ঢাকা ০৫:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে অনশনে অব্যাহতি পাওয়া এসআইরা

  • আপডেট সময় : ০৬:১৫:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৭ বার পড়া হয়েছে

মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো অনশন কর্মসূচিতে অনড় রয়েছেন ৪০তম ব্যাচের অব্যাহতি পাওয়া ৩২১ জন শিক্ষানবিস উপ-পরিদর্শক। ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দ্বিতীয় দিনের মতো অনশন কর্মসূচি পালন করছেন ৪০তম ব্যাচের অব্যাহতি পাওয়া ৩২১ জন শিক্ষানবিশ উপ-পরিদর্শক (এসআই)। সচিবালয়ের সামনে আমরণ অনশন করছেন তারা।

অব্যাহতি পাওয়া এসআইরা জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সচিবালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচির মাধ্যমে আমরণ অনশন চলমান থাকবে। প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচিতে যাবেন।

চাকরি পুর্নবহালের দাবিতে সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল থেকে সচিবালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন ওই এসআইরা। পরে বিকাল ৫টার পর্যন্ত তাদের দাবি আদায় না হওয়ায় এক সংবাদ সম্মেলন করে অনশনের ঘোষণা দেন। পরে কর্তৃপক্ষের ডাকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সচিবালয়ে প্রবেশ করে অব্যাহতি পাওয়া এসআইদের চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। সেখানে জনপ্রশাসন সচিবের সঙ্গে বৈঠকে কোনও সুরাহা না হওয়ায় আমরণ অনশন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা।

সংবাদ সম্মেলনে অব্যাহতি পাওয়া এসআই আলমগীর হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশের ৪০তম ক্যাডেট সাব-ইন্সপেক্টর ব্যাচের চলমান ট্রেনিং থেকে অন্যায়ভাবে অব্যাহতি দেওয়ার প্রতিবাদ ও চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে আমরা ৩২১ জন সাব-ইন্সপেক্টর গত ৫ ও ৬ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করি। আমাদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে স্বরাষ্ট্র সচিব দেখা করেন। দাবির বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে এ বিষয়ে কোনও দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখছি না।’

এর আগে অবস্থান কর্মসূচিতে আন্দোলনকারীরা বলেন, ২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর আমরা প্রশিক্ষণে অংশ নেই। প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হওয়ার পর নানা কারণ দেখিয়ে আমাদের চাকরিতে নিয়োগ না দিয়ে চারটি ধাপে মোট ৩২১ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

এ সময় সাজিদুল ইসলাম নামে একজন বলেন, ‘বিভিন্ন ছোট ছোট কারণে ট্রেনিং সম্পন্ন করে পোস্টিং দেওয়ার পরিবর্তে আমাদের ৩২১ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। নাস্তা না খাওয়ার কারণ দেখিয়ে ২০৩ জনকে বাদ দেওয়া হয়েছে। মাঠে কমান্ড না শুনে দাঁড়িয়ে থাকার কারণ দেখিয়ে ৪৯ জন, ক্লাসে অমনোযোগী থাকার কারণ দেখিয়ে ৫৮ জনকে বাদ দেওয়া হয়। ক্লাসে মার্চিং না করে যাওয়ার জন্য তিন জন এবং সর্বশেষ মাঠে হইচই করার জন্য আট জনকে বাদ দেওয়া হয়েছে।’

 

 

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে অনশনে অব্যাহতি পাওয়া এসআইরা

আপডেট সময় : ০৬:১৫:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দ্বিতীয় দিনের মতো অনশন কর্মসূচি পালন করছেন ৪০তম ব্যাচের অব্যাহতি পাওয়া ৩২১ জন শিক্ষানবিশ উপ-পরিদর্শক (এসআই)। সচিবালয়ের সামনে আমরণ অনশন করছেন তারা।

অব্যাহতি পাওয়া এসআইরা জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সচিবালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচির মাধ্যমে আমরণ অনশন চলমান থাকবে। প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচিতে যাবেন।

চাকরি পুর্নবহালের দাবিতে সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল থেকে সচিবালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন ওই এসআইরা। পরে বিকাল ৫টার পর্যন্ত তাদের দাবি আদায় না হওয়ায় এক সংবাদ সম্মেলন করে অনশনের ঘোষণা দেন। পরে কর্তৃপক্ষের ডাকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সচিবালয়ে প্রবেশ করে অব্যাহতি পাওয়া এসআইদের চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। সেখানে জনপ্রশাসন সচিবের সঙ্গে বৈঠকে কোনও সুরাহা না হওয়ায় আমরণ অনশন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা।

সংবাদ সম্মেলনে অব্যাহতি পাওয়া এসআই আলমগীর হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশের ৪০তম ক্যাডেট সাব-ইন্সপেক্টর ব্যাচের চলমান ট্রেনিং থেকে অন্যায়ভাবে অব্যাহতি দেওয়ার প্রতিবাদ ও চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে আমরা ৩২১ জন সাব-ইন্সপেক্টর গত ৫ ও ৬ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করি। আমাদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে স্বরাষ্ট্র সচিব দেখা করেন। দাবির বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে এ বিষয়ে কোনও দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখছি না।’

এর আগে অবস্থান কর্মসূচিতে আন্দোলনকারীরা বলেন, ২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর আমরা প্রশিক্ষণে অংশ নেই। প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হওয়ার পর নানা কারণ দেখিয়ে আমাদের চাকরিতে নিয়োগ না দিয়ে চারটি ধাপে মোট ৩২১ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

এ সময় সাজিদুল ইসলাম নামে একজন বলেন, ‘বিভিন্ন ছোট ছোট কারণে ট্রেনিং সম্পন্ন করে পোস্টিং দেওয়ার পরিবর্তে আমাদের ৩২১ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। নাস্তা না খাওয়ার কারণ দেখিয়ে ২০৩ জনকে বাদ দেওয়া হয়েছে। মাঠে কমান্ড না শুনে দাঁড়িয়ে থাকার কারণ দেখিয়ে ৪৯ জন, ক্লাসে অমনোযোগী থাকার কারণ দেখিয়ে ৫৮ জনকে বাদ দেওয়া হয়। ক্লাসে মার্চিং না করে যাওয়ার জন্য তিন জন এবং সর্বশেষ মাঠে হইচই করার জন্য আট জনকে বাদ দেওয়া হয়েছে।’