ক্রীড়া ডেস্ক : গোলকিপার হিসেবে অ্যান্ডি গোরাম নিজেকে তুলেছিলেন অন্য উচ্চতায়। শীর্ষ পর্যায়ে খেলেছিলেন ক্রিকেটও। স্কটল্যান্ড ও রেঞ্জার্সের সাবেক এই গোলকিপিং গ্রেট আর নেই। ক্যান্সারের কাছে হার মেনে তিনি মারা গেছেন ৫৮ বছর বয়সে। স্কটিশ প্রিমিয়ারশিপের সফলতম দল রেঞ্জার্স শনিবার এক বিবৃতিতে তার মৃত্যুর খবর জানায়। গোরাম স্কটল্যান্ড জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন ৪৩ ম্যাচ। ক্রিকেটে খেলেছেন দুটি করে প্রথম শ্রেণির ও লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ। উভয় খেলায় শীর্ষ পর্যায়ে খেলা একমাত্র স্কটিশ তিনিই। গত এপ্রিলে গোরামের খাদ্যনালীর ক্যান্সার ধরা পড়ে। পরে জানা যায়, তিনি হয়তো ছয় মাস বাঁচতে পারেন। সে সময় কেমোথেরাপি না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। কারণ, কেমোথেরাপি নিলে বড়জোর তিন মাস বেশি বাঁচতে পারতেন তিনি। ১৯৯১ থেকে ১৯৯৮ পর্যন্ত রেঞ্জার্সের হয়ে তিনি খেলেন ২৬০ ম্যাচ। জেতেন পাঁচটি লিগ শিরোপা ও দুটি স্কটিশ কাপ। ১৯৯২ ও ১৯৯৬ সালের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে তিনি ছিলেন স্কটল্যান্ডের প্রথম পছন্দের গোলরক্ষক। ১৯৮৬ ও ১৯৯০ বিশ্বকাপের স্কটল্যান্ড দলেও ছিলেন তিনি। বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ও ডানহাতি মিডিয়াম পেসার হিসেবে ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডের স্থানীয় লিগ পর্যায়ে খেলেছিলেন গোরাম। ১৯৮৯ থেকে ১৯৯১ পর্যন্ত দুটি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে তার রান ৪৮, উইকেট ২টি। দুটি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচে ২১ রানের পাশাপাশি উইকেট ৩টি। তবে রেঞ্জার্স কোচ ওয়াল্টার স্মিথ তাকে পুরোপুরি ফুটবলে মনোযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন। এতে কার্যত তার ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ইতি ঘটে। ফুটবলে পরে ক্লাব ও জাতীয় দলের জার্সিতে তিনি হয়ে ওঠেন গোলপোস্টের অতন্দ্র প্রহরী।
২০০০-০১ মৌসুমে ধারে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়েও খেলেছেন গোরাম। সেবার ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের দলটি জিতেছিল প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা। খেলোয়াড়ী জীবন শেষে তিনি গোলকিপিং কোচ হিসেবে কাজ করেছেন বেশ কিছু ক্লাবে।
চলে গেলেন গোলকিপিং গ্রেট ও ক্রিকেটার গোরাম
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ