপরকে সুরক্ষিত রাখতে হবে।