ঢাকা ১১:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

চলে গেলেন অস্কারজয়ী অভিনেতা সিডনি পটিয়ার

  • আপডেট সময় : ১২:১৯:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জানুয়ারী ২০২২
  • ৯২ বার পড়া হয়েছে

বিনোদন ডেস্ক : অস্কারে সেরা অভিনেতার পুরস্কারজয়ী প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ সিডনি পটিয়ার আর নেই। এই অভিনেতা ৯৪ বছর বয়সে শুক্রবার মারা যান বলে বাহামার প্রধানমন্ত্রী ফিলিপ ডেভিসকে উদ্ধৃত করে রয়টার্স জানিয়েছে। বাহামার নাগরিক পটিয়ার ১৯৬৩ সালে ‘লিলিস অব দ্য ফিল্ড’ সিনেমায় মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করে সেরা অভিনেতার অস্কার পুরস্কার জেতেন। ফিলিপ ডেভিস শুক্রবার ফেইসবুকে এক বিবৃতিতে বলেন, “অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে আমি আজ সকালে স্যার সিডনি পটিয়ারের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। তবে আমরা তার মৃত্যুতে শোক পালন করার পাশপাশি আমরা একজন মহান বাহামিয়ানের জীবন উদযাপনও করছি।” ডেভিস বলেন, “স্যার সিডনি পটিয়ার ছিলেন একজন সাংস্কৃতিক আইকন, একজন অভিনেতা, চলচ্চিত্র পরিচালক, নাগরিক ও মানবাধিকার কর্মী, এবং পরবর্তীতে তিনি হয়েছিলেন একজন কূটনীতিক।” হলিউডে বর্ণবাদের মূলোৎপাটনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা পটিয়ারের মৃত্যুতে অনেক খ্যাতিমান ব্যক্তিত্ব শোক প্রকাশ করেছেন। যক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, অস্কার বিজয়ী ভিওলা ডেভিস, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব অপরাহ উইনফ্রে তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
২০০৯ সালে ওবামা প্রেসিডেন্ট থাকাকালে পটিয়ারকে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অফ ফ্রিডম দেওয়া হয়েছিল। সিডনি পটিয়ার আমেরিকার মিয়ামিতে ১৯২৭ সালে একটি দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তবে তিনি তার ছেলেবেলা কাটান বাহামা দ্বীপপুঞ্জে। মাত্র ১৬ বছর বয়সে তিনি নিউ ইয়র্কে পাড়ি জমান। তার আগে সেনাবাহিনীতে একটি কাজ নেওয়ার জন্য তাকে বয়স সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য প্রদান করতে হয়েছিল। অভিনয়ের শিক্ষানবিশ সময়ে থালাবাসন ধোয়াসহ অনেক ছোটখাটো কাজ করতে হয়েছিল তাকে। ১৯৪৮ সালে পটিয়ার অভিনীত ‘অ্যানা লুকাস্টা’ ব্রডওয়েতে সাফল্য অর্জন করার দুই বছর পর রিচার্ড উইডমার্কের সঙ্গে ‘নো ওয়ে আউট” চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেয়ে যান তিনি। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি এই অভিনেতাকে। ১৯৭৪ সালে পটিয়ারকে ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ নাইট উপাধিতে ভূষিত করে। জাপান এবং জাতিসংঘের সাংস্কৃতিক সংস্থা ইউনেস্কোতে বাহামিয়ান রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন পটিয়ার। ১৯৯৪ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত ওয়াল্ট ডিজনি কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদেও দায়িত্ব পালন করেন কিংবদন্তি এই অভিনেতা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

চলে গেলেন অস্কারজয়ী অভিনেতা সিডনি পটিয়ার

আপডেট সময় : ১২:১৯:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জানুয়ারী ২০২২

বিনোদন ডেস্ক : অস্কারে সেরা অভিনেতার পুরস্কারজয়ী প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ সিডনি পটিয়ার আর নেই। এই অভিনেতা ৯৪ বছর বয়সে শুক্রবার মারা যান বলে বাহামার প্রধানমন্ত্রী ফিলিপ ডেভিসকে উদ্ধৃত করে রয়টার্স জানিয়েছে। বাহামার নাগরিক পটিয়ার ১৯৬৩ সালে ‘লিলিস অব দ্য ফিল্ড’ সিনেমায় মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করে সেরা অভিনেতার অস্কার পুরস্কার জেতেন। ফিলিপ ডেভিস শুক্রবার ফেইসবুকে এক বিবৃতিতে বলেন, “অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে আমি আজ সকালে স্যার সিডনি পটিয়ারের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। তবে আমরা তার মৃত্যুতে শোক পালন করার পাশপাশি আমরা একজন মহান বাহামিয়ানের জীবন উদযাপনও করছি।” ডেভিস বলেন, “স্যার সিডনি পটিয়ার ছিলেন একজন সাংস্কৃতিক আইকন, একজন অভিনেতা, চলচ্চিত্র পরিচালক, নাগরিক ও মানবাধিকার কর্মী, এবং পরবর্তীতে তিনি হয়েছিলেন একজন কূটনীতিক।” হলিউডে বর্ণবাদের মূলোৎপাটনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা পটিয়ারের মৃত্যুতে অনেক খ্যাতিমান ব্যক্তিত্ব শোক প্রকাশ করেছেন। যক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, অস্কার বিজয়ী ভিওলা ডেভিস, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব অপরাহ উইনফ্রে তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
২০০৯ সালে ওবামা প্রেসিডেন্ট থাকাকালে পটিয়ারকে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অফ ফ্রিডম দেওয়া হয়েছিল। সিডনি পটিয়ার আমেরিকার মিয়ামিতে ১৯২৭ সালে একটি দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তবে তিনি তার ছেলেবেলা কাটান বাহামা দ্বীপপুঞ্জে। মাত্র ১৬ বছর বয়সে তিনি নিউ ইয়র্কে পাড়ি জমান। তার আগে সেনাবাহিনীতে একটি কাজ নেওয়ার জন্য তাকে বয়স সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য প্রদান করতে হয়েছিল। অভিনয়ের শিক্ষানবিশ সময়ে থালাবাসন ধোয়াসহ অনেক ছোটখাটো কাজ করতে হয়েছিল তাকে। ১৯৪৮ সালে পটিয়ার অভিনীত ‘অ্যানা লুকাস্টা’ ব্রডওয়েতে সাফল্য অর্জন করার দুই বছর পর রিচার্ড উইডমার্কের সঙ্গে ‘নো ওয়ে আউট” চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেয়ে যান তিনি। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি এই অভিনেতাকে। ১৯৭৪ সালে পটিয়ারকে ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ নাইট উপাধিতে ভূষিত করে। জাপান এবং জাতিসংঘের সাংস্কৃতিক সংস্থা ইউনেস্কোতে বাহামিয়ান রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন পটিয়ার। ১৯৯৪ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত ওয়াল্ট ডিজনি কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদেও দায়িত্ব পালন করেন কিংবদন্তি এই অভিনেতা।