ঢাকা ০৪:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

চাকরিজীবী নারী-পুরুষের মধ্যে বিয়ে বন্ধে বেকারত্ব সমস্যার সমাধান: সাংসদ রেজাউল

  • আপডেট সময় : ০১:৫৩:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ১০৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বেকারত্ব একটি বড় সমস্যা। এই সমস্যা সমাধানের বড় পথ কর্মসংস্থান সৃষ্টি। তবে কর্মসংস্থান বা উদ্যোক্তা তৈরি নয়, চাকরিজীবী নারী ও চাকরিজীবী পুরুষের মধ্যে বিয়ে বন্ধ করে দিলেই এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলে মনে করেন বগুড়া-৭ আসন থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র সাংসদ রেজাউল করিম।
এ জন্য একটি আইন করারও দাবি তুলেছেন সাংসদ রেজাউল। আর সেই দাবি তুলেছেন জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে। অবশ্য তাঁর এই দাবি তাৎক্ষণিকভাবেই অনেকটা খারিজ করে দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এর আগে গত বছর জাতীয় সংসদে দেওয়া বক্তব্যে ধর্ষণের জন্য নারীবাদীদের দোষারোপ করে সমালোচিত হয়েছিলেন বগুড়ার এই সাংসদ। গতকাল শনিবার সংসদে ‘জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ বিল-২০২১’–এর ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে রেজাউল বলেন, চাকরিজীবী পুরুষ চাকরিজীবী নারীকে আর চাকরিজীবী নারী চাকরিজীবী পুরুষকে বিয়ে করতে পারবেন না। এই আইন করলে বেকার সমস্যা থাকবে না। স্বামী–স্ত্রী উভয়ে চাকরি করলে সন্তানকে ঘরে রেখে যেতে হয়। এতে অনেক শিশু নির্যাতনের শিকার হয়। এই আইন করলে এ রকম নির্যাতনও কমে যাবে বলে মনে করেন এই সাংসদ। রেজাউল করিমের এই বক্তব্যের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘এ রকম প্রস্তাব নিয়ে আমি এখান থেকে দুই কদমও হাঁটতে পারব না। আমি জনপ্রতিনিধি। বাক্স্বাধীনতা আছে। তিনি (বাবলু) স্বাধীনভাবে যা ইচ্ছা তা–ই বলতে পারেন। আমি যা ইচ্ছা তা–ই করতে পারি না।’ এর আগে গত বছরের ১৭ নভেম্বর সংসদে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ-ের বিধান ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) বিল-২০০০’ সংসদে পাস হওয়ার সময় রেজাউল করিম বলেছিলেন, ‘নারীবাদীরা নারী স্বাধীনতার কথা বলে নারীদের উন্মুক্ত করে চলছে। এ কারণেই ধর্ষকেরা ধর্ষণের অনুভূতিকে এতটা একসেপ্ট করেছে, ধর্ষণে উৎসাহিত হচ্ছে।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

চাকরিজীবী নারী-পুরুষের মধ্যে বিয়ে বন্ধে বেকারত্ব সমস্যার সমাধান: সাংসদ রেজাউল

আপডেট সময় : ০১:৫৩:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : বেকারত্ব একটি বড় সমস্যা। এই সমস্যা সমাধানের বড় পথ কর্মসংস্থান সৃষ্টি। তবে কর্মসংস্থান বা উদ্যোক্তা তৈরি নয়, চাকরিজীবী নারী ও চাকরিজীবী পুরুষের মধ্যে বিয়ে বন্ধ করে দিলেই এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলে মনে করেন বগুড়া-৭ আসন থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র সাংসদ রেজাউল করিম।
এ জন্য একটি আইন করারও দাবি তুলেছেন সাংসদ রেজাউল। আর সেই দাবি তুলেছেন জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে। অবশ্য তাঁর এই দাবি তাৎক্ষণিকভাবেই অনেকটা খারিজ করে দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এর আগে গত বছর জাতীয় সংসদে দেওয়া বক্তব্যে ধর্ষণের জন্য নারীবাদীদের দোষারোপ করে সমালোচিত হয়েছিলেন বগুড়ার এই সাংসদ। গতকাল শনিবার সংসদে ‘জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ বিল-২০২১’–এর ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে রেজাউল বলেন, চাকরিজীবী পুরুষ চাকরিজীবী নারীকে আর চাকরিজীবী নারী চাকরিজীবী পুরুষকে বিয়ে করতে পারবেন না। এই আইন করলে বেকার সমস্যা থাকবে না। স্বামী–স্ত্রী উভয়ে চাকরি করলে সন্তানকে ঘরে রেখে যেতে হয়। এতে অনেক শিশু নির্যাতনের শিকার হয়। এই আইন করলে এ রকম নির্যাতনও কমে যাবে বলে মনে করেন এই সাংসদ। রেজাউল করিমের এই বক্তব্যের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘এ রকম প্রস্তাব নিয়ে আমি এখান থেকে দুই কদমও হাঁটতে পারব না। আমি জনপ্রতিনিধি। বাক্স্বাধীনতা আছে। তিনি (বাবলু) স্বাধীনভাবে যা ইচ্ছা তা–ই বলতে পারেন। আমি যা ইচ্ছা তা–ই করতে পারি না।’ এর আগে গত বছরের ১৭ নভেম্বর সংসদে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ-ের বিধান ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) বিল-২০০০’ সংসদে পাস হওয়ার সময় রেজাউল করিম বলেছিলেন, ‘নারীবাদীরা নারী স্বাধীনতার কথা বলে নারীদের উন্মুক্ত করে চলছে। এ কারণেই ধর্ষকেরা ধর্ষণের অনুভূতিকে এতটা একসেপ্ট করেছে, ধর্ষণে উৎসাহিত হচ্ছে।’