ঢাকা ০৫:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫

চলে গেলেন উত্তমকুমারের নায়িকা সুলক্ষণা পণ্ডিত

  • আপডেট সময় : ০২:৪৪:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫
  • ২৮ বার পড়া হয়েছে

সুলক্ষণা পণ্ডিত -ছবি আইএমডিবি

বিনোদন ডেস্ক: বলিউডের জনপ্রিয় গায়িকা এবং অভিনেত্রী সুলক্ষণা পণ্ডিত মারা গেছেন।

হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) রাতে মুম্বাইয়ের নানাবতী হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তাঁর ভাই সুরকার ললিত পণ্ডিত জানান, কয়েক দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। এদিন রাত আটটার সময় হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় সুলক্ষণার। আজ শুক্রবার দুপুরে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।

শিশুশিল্পী হিসেবে বলিউডে পা রেখেছিলেন সুলক্ষণা। ১৯৬৭ সালে ‘তকদির’ ছবিতে তাঁর ‘সাত সমুন্দর পার সে’ গান ব্যাপক জনপ্রিয় হয়। হিন্দির পাশাপাশি, বাংলা, মারাঠি, ওডিশা, গুজরাটিসহ একাধিক ভাষায় গান গেয়েছেন তিনি। ১৯৮০ সালে তাঁর গাওয়া অ্যালবাম ‘জজবাত’ বেশ জনপ্রিয়তা পায়। গজল শিল্পী হিসেবেও তিনি ছিলেন পরিচিত নাম।


১৯৮৬ সালে লন্ডনের রয়্যাল অ্যালবার্ট হলে আয়োজিত ‘ফেস্টিভ্যাল অব ইন্ডিয়ান মিউজিক’ কনসার্টে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন সুলক্ষণা। তিনি কিশোর কুমার, হেমন্ত কুমার, মোহাম্মদ রফি, শৈলেন্দ্র সিং, যেসুদাস, উদিত নারায়ণসহ খ্যাতনামা শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করেছেন।

১৯৭৫ সালে সঞ্জীব কুমারের বিপরীতে সাসপেন্স থ্রিলার ‘উলঝন’ ছবি দিয়ে শুরু হয় অভিনয়জীবন। সাত ও আটের দশকে একাধিক হিন্দি ছবিতে দাপটের সঙ্গে অভিনয় করেছেন তিনি। ‘সংকোচ’, ‘হেরাফেরি’, ‘আপনাপন’, ‘খানদান’, ‘চেহরে পে চেহরা’, ‘ধর্মকান্তা’ এবং ‘ওয়াক্ত কি দিওয়ার–এ তাঁর অভিনয় আজও সিনেমাপ্রেমীদের মুখে মুখে ফেরে।

বাংলা ছবিতেও অভিনয় করেছেন সুলক্ষণা। ১৯৭৮ সালে উত্তম কুমারের বিপরীতে অভিনয় করেন ‘বন্দী’ ছবিতে। তাঁর কাজ সমালোচক মহলে ব্যাপক প্রশংসাও কুড়িয়েছিল। জিতেন্দ্র, রাজেশ খান্না, বিনোদ খান্না, শশী কাপুর ও শত্রুঘ্ন সিনহার বিপরীতেও একাধিক ছবিতে কাজ করেছেন সুলক্ষণা।
১৯৯৬ সালে ‘খামোশি: দ্য মিউজিক্যাল’ ছবির ‘সাগর কিনারে ভি দো দিল’ ছিল তাঁর শেষ গান। সুর দিয়েছিলেন তাঁর ভাই যতীন-ললিত। শেষ জীবনে বলিউড থেকে নিজেকে একপ্রকার সরিয়েই নিয়েছিলেন। তাঁর প্রয়াণে বিনোদনজগতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

চলে গেলেন উত্তমকুমারের নায়িকা সুলক্ষণা পণ্ডিত

আপডেট সময় : ০২:৪৪:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫

বিনোদন ডেস্ক: বলিউডের জনপ্রিয় গায়িকা এবং অভিনেত্রী সুলক্ষণা পণ্ডিত মারা গেছেন।

হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) রাতে মুম্বাইয়ের নানাবতী হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তাঁর ভাই সুরকার ললিত পণ্ডিত জানান, কয়েক দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। এদিন রাত আটটার সময় হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় সুলক্ষণার। আজ শুক্রবার দুপুরে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।

শিশুশিল্পী হিসেবে বলিউডে পা রেখেছিলেন সুলক্ষণা। ১৯৬৭ সালে ‘তকদির’ ছবিতে তাঁর ‘সাত সমুন্দর পার সে’ গান ব্যাপক জনপ্রিয় হয়। হিন্দির পাশাপাশি, বাংলা, মারাঠি, ওডিশা, গুজরাটিসহ একাধিক ভাষায় গান গেয়েছেন তিনি। ১৯৮০ সালে তাঁর গাওয়া অ্যালবাম ‘জজবাত’ বেশ জনপ্রিয়তা পায়। গজল শিল্পী হিসেবেও তিনি ছিলেন পরিচিত নাম।


১৯৮৬ সালে লন্ডনের রয়্যাল অ্যালবার্ট হলে আয়োজিত ‘ফেস্টিভ্যাল অব ইন্ডিয়ান মিউজিক’ কনসার্টে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন সুলক্ষণা। তিনি কিশোর কুমার, হেমন্ত কুমার, মোহাম্মদ রফি, শৈলেন্দ্র সিং, যেসুদাস, উদিত নারায়ণসহ খ্যাতনামা শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করেছেন।

১৯৭৫ সালে সঞ্জীব কুমারের বিপরীতে সাসপেন্স থ্রিলার ‘উলঝন’ ছবি দিয়ে শুরু হয় অভিনয়জীবন। সাত ও আটের দশকে একাধিক হিন্দি ছবিতে দাপটের সঙ্গে অভিনয় করেছেন তিনি। ‘সংকোচ’, ‘হেরাফেরি’, ‘আপনাপন’, ‘খানদান’, ‘চেহরে পে চেহরা’, ‘ধর্মকান্তা’ এবং ‘ওয়াক্ত কি দিওয়ার–এ তাঁর অভিনয় আজও সিনেমাপ্রেমীদের মুখে মুখে ফেরে।

বাংলা ছবিতেও অভিনয় করেছেন সুলক্ষণা। ১৯৭৮ সালে উত্তম কুমারের বিপরীতে অভিনয় করেন ‘বন্দী’ ছবিতে। তাঁর কাজ সমালোচক মহলে ব্যাপক প্রশংসাও কুড়িয়েছিল। জিতেন্দ্র, রাজেশ খান্না, বিনোদ খান্না, শশী কাপুর ও শত্রুঘ্ন সিনহার বিপরীতেও একাধিক ছবিতে কাজ করেছেন সুলক্ষণা।
১৯৯৬ সালে ‘খামোশি: দ্য মিউজিক্যাল’ ছবির ‘সাগর কিনারে ভি দো দিল’ ছিল তাঁর শেষ গান। সুর দিয়েছিলেন তাঁর ভাই যতীন-ললিত। শেষ জীবনে বলিউড থেকে নিজেকে একপ্রকার সরিয়েই নিয়েছিলেন। তাঁর প্রয়াণে বিনোদনজগতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।