ঢাকা ০৪:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

চাঁদের বুকে ‘চিরনিদ্রায়’ মার্কিন মুন ল্যান্ডার

  • আপডেট সময় : ১২:০২:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪
  • ৭৯ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : ৫০ বছরে চাঁদের পৃষ্ঠে নামা প্রথম মার্কিন মহাকাশযানটির অবশেষে জীবনাবসান ঘটেছে। ‘চিরকালের জন্য ঘুমিয়ে পড়েছে’ ল্যান্ডারটি। মার্কিন প্রাইভেট রকেট কোম্পানি ‘ইনটুইটিভ মেশিনস’-এর তৈরি ক্রুবিহীন ‘ওডিশাস’ মুন ল্যান্ডার চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি চাঁদে অবতরণ করে। হিউস্টনভিত্তিক কোম্পানিটি শনিবার রাতে বলেছে, ‘ওডিশাস’ নামের এই মুন ল্যান্ডারটি এ সপ্তাহে ‘বাড়িতে ফোন করেনি’ অর্থাৎ এর কোনও খবর মেলেনি। যদিও অনুমান করা হয়েছিল, ল্যান্ডারটির সৌর প্যানেল এর রেডিও চালু করার জন্য পর্যাপ্ত সূর্যের আলো পাবে। অবতরণের সময় ল্যান্ডারটির পা চাঁদের মাটিতে আটকে যাওয়ায় এটি এক পাশে হেলে পড়ে, যার মূলত চাঁদের পৃষ্ঠে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে কাজ করার কথা ছিল। তবে, মিশন শেষ হওয়ার আগেও ল্যান্ডারটি বেশ কয়েকটি পরীক্ষা সম্পন্ন করে ও শেষবারের মতো একটি ছবি পাঠায়। কোম্পানি আশা করেছিল, সূর্যের আলোর দেখা পেলে আবারও ‘জেগে উঠতে’ পারে ল্যান্ডারটি। যেমন জাপানের স্লিম মহাকাশযানটি গত জানুয়ারিতে উল্টো অবতরণ করার পরেও কাজ করতে পেরেছে। কোম্পানিটি শনিবার এক্স-এ বলেছে, বেশ কয়েকদিন অপেক্ষার পর অপারেটররা নিশ্চিত করেছেন যে, ল্যান্ডারের পাওয়ার সিস্টেম, যেটির ডাকনাম ‘ওডি’ ‘বাড়িতে আর কল করবে না।’ “এ এক্স বার্তার মাধ্যমে আমরা নিশ্চিত করছি, চাঁদে অবতরণকারী প্রথম বাণিজ্যিক মুন ল্যান্ডার হিসাবে ইতিহাসে নিজের ছাপ রেখে স্থায়ীভাবে হারিয়ে গেছে ওডি,” বলেছে কোম্পানিটি। তবে, ল্যান্ডারটি অবতরণের সময় একাধিক সমস্যার মধ্যে পড়লেও মিশনটিকে সফল দাবি করেছে ‘ইনটুইটিভ মেশিনস’ ও নাসা। ওডিশাসের যাত্রার আগ পর্যন্ত চাঁদে অবতরণ করা সর্বশেষ মার্কিন নভোযান ছিল ‘অ্যাপোলো ১৭’, যেটিতে করে ১৯৭২ সালে চাঁদে সর্বশেষ মানুষ পাঠানো হয়েছিল। এ দশক শেষে আর্টেমিস প্রকল্পের অধীনে নভোচারীদের পুনরায় চাঁদে পাঠানোর পরিকল্পনা করছে নাসা। এরই ধারাবাহিকতায় নাসা ‘ইনটুইটিভ মেশিনস’কে ১২ কোটি ডলারের আর্থিক অনুদান দিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি। মূলত চাঁদের দক্ষিণ মেরু সম্পর্কে বিজ্ঞানভিত্তিক তথ্য বিস্তারিতভাবে বুঝতে নাসার নকশা করা বিভিন্ন যন্ত্র বহন করেছে ওডিশাস। এ বছর চাঁদের উদ্দেশ্যে আরও দুটি মিশন পরিকল্পনা করছে ‘ইনটুইটিভ মেশিনস’, যেগুলো নাসার ‘কমার্শিয়াল লুনার পেলোড সার্ভিস (সিএলপিএস)’ প্রকল্পের অংশ। মূলত এ প্রকল্পে বিভিন্ন প্রাইভেট কোম্পানির সঙ্গে কাজ করে থাকে নাসা।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

চাঁদের বুকে ‘চিরনিদ্রায়’ মার্কিন মুন ল্যান্ডার

আপডেট সময় : ১২:০২:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪

প্রত্যাশা ডেস্ক : ৫০ বছরে চাঁদের পৃষ্ঠে নামা প্রথম মার্কিন মহাকাশযানটির অবশেষে জীবনাবসান ঘটেছে। ‘চিরকালের জন্য ঘুমিয়ে পড়েছে’ ল্যান্ডারটি। মার্কিন প্রাইভেট রকেট কোম্পানি ‘ইনটুইটিভ মেশিনস’-এর তৈরি ক্রুবিহীন ‘ওডিশাস’ মুন ল্যান্ডার চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি চাঁদে অবতরণ করে। হিউস্টনভিত্তিক কোম্পানিটি শনিবার রাতে বলেছে, ‘ওডিশাস’ নামের এই মুন ল্যান্ডারটি এ সপ্তাহে ‘বাড়িতে ফোন করেনি’ অর্থাৎ এর কোনও খবর মেলেনি। যদিও অনুমান করা হয়েছিল, ল্যান্ডারটির সৌর প্যানেল এর রেডিও চালু করার জন্য পর্যাপ্ত সূর্যের আলো পাবে। অবতরণের সময় ল্যান্ডারটির পা চাঁদের মাটিতে আটকে যাওয়ায় এটি এক পাশে হেলে পড়ে, যার মূলত চাঁদের পৃষ্ঠে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে কাজ করার কথা ছিল। তবে, মিশন শেষ হওয়ার আগেও ল্যান্ডারটি বেশ কয়েকটি পরীক্ষা সম্পন্ন করে ও শেষবারের মতো একটি ছবি পাঠায়। কোম্পানি আশা করেছিল, সূর্যের আলোর দেখা পেলে আবারও ‘জেগে উঠতে’ পারে ল্যান্ডারটি। যেমন জাপানের স্লিম মহাকাশযানটি গত জানুয়ারিতে উল্টো অবতরণ করার পরেও কাজ করতে পেরেছে। কোম্পানিটি শনিবার এক্স-এ বলেছে, বেশ কয়েকদিন অপেক্ষার পর অপারেটররা নিশ্চিত করেছেন যে, ল্যান্ডারের পাওয়ার সিস্টেম, যেটির ডাকনাম ‘ওডি’ ‘বাড়িতে আর কল করবে না।’ “এ এক্স বার্তার মাধ্যমে আমরা নিশ্চিত করছি, চাঁদে অবতরণকারী প্রথম বাণিজ্যিক মুন ল্যান্ডার হিসাবে ইতিহাসে নিজের ছাপ রেখে স্থায়ীভাবে হারিয়ে গেছে ওডি,” বলেছে কোম্পানিটি। তবে, ল্যান্ডারটি অবতরণের সময় একাধিক সমস্যার মধ্যে পড়লেও মিশনটিকে সফল দাবি করেছে ‘ইনটুইটিভ মেশিনস’ ও নাসা। ওডিশাসের যাত্রার আগ পর্যন্ত চাঁদে অবতরণ করা সর্বশেষ মার্কিন নভোযান ছিল ‘অ্যাপোলো ১৭’, যেটিতে করে ১৯৭২ সালে চাঁদে সর্বশেষ মানুষ পাঠানো হয়েছিল। এ দশক শেষে আর্টেমিস প্রকল্পের অধীনে নভোচারীদের পুনরায় চাঁদে পাঠানোর পরিকল্পনা করছে নাসা। এরই ধারাবাহিকতায় নাসা ‘ইনটুইটিভ মেশিনস’কে ১২ কোটি ডলারের আর্থিক অনুদান দিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি। মূলত চাঁদের দক্ষিণ মেরু সম্পর্কে বিজ্ঞানভিত্তিক তথ্য বিস্তারিতভাবে বুঝতে নাসার নকশা করা বিভিন্ন যন্ত্র বহন করেছে ওডিশাস। এ বছর চাঁদের উদ্দেশ্যে আরও দুটি মিশন পরিকল্পনা করছে ‘ইনটুইটিভ মেশিনস’, যেগুলো নাসার ‘কমার্শিয়াল লুনার পেলোড সার্ভিস (সিএলপিএস)’ প্রকল্পের অংশ। মূলত এ প্রকল্পে বিভিন্ন প্রাইভেট কোম্পানির সঙ্গে কাজ করে থাকে নাসা।