ঢাকা ০৪:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

চাঁদা না দেওয়ায় কারখানার মালিককে হত্যা, আটক ৪

  • আপডেট সময় : ০৭:৫৪:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৫৩ বার পড়া হয়েছে

নরসিংদী সংবাদদাতা : নরসিংদীতে চাঁদা না দেওয়ায় নুর মোহাম্মদ (৪৮) নামে এক পাওয়ারলুম কারখানা মালিককে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করেছে। হত্যার পর গুমের উদ্দেশে মরদেহ ফেলতে গিয়ে জনতার হাতে আটক হয় অভিযুক্তরা। পরে তাদের পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়। গতকাল শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে মরদেহ উদ্ধার করে অভিযুক্তদের পুলিশ হেফাজতে নেয়। নিহত নুর মোহাম্মদ সদর উপজেলার মাধবদী কাঠালিয়া ইউনিয়নের কৌলাতপুর গ্রামের আলকাস মিয়ার ছেলে। সে নূর মোহাম্মদ পাওয়ারলুম ও ট্রেক্সটাইল কারখানার মালিক ছিলেন। আটকরা হলেন- নরসিংদীর মাধবদী কাঠালিয়া গ্রামের রাব্বানির ছেলে রবিন (২১), একই গ্রামের এবাদুল্লাহর ছেলে রুবেল (২২), কাঠালিয়া ইউনিয়নের কৌলাতপুর গ্রামের অব্দুল আজিজ ছেলে আলামিন (৪২) ও আব্দুল রশিদ এর ছেলে রকিব হোসেন (২১)। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার মাধবদী কাঠালিয়া ইউনিয়নের কৌলাতপুর গ্রামের আলকাস মিয়ার ছেলে নূর মোহাম্মদ নিজ নামিয় নূর মোহাম্মদ পাওয়ারলুম ও টেক্সটাইল কারখানা পরিচালনা করে আসছিলেন। সম্প্রতি এলাকার রবিন, রকিব ,আলামিন ও রুবেলসহ বেশ কয়েকজন নুর মোহাম্মদের কাছে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তবে তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানান। সর্বশেষ ৫ লাখ টাকা দাবি করেন। এতেও মিল মালিক অস্বীকৃতি জানায়।

এ নিয়ে তাদের সঙ্গে কারখানা মালিকের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এরই জেরে গতকাল শুক্রবার রাতে নূর মোহাম্মদকে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আসেন। পরে তাকে তার কারখানার পাশের একটি বন্ধ কারখানায় নিয়ে যায়। সেখানে তাদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়। এরই মধ্যে চাঁদা দাবি করা রুবেল, রকিব ,রবিন ও আলামিন ও অজ্ঞাত নামা আরও ১ জনসহ ৫ জন নূর মোহাম্মদকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে। হত্যার পর মরদেহ গুমের উদ্দেশে ভোরে মরদেহ বস্তাবন্দি করে নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার সীমান্তে ফেলে দিতে যায়। মরদেহ ফেলার সময় স্থানীয় লোকজন দেখে ফেলে। পরে স্থানীয়রা তাদের আটক করে গণধোলাই দেয়। পরে স্থানীয়রা মাধবদী থানা পুলিশকে খবর দেয়। দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের সদর হাসপাতালে পাঠায়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে চারজনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়। কাঠালিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. ইসাক মিয়া বলেন, পুলিশ যাদের আটক করেছে, তারা এলাকার চিহ্নিত ডাকাত ও মাদক কারবারি। তাদের স্থানীয়রা আটকের পর চাঁদার কারণে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, পাওয়ারলুম মালিক নুর মোহাম্মদকে হত্যার অভিযোগে চারজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞেসাবাদ করা হচ্ছে। এর মধ্যে একজন ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবির কথা জানিয়েছে। বাকিরা অন্য কথা বলছে। সবগুলো বিষয় তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

চাঁদা না দেওয়ায় কারখানার মালিককে হত্যা, আটক ৪

আপডেট সময় : ০৭:৫৪:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

নরসিংদী সংবাদদাতা : নরসিংদীতে চাঁদা না দেওয়ায় নুর মোহাম্মদ (৪৮) নামে এক পাওয়ারলুম কারখানা মালিককে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করেছে। হত্যার পর গুমের উদ্দেশে মরদেহ ফেলতে গিয়ে জনতার হাতে আটক হয় অভিযুক্তরা। পরে তাদের পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়। গতকাল শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে মরদেহ উদ্ধার করে অভিযুক্তদের পুলিশ হেফাজতে নেয়। নিহত নুর মোহাম্মদ সদর উপজেলার মাধবদী কাঠালিয়া ইউনিয়নের কৌলাতপুর গ্রামের আলকাস মিয়ার ছেলে। সে নূর মোহাম্মদ পাওয়ারলুম ও ট্রেক্সটাইল কারখানার মালিক ছিলেন। আটকরা হলেন- নরসিংদীর মাধবদী কাঠালিয়া গ্রামের রাব্বানির ছেলে রবিন (২১), একই গ্রামের এবাদুল্লাহর ছেলে রুবেল (২২), কাঠালিয়া ইউনিয়নের কৌলাতপুর গ্রামের অব্দুল আজিজ ছেলে আলামিন (৪২) ও আব্দুল রশিদ এর ছেলে রকিব হোসেন (২১)। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার মাধবদী কাঠালিয়া ইউনিয়নের কৌলাতপুর গ্রামের আলকাস মিয়ার ছেলে নূর মোহাম্মদ নিজ নামিয় নূর মোহাম্মদ পাওয়ারলুম ও টেক্সটাইল কারখানা পরিচালনা করে আসছিলেন। সম্প্রতি এলাকার রবিন, রকিব ,আলামিন ও রুবেলসহ বেশ কয়েকজন নুর মোহাম্মদের কাছে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তবে তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানান। সর্বশেষ ৫ লাখ টাকা দাবি করেন। এতেও মিল মালিক অস্বীকৃতি জানায়।

এ নিয়ে তাদের সঙ্গে কারখানা মালিকের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এরই জেরে গতকাল শুক্রবার রাতে নূর মোহাম্মদকে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আসেন। পরে তাকে তার কারখানার পাশের একটি বন্ধ কারখানায় নিয়ে যায়। সেখানে তাদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়। এরই মধ্যে চাঁদা দাবি করা রুবেল, রকিব ,রবিন ও আলামিন ও অজ্ঞাত নামা আরও ১ জনসহ ৫ জন নূর মোহাম্মদকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে। হত্যার পর মরদেহ গুমের উদ্দেশে ভোরে মরদেহ বস্তাবন্দি করে নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার সীমান্তে ফেলে দিতে যায়। মরদেহ ফেলার সময় স্থানীয় লোকজন দেখে ফেলে। পরে স্থানীয়রা তাদের আটক করে গণধোলাই দেয়। পরে স্থানীয়রা মাধবদী থানা পুলিশকে খবর দেয়। দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের সদর হাসপাতালে পাঠায়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে চারজনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়। কাঠালিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. ইসাক মিয়া বলেন, পুলিশ যাদের আটক করেছে, তারা এলাকার চিহ্নিত ডাকাত ও মাদক কারবারি। তাদের স্থানীয়রা আটকের পর চাঁদার কারণে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, পাওয়ারলুম মালিক নুর মোহাম্মদকে হত্যার অভিযোগে চারজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞেসাবাদ করা হচ্ছে। এর মধ্যে একজন ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবির কথা জানিয়েছে। বাকিরা অন্য কথা বলছে। সবগুলো বিষয় তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।