ক্রীড়া প্রতিবেদক : দীর্ঘ দিন ধরে ব্রেইন টিউমারের সঙ্গে লড়াই করে না ফেরার দেশে চলে গেলেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক ক্রিকেটার সামিউর রহমান সামি। মঙ্গলবার সকাল পৌনে ৯টায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশের প্রথম ওয়ানডে তথা প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচের দলে ছিলেন এ ডানহাতি পেসার। তখনকার বাস্তবতায় আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার বড় হয়নি সামির, খেলতে পেরেছেন মাত্র দুইটি ওয়ানডে ম্যাচ। ক্রিকেট ছাড়ার পর বিসিবির প্যানেলভুক্ত ম্যাচ অফিশিয়াল হিসেবে যোগ দেন সামি। শুরুর দিকে আম্পায়ারিংয়ের পর ম্যাচ রেফারি হিসেবেও দায়িত্ব করেন তিনি। প্রথম শ্রেণি ও লিস্ট এ মিলিয়ে ২৮ ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন সামি। এছাড়া ঘরোয়া ক্রিকেটে ম্যাচ রেফারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ১৩৬টি ম্যাচে।
দেশের এক প্রখ্যাত ক্রীড়া পরিবারের অন্যতম সদস্য সামিউর রহমান সামি। বাংলাদেশের ক্রিকেটের সব সময়ের অন্যতম শীর্ষ ক্রিকেটার ও আইসিসি ট্রফিতে বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান ইউসুফ রহমান বাবুর আপন ছোট ভাই সামি। তাদে বড় ভাই জিল্লুর রহমান সত্তর ও আশির দশকে ঢাকাই বাস্কেটবলের অনেক নামি তারকা। ৭০ ও ৮০’র দশকে দেশের ক্রিকেটের অন্যতম তারকা ক্রিকেটার হিসেবে সমাদৃত ছিলেন ইউসুফ বাবু আর সামিউর রহমান সামি। দুই ভাই একসঙ্গে আইসিসি ট্রফি খেলেছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে। ক্রিকেটের পাশাপাশি দুই সহোদর ইউসুফ বাবু আর সামি বাস্কেটবলও খেলতেন। দুজনই সত্তর এবং আশির দশকের খুব নামি ক্রিকেটারের পাশাপাশি বাস্কেটবলারও ছিলেন। সাবেক পেসার সামিউর রহমানের সুনিয়ন্ত্রিত সিম বোলিং বিশেষ করে আউটসুইংয়ের প্রশংসা এখনো তার সমবয়সীদের মুখে মুখে। ক্রিকেট পাড়ার অনেক পুরনো আড্ডায় সামির দুর্দান্ত আউটসুইংয়ের গল্প শোনা যায়। ১৯৮৬ সালে শ্রীলঙ্কার মাটিতে সর্বপ্রথম এশিয়া কাপে পাকিস্তান আর শ্রীলঙ্কার সঙ্গে একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে অংশ নেয় বাংলাদেশ। সামিউর রহমান সামি ওই দুই ম্যাচেই বল হাতে টিম বাংলাদেশের বোলিং উদ্বোধন করেছেন। ঢাকাই ক্লাব ক্রিকেট মোহামেডান, আবাহনী, আজাদ বয়েজ ও ব্রাদার্স ইউনিয়নের মত প্রতিষ্ঠিত দলের হয়ে দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর সুনামের সঙ্গে খেলেছেন সামি। খেলা ছাড়ার পর এক সময় ম্যাচ অফিসিয়ালস হিসেবে জড়িয়ে পড়েন সামি।
চলে গেলেন জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার সামি
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ