ঢাকা ০৭:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫

চলমান বিসিএস নিয়ে পিএসসিতে ১৫ প্রস্তাব এনসিপির

  • আপডেট সময় : ০৪:১৩:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
  • ২৯ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলমান বিসিএসের অগ্রগতির বিষয়ে পাবলিক সার্ভিস কমিশনে (পিএসসি) ১৫ দফা প্রস্তাবনা দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।

রোববার (২৫ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান বরাবর এ বিষয়ে স্মারকলিপি দেন দলটির নেতারা।

এনসিপির তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলে ছিলেন— দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন ও যুগ্ম সদস্য সচিব মোহাম্মদ মিরাজ মিয়া।

রোববার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ১৫ দফা প্রস্তাব গণমাধ্যমকে অবহিত করা হয়। ১৫ দফা হচ্ছে—

১. প্রধান উপদেষ্টার দফতরে থাকা ২০২৩ সালের নন-ক্যাডার বিধি সংশোধন করে পরীক্ষার্থীদের স্বার্থে দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য পিএসসি থেকে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর চিঠি ইস্যু করা। ৪৩ বিসিএস থেকেই তা সমন্বয় করতে হবে।

২. জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে পিএসসিতে ৪৩তম বিসিএস নন-ক্যাডার প্রার্থীদের জন্য অধিযাচিত পদগুলো দ্রুত সুপারিশ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।

৩. ৪৪তম বিসিএসে অধিযাচিত ৮৭০ পোস্ট বৃদ্ধিসহ চলতি সপ্তাহেই ৪৪ তম ব্যাচের পুনঃফলাফল দেওয়া। সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে এই বিসিএস চলমান থাকায় চলতি বছরেই যেন গেজেট প্রকাশ করতে হবে।

৪. ২০২৩ এর নন-ক্যাডার বিধির সংশোধন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে চলমান(৪৩, ৪৪,৪৫,৪৬ ও ৪৭তম) সব বিসিএস থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক নন-ক্যাডার পদে সুপারিশের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।

৫. ৪৩তম বিসিএস নন-ক্যাডার যারা পূর্বে ১২ গ্রেডের হেড টিচার হিসেবে সুপারিশ পেয়েছে, তাদের যেন মেধার ভিত্তিতে নতুন সার্কুলারে যুক্ত করা হয়।

৬. ৪৫ তম বিসিএস ভাইভার হাজিরা পত্রে ভাইভা মার্কস ১০০ নাম্বার লেখা আপডেট করতে হবে।

৭. চূড়ান্ত নাম্বারপত্র ওয়েবসাইটে রেজিষ্ট্রেশন ও রোল নাম্বার দিয়ে দেখার সুযোগ করে দেওয়া।

৮.স্বচ্ছতা রক্ষায় প্রিলি, লিখিত ও ভাইভার নম্বর প্রকাশ করা।

৯. জটিলতা কমাতে পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া এক মাসের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।

১০. ক্যালেন্ডার ইয়ারে প্রতিটি বিসিএস শেষ করতে হবে।

১১. ভাইভায় বোর্ডভিত্তিক নম্বরের তারতম্য হ্রাসে কয়েকটা নির্দিষ্ট ক্যাটাগরি করা (ভাষা দক্ষতা, পঠিত বিষয়, ক্যাডার চয়েজ, সমসাময়িক ইস্যু, রাষ্ট্রীয় পলিসি, প্রার্থীর বাহ্যিক ও মানসিক যোগ্যতা ইত্যাদি।

১২. শিক্ষা ও স্বাস্থ্য নিয়ে বিশেষ বিসিএসগুলোতে প্যানেল সিস্টেম রাখা।

১৩. প্রিলি থেকে লিখিত পরীক্ষার মধ্যবর্তী যৌক্তিক সময়সীমা অন্তত দুই মাস বা ৫০ দিন আগো লিখিত রুটিন প্রকাশ।

১৪. চূড়ান্ত ফলাফল দেয়ার আগে ক্রস চেক করা, যাতে সম ক্যাডার বা নিচের ক্যাডার কেউ না পেয়ে যান। যা অতীতের কমিশন করতো।

১৫. পিএসসি’র অধীনে হওয়া পরীক্ষাগুলো গ্রেডভিত্তিক নেওয়া।

এসি/আপ্র/২৬/১০/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

চলমান বিসিএস নিয়ে পিএসসিতে ১৫ প্রস্তাব এনসিপির

আপডেট সময় : ০৪:১৩:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলমান বিসিএসের অগ্রগতির বিষয়ে পাবলিক সার্ভিস কমিশনে (পিএসসি) ১৫ দফা প্রস্তাবনা দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।

রোববার (২৫ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান বরাবর এ বিষয়ে স্মারকলিপি দেন দলটির নেতারা।

এনসিপির তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলে ছিলেন— দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন ও যুগ্ম সদস্য সচিব মোহাম্মদ মিরাজ মিয়া।

রোববার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ১৫ দফা প্রস্তাব গণমাধ্যমকে অবহিত করা হয়। ১৫ দফা হচ্ছে—

১. প্রধান উপদেষ্টার দফতরে থাকা ২০২৩ সালের নন-ক্যাডার বিধি সংশোধন করে পরীক্ষার্থীদের স্বার্থে দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য পিএসসি থেকে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর চিঠি ইস্যু করা। ৪৩ বিসিএস থেকেই তা সমন্বয় করতে হবে।

২. জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে পিএসসিতে ৪৩তম বিসিএস নন-ক্যাডার প্রার্থীদের জন্য অধিযাচিত পদগুলো দ্রুত সুপারিশ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।

৩. ৪৪তম বিসিএসে অধিযাচিত ৮৭০ পোস্ট বৃদ্ধিসহ চলতি সপ্তাহেই ৪৪ তম ব্যাচের পুনঃফলাফল দেওয়া। সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে এই বিসিএস চলমান থাকায় চলতি বছরেই যেন গেজেট প্রকাশ করতে হবে।

৪. ২০২৩ এর নন-ক্যাডার বিধির সংশোধন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে চলমান(৪৩, ৪৪,৪৫,৪৬ ও ৪৭তম) সব বিসিএস থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক নন-ক্যাডার পদে সুপারিশের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।

৫. ৪৩তম বিসিএস নন-ক্যাডার যারা পূর্বে ১২ গ্রেডের হেড টিচার হিসেবে সুপারিশ পেয়েছে, তাদের যেন মেধার ভিত্তিতে নতুন সার্কুলারে যুক্ত করা হয়।

৬. ৪৫ তম বিসিএস ভাইভার হাজিরা পত্রে ভাইভা মার্কস ১০০ নাম্বার লেখা আপডেট করতে হবে।

৭. চূড়ান্ত নাম্বারপত্র ওয়েবসাইটে রেজিষ্ট্রেশন ও রোল নাম্বার দিয়ে দেখার সুযোগ করে দেওয়া।

৮.স্বচ্ছতা রক্ষায় প্রিলি, লিখিত ও ভাইভার নম্বর প্রকাশ করা।

৯. জটিলতা কমাতে পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া এক মাসের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।

১০. ক্যালেন্ডার ইয়ারে প্রতিটি বিসিএস শেষ করতে হবে।

১১. ভাইভায় বোর্ডভিত্তিক নম্বরের তারতম্য হ্রাসে কয়েকটা নির্দিষ্ট ক্যাটাগরি করা (ভাষা দক্ষতা, পঠিত বিষয়, ক্যাডার চয়েজ, সমসাময়িক ইস্যু, রাষ্ট্রীয় পলিসি, প্রার্থীর বাহ্যিক ও মানসিক যোগ্যতা ইত্যাদি।

১২. শিক্ষা ও স্বাস্থ্য নিয়ে বিশেষ বিসিএসগুলোতে প্যানেল সিস্টেম রাখা।

১৩. প্রিলি থেকে লিখিত পরীক্ষার মধ্যবর্তী যৌক্তিক সময়সীমা অন্তত দুই মাস বা ৫০ দিন আগো লিখিত রুটিন প্রকাশ।

১৪. চূড়ান্ত ফলাফল দেয়ার আগে ক্রস চেক করা, যাতে সম ক্যাডার বা নিচের ক্যাডার কেউ না পেয়ে যান। যা অতীতের কমিশন করতো।

১৫. পিএসসি’র অধীনে হওয়া পরীক্ষাগুলো গ্রেডভিত্তিক নেওয়া।

এসি/আপ্র/২৬/১০/২০২৫