নিজস্ব প্রতিবেদক : চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত রাজধানীর ফুলবাড়িয়ার জাকের সুপার মার্কেটের ছাদ থেকে ফেলে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় প্রধান আসামি ফিরোজসহ এজাহারনামীয় ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গ্রেফতাররা হলেন- মো. ফিরোজ আহম্মেদ (৫০), মো. হুমায়ুন কবির বিটু (৫৩), মো. নাসির উদ্দিন (৫০), মাহমুদুল হাসান রাসেল (৪১), হাজি মো. ফরিদ ভুইয়া ওরফে ছোট ফরিদ (৩৯) ও মো. আলম শিকদার (৫০)।
গত ২ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর ফুলবাড়িয়া জাকের সুপার মার্কেটে আধিপত্যকে কেন্দ্র করে মো. রাকিব শেখকে (৪৮) ছাদ থেকে ফেলে হত্যাচেষ্টা করা হয়। এ ঘটনায় ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে বংশাল থানায় ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ২০-৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলা নং-১০। সংবাদ মাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় ঘটনাটি সারাদেশে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। পরে র্যাব জড়িতদের আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।
এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে র্যাব সদরদপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-১০ এর তিনটি আভিযানিক দল নরসিংদী, গাজীপুর ও রাজধানীর গুলিস্তান এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করে।
গতকাল রোববার বিকেলে কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১০ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মাহফুজুর রহমান এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, গ্রেফতার ফিরোজ আহম্মেদ একজন সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ। গ্রেফতার অন্য আসামিরা ফিরোজ বাহিনীর লোক। ফিরোজ ফুলবাড়িয়া জাকের সুপার মার্কেটে তার আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তোলে। ফিরোজ সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ওই মার্কেটের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে চাঁদা আদায় করতো। ‘চাঁদা দিতে কেউ অস্বীকার বা বাধা প্রদান করলে তার সন্ত্রাসী পেটুয়া বাহিনী দিয়ে মারধরসহ নির্যাতন করে চাঁদা আদায় করতো ফিরোজ।’ গ্রেফতারদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
চাঁদা না দিলেই নির্যাতন করতো ‘ভয়ংকর ফিরোজ বাহিনী’
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ