প্রত্যাশা ডেস্ক : নাসা যখন মানব নভোচারী পাঠানোর লক্ষ্যে ‘আর্টেমিস’ প্রকল্প নিয়ে ব্যস্ত, চাঁদের বুকে তখন ঘুরে বেড়াচ্ছে চীনের ইউটু-২ রোভার। ২০১৯ সাল থেকে চন্দ্রপৃষ্টে দাপিয়ে বেড়ানো রোভারটির নজর এখন দূরের এক “রহস্যময় চতুষ্কোণ” বস্তুর দিকে।
দূরবর্তী এক চারকোণা বস্তু নজরে পড়েছে ইউটু-২ রোভারের। চীনের রোভারটি এখন ওই বস্তুটি আদতে কী, সেটি জানতে তদন্ত নেমেছে বলে জানিয়েছে দেশটি। রোভার থেকে তোলা ওই “রহস্যময় চতুষ্কোণ”-এর ছবিও প্রকাশ করেছে ‘চায়না ন্যাশনাল স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (সিএনএসএ)’। এর আগে ২০১৯ সালে চাঁদের এক গিরিখাদে ‘জেল জাতীয় পদার্থ’ আবিষ্কার করে হইচই ফলে দিয়েছিল ইউটু-২। পরবর্তীতে সেটি কাঁচের মতো দেখতে পাথর হিসেবে প্রমাণিত হয়। একে মহাকাশে বুদ্ধিমান প্রাণের উপস্থিতির প্রমাণ হিসেবে ধরে নিয়ে আশাহত হয়েছিলেন অনেকেই। বস্তুটির যে অনানুষ্ঠানিক ডাকনাম দেওয়া হয়েছে, বাংলায় অনুবাদ করলে তার মানে দাঁড়ায় “রহস্যের বাড়ি”।
প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট সিনেট বলছে, ইউটু-২’র ক্যামেরায় ঘোলা ছবি উঠেছে চতুষ্কোণ বস্তুটির, রোভার থেকে এখনও বেশ দূরে রয়েছে এটি। তবে, এটি মহাকাশে প্রাণের উপস্থিতির কোনো প্রমাণ হওয়ার বদলে পাথরের বড় টুকরা হওয়ার আশঙ্কাই বেশি বলে জানিয়েছে সাইটটি। চাঁদের ওই অংশে গ্রহাণু আছড়ে পড়ার ফলে সৃষ্ট অনেক গর্ত রয়েছে। ইউটু-২ চাঁদের বুকে ঘুরে বেড়াচ্ছে সিএনএসএ’র চ্যাং’ই-৪ মিশনের অংশ হিসেবে। রোভারটি থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চাঁদের পৃষ্ঠের নিচের গঠন নিয়ে আরও পরিষ্কার ধারণা পাচ্ছেন গবেষকরা। সৌরশক্তিতে চলে চীনের ইউটু-২ রোভারটি। নির্দিষ্ট সময় পরপর ঘুমিয়ে পড়ে, আবার চাঁদের ভন কারম্যান গিরিখাদে সূর্য্যের আলো ফুটলে তবেই কাজে নামে এটি। চায়না ডেইলি’র দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ইতোমধ্যে আটশ’ ৪০ মিটার পথ পাড়ি দিয়েছে রোভারটি, এর পরবর্তী গন্তব্যস্থল ওই ‘রহস্যময় চতুষ্কোণ’।
চাঁদের বুকে ‘রহস্যময় চতুষ্কোণ’ তদন্তে চীনের রোভার
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ