সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) সংবাদদাতা: জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, এ বাংলাদেশ চাঁদাবাজি ছিল, চাঁদাবাজি হচ্ছে। সিন্ডিকেট ছিল, সিন্ডিকেট হচ্ছে। এগুলো বন্ধ করতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে একটি সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, সোনারগাঁয়ের শিল্প নগরীর বিভিন্ন জায়গায় দখলদারিত্ব যা ছিল তাই আছে। বিভিন্ন প্লট থেকে শুরু করে যতো টাকার ভাগবাটোয়ারা হতো এখন তার চেয়ে কম হয়না বরং আরও বেশি হয়। মনে রাখতে হবে অভ্যুত্থানের লড়াইয়ে ৫-৬ জুনে আমরা ৫০০ জনও রাজপথ ছিলাম না। কিন্তু ৫ আগস্টে আমরা ৫ কোটি মানুষ পুরো বাংলাদেশের রাজপথে নেমেছিলাম। এ জন্য সময় দিতে হবে, সাহসিকতার সঙ্গে রাজপথ থাকতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের রাজনৈতিক দল ফেব্রুয়ারি মাসে আসছে। আমাদের অনেক আশা-আকাঙ্ক্ষা রয়েছে। বিগত ১৬ বছর যে চর্চাগুলো ছিল আমরা এখন আবার সে চর্চাগুলো নতুন করে দেখতে পারছি। স্পষ্ট কথা যারা এসব চর্চাগুলো করে এসেছে তাদের রক্তে ওই চর্চা একদম মিশে গেছে। সেই চর্চা থেকে বের হয়ে আসতে তাদের নেতৃত্ব দিতে হবে যারা এ অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছিল।
সারজিস আলম বলে, আমাদের লড়াইয়ে খুনি হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। খুনি হাসিনা নিজে বাঁচার জন্যে এবং পরিবারকে বাঁচানোর জন্যে পালালেও তার নেতাকর্মীদের নিয়ে যাননি। এককথায় খুনি হাসিনা তার দলীয় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগকে টিসুর মতো ব্যবহার করেছেন।
তিনি বলেন, এখন অনেকে রাজনীতি করছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মের ব্যানারে। এখন চেনার সময় হয়েছে। বিগত ১৬-১৫ বছরে কোন নেতাকে কাছে পেয়েছেন এবং কোন নেতা আত্মগোপন কিংবা দেশের বাহিরে থেকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সুবিধা আদায় করেছেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বহু নেতা আছে যাদের বিগত ১৬ বছর জনগণ খুঁজেও পায়নি। তারা এখন নতুন করে নতুন রূপে এ বাংলাদেশে এসেছেন। তারাই এখন আপনাদের মাঝে হাত গোলাচ্ছেন। কঠিন সময়ে যাদের পাশে পাওয়া যায়নি তাদের নেতা হিসেবে মেনে নেওয়ার দয়া দেখাবেন না। যদি তা দেখান তাহলে শেখ হাসিনা যেভাবে কঠিন সময়ে তার নেতাদের ফেলে পালিয়েছে আপনাদের অবস্থাও একই হবে। আপনাদের ফেলে অনেক নেতা আবার জান নিয়ে পালাবেন।