ঢাকা ০৫:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বাস্তবায়নের দাবি

  • আপডেট সময় : ০৯:১৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২১
  • ৮৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : সকল প্রকার চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ন্যূনতম ৩৫ বাস্তবায়নের দাবিতে সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্র পরিষদ, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ (কেন্দ্রীয় কমিটি) ও স্বদেশি গণতান্ত্রিক আন্দোলন।
গতকাল শুক্রবার বিকাল সাড়ে তিনটায় রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ সমাবেশ করে সংগঠনগুলো। সমাবেশে তারা সাত দফা দাবি উপস্থাপন করে।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব মো. ইউসুফ জামিল। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারে বলা ছিলো সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর বিষয়ে দক্ষতা বিবেচনায় রেখে বাস্তবতার নিরিখে যুক্তিসঙ্গত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, ” বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ৭৩ বছর। চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা গড় আয়ুর সঙ্গে সঙ্গতি রাখলে কমপক্ষে ৪৫ বছর হওয়া যুক্তিসঙ্গত, কিন্তু আমরা মাত্র ৩৫ বছর পর্যন্ত করে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বের ১৬৫টির বেশি দেশে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বা তদূর্ধ্ব রয়েছে। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ৪০ বছর, শ্রীলঙ্কায় ৪৫ বছর, ইন্দোনেশিয়াতে ৪৫ বছর এবং মালয়েশিয়াতে ৫৫ বছর পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সুযোগ রয়েছে। ২০১১ সালে অবসরের বয়সসীমা ৫৭ বছর থেকে বাড়িয়ে ৫৯ বছর করা হয়েছিল। কিন্তু তখন অবসরের বয়সসীমার সঙ্গে সঙ্গতি দেখে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো হয়নি।
সমাবেশে উপস্থাপিত সাত দফা দাবির মধ্যে রয়েছে শিক্ষিত বেকার ও কর্মহীন সকল বয়সী বেকারদের কমপক্ষে মাসিক বিশ হাজার টাকা ভাতা রাষ্ট্র কর্তৃক নিশ্চিত করা, বেকারদের কর্মসংস্থান ও উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে উৎসাহ দিতে বিনা জামানাত ও বিনা সুদে রাষ্ট্রায়ত্ত সকল ব্যাংক কর্তৃক ১০ লাখ টাকা থেকে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ সুবিধা দেওয়া, চাকরির নামে করপোরেট দাস প্রথা বিলুপ্ত করতে অনতিবিলম্বে বেসরকারি চাকরির বেতন কাঠামো, কর্মঘণ্টা, পেনশনসহ গ্রহণযোগ্য নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা, সকল নিয়োগ পরীক্ষার আবেদন ফি সর্বোচ্চ ৫০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে নির্ধারণ করা, সর্বোচ্চ ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যে সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন করা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বাস্তবায়নের দাবি

আপডেট সময় : ০৯:১৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : সকল প্রকার চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ন্যূনতম ৩৫ বাস্তবায়নের দাবিতে সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্র পরিষদ, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ (কেন্দ্রীয় কমিটি) ও স্বদেশি গণতান্ত্রিক আন্দোলন।
গতকাল শুক্রবার বিকাল সাড়ে তিনটায় রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ সমাবেশ করে সংগঠনগুলো। সমাবেশে তারা সাত দফা দাবি উপস্থাপন করে।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব মো. ইউসুফ জামিল। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারে বলা ছিলো সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর বিষয়ে দক্ষতা বিবেচনায় রেখে বাস্তবতার নিরিখে যুক্তিসঙ্গত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, ” বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ৭৩ বছর। চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা গড় আয়ুর সঙ্গে সঙ্গতি রাখলে কমপক্ষে ৪৫ বছর হওয়া যুক্তিসঙ্গত, কিন্তু আমরা মাত্র ৩৫ বছর পর্যন্ত করে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বের ১৬৫টির বেশি দেশে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বা তদূর্ধ্ব রয়েছে। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ৪০ বছর, শ্রীলঙ্কায় ৪৫ বছর, ইন্দোনেশিয়াতে ৪৫ বছর এবং মালয়েশিয়াতে ৫৫ বছর পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সুযোগ রয়েছে। ২০১১ সালে অবসরের বয়সসীমা ৫৭ বছর থেকে বাড়িয়ে ৫৯ বছর করা হয়েছিল। কিন্তু তখন অবসরের বয়সসীমার সঙ্গে সঙ্গতি দেখে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো হয়নি।
সমাবেশে উপস্থাপিত সাত দফা দাবির মধ্যে রয়েছে শিক্ষিত বেকার ও কর্মহীন সকল বয়সী বেকারদের কমপক্ষে মাসিক বিশ হাজার টাকা ভাতা রাষ্ট্র কর্তৃক নিশ্চিত করা, বেকারদের কর্মসংস্থান ও উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে উৎসাহ দিতে বিনা জামানাত ও বিনা সুদে রাষ্ট্রায়ত্ত সকল ব্যাংক কর্তৃক ১০ লাখ টাকা থেকে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ সুবিধা দেওয়া, চাকরির নামে করপোরেট দাস প্রথা বিলুপ্ত করতে অনতিবিলম্বে বেসরকারি চাকরির বেতন কাঠামো, কর্মঘণ্টা, পেনশনসহ গ্রহণযোগ্য নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা, সকল নিয়োগ পরীক্ষার আবেদন ফি সর্বোচ্চ ৫০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে নির্ধারণ করা, সর্বোচ্চ ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যে সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন করা।