ঢাকা ০৫:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫

চলতি মূলধনের অভাবে বন্ধ টিস্যু ব্যাগ ফ্যাক্টরি

  • আপডেট সময় : ১২:৪৯:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মে ২০২১
  • ১৪৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : অর্থের অভাবে এক বছর ধরে বন্ধ রয়েছে বাগেরহাটের নারী উদ্যোক্তা মেরি বেগমের টিস্যু ব্যাগ ফ্যাক্টরি। কাজ না থাকায় বেকার হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন ফ্যাক্টরির ২২ শ্রমিক। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় নষ্ট হতে চলেছে ফ্যাক্টরির মেশিন, কেমিক্যাল, কাঁচামালসহ অন্তত এক কোটি টাকার সরঞ্জাম। এর সঙ্গে রয়েছে দুটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ প্রদানের চাপ। মা-ছেলের ঘাম-ঝরিয়ে আয় করা অর্থে গড়া ফ্যাক্টরি এখন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে বাগেরহাট সদর উপজেলার বৈটপুর গ্রামের মেরী বেগমের। মাত্র ২০ লাখ টাকা মূলধন হলে আবারও ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন বলে জানিয়েছেন ৬৫ বছর বয়সী নারী উদ্যোক্তা মেরী বেগম। তিনি বলেন, বিয়ের পরে অভাবের তাড়নায় স্বামীসহ চট্টগ্রামে চলে যাই। গার্মেন্টসে কাজ করে স্বামী-সন্তান নিয়ে মোটামুটি কেটে যাচ্ছিল। সব সময় আসা ছিল গ্রামে যাব, সেখানে কিছু একটা করব। কিন্তু সন্তানাদিসহ শহরে থেকে-খেয়ে টাকা বাঁচানো খুবই দূরহ ব্যাপার। এরপরও সংসারের খরচ সীমিত করে ২৪ বছরে জমানো লাখ পাঁচেক টাকা নিয়ে গ্রামে আসি। ২০০৮ সালের প্রথম দিকে স্বামী ফকির নুরুজ্জামান ও গার্মেন্টস মেকানিক ছেলে মো. মিলনকে সঙ্গে নিয়ে টিস্যু ব্যাগের ব্যবসা শুরু করি। বৈটপুর বাজারস্থ একটি ঘরভাড়া নিয়ে স্বল্প পরিসরের ব্যবসায় মোটামুটি লাভ হতে থাকে। লাভ ও কর্মচারীর সংখ্যা বাড়তে থাকে প্রতিষ্ঠানে। মূলধনের সংকট মেটাতে ২০১৭ সালে ইউনাইটেড ফাইন্যান্স লিমিটেড থেকে ১৫ লাখ টাকা ঋণ নিই। ব্যবসা ভালো হওয়ায় দুই বছরেই তাদের ঋণ শোধ করে দেই। ২০১৯ সালে ফ্যাক্টরি বড় করার জন্য বৈটপুর বাজার থেকে পার্শ্ববর্তী বটতলা বাজারে জমি লিজ নিই। সেখানে ১০ লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে ফ্যাক্টরি তৈরি করি। বৈটপুর বাজারের ফ্যাক্টরি থেকে পুরোনো মেশিনপত্র বিক্রি করে দিই। ইউনাইটেড ফাইন্যান্স লিমিটেড থেকে ৫০ লাখ টাকা ঋণের আশ্বাসে ৪২ লাখ টাকায় মেশিন ক্রয়ের চুক্তি করি। কিন্তু ইউনাইটেড ফাইন্যান্স লিমিটেড মেশিন ক্রয়ের জন্য আমাকে মাত্র ২৫ লাখ টাকা ঋণ দেয়। ৩ মাস পরে আবারও কাঁচামালের জন্য ২৫ লাখ টাকা দেওয়ার অঙ্গিকার করেন। কিন্তু মেশিন ও আনুসঙ্গিক মালামালের জন্য আমার ৬০ লক্ষাধিক টাকা ব্যয় হয়ে যায়। যার ফলে আমাদের নিজস্ব মূলধনের পাশাপাশি প্রায় ১৫ লক্ষাধিক টাকা ধার-দেনা করে সংগ্রহ করি। এরপরে কাঁচামালের জন্য অবশিষ্ট কোনো টাকা না থাকায় ফ্যাক্টরি পুরোদমে চালু করতে পারিনি। তিনি বলেন, ফ্যাক্টরি চালু করতে না পারলেও ২০১৯ সালের এপ্রিল থেকে প্রায় ১০ মাসে ১০ কিস্তিতে ইউনাইটেড ফাইন্যান্সকে ৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা ঋণ পরিশোধ করেছি। কারণ তারা আমাকে বলেছিল ঋণের কিস্তি দিলে ৬ মাস পরে কাঁচামালের জন্য আরও ২৫ লাখ টাকা ঋণ দিব। কিন্তু ১০ মাসেও তারা আর ঋণ দেয়নি। এদিকে মূলধনের অভাবে ফ্যাক্টরি বন্ধ রয়েছে। ফ্যাক্টরির মূল্যবান মালামাল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়েছে। পরিবারও এক ধরনের মানবেতর জীবন-যাপন করছে। সরকারি-বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে যদি মাত্র ২০ লখি টাকা ঋণ পাই, তাহলে আবারও ব্যবসা করে সবাইকে নিয়ে ভাল থাকতে পারবো। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি। মা-মেরী টিস্যু ব্যাগ ফ্যাক্টরীর ব্যবস্থাপক হারুণ শেখ বলেন, ফ্যাক্টরি চালু থাকা অবস্থায় বাগেরহাটসহ আশপাশের কয়েকটি জেলায় আমরা ব্যাগ সাপ্লাই দিতাম। ২০২০ সালের মার্চ থেকে আমাদের ফ্যাক্টরি বন্ধ। ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরেও কয়েক মাস ২২ জন শ্রমিককে বেতন দিয়েছি। কারণ হঠাৎ করে বন্ধ হলে তারা কোথায় যাবে। কিন্তু বর্তমানে এমন অবস্থা আমাদের যে মালিকের ঘরেই খাবার নেই। এই অবস্থায় মালিকসহ আমাদের ২০-২৫টি পরিবারের না খেয়ে মরার অবস্থা হয়েছে। অন্তত শ্রমিক পরিবারগুলোর কথা চিন্তা করে হলেও এই ফ্যাক্টরিটি আবারও চালুর দাবি জানান তিনি। মেরি বেগমের ছেলে মিলন বলেন, ইউনাইটেড ফাইন্যান্সের প্রতারণায় ফ্যাক্টরি আজ বন্ধ। শ্রমিকরা না খেয়ে মরছে। রক্ত পানি করা টাকায় কেনা মেশিনগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ইউনাইটেড ফাইন্যান্স এর আগে দুইবার ঋণ দিয়েছে, আমরা সময়মতো তাদের টাকা দিয়ে দিয়েছি। এবারও তারা আশ্বাস না দিলে আমরা এতো দামের মেশিন কিনতাম না। তাদের আশ্বাসে এই মেশিন কিনেছি। এই মেশিনের উৎপাদন ক্ষমতা এতো বেশি যে দুই সপ্তাহ মেশিন চালাতে অন্তত ২০ লক্ষাধিক টাকার কাঁচামাল প্রয়োজন। এই অবস্থায় অন্তত ২০ লাখ টাকা পেলে আমরা আবারও শুরু করতে পারতাম। শ্রমিকরাও খেয়ে পরে বাঁচতে পারতো। মো. মিলন আরও বলেন, ফ্যাক্টরি চালুর জন্য স্থানীয় অনেক ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। সবাই বলে ইউনাইটেড ফাইন্যান্সের সঙ্গে আগে লেনদেনের সমাধান করুন, তারপর ঋণ পাবেন। অন্যদিকে ইউনাইটেড ফাইন্যান্সও আর টাকা দিচ্ছে না। বরং তাদের পাওনা টাকার জন্য চাপ দিচ্ছে। দু-এক মাসের মধ্যে ফ্যাক্টরি চালু করতে না পারলে আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোনো পথ থাকবে না। ঋণের বিষয়ে ইউনাইটেড ফাইন্যান্স লিমিটেডের হেড অব করপোরেট ও স্ট্রাকচার্ড ফাইন্যানস এমডি মাহবুবুর রহমান খান বলেন, মেরি বেগমের ঋণের বিষয়টি অবগত রয়েছি। তবে এ বিষয়ে অফিসিয়ালি কোনো কথা বলতে পারব ন

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

চলতি মূলধনের অভাবে বন্ধ টিস্যু ব্যাগ ফ্যাক্টরি

আপডেট সময় : ১২:৪৯:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মে ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : অর্থের অভাবে এক বছর ধরে বন্ধ রয়েছে বাগেরহাটের নারী উদ্যোক্তা মেরি বেগমের টিস্যু ব্যাগ ফ্যাক্টরি। কাজ না থাকায় বেকার হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন ফ্যাক্টরির ২২ শ্রমিক। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় নষ্ট হতে চলেছে ফ্যাক্টরির মেশিন, কেমিক্যাল, কাঁচামালসহ অন্তত এক কোটি টাকার সরঞ্জাম। এর সঙ্গে রয়েছে দুটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ প্রদানের চাপ। মা-ছেলের ঘাম-ঝরিয়ে আয় করা অর্থে গড়া ফ্যাক্টরি এখন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে বাগেরহাট সদর উপজেলার বৈটপুর গ্রামের মেরী বেগমের। মাত্র ২০ লাখ টাকা মূলধন হলে আবারও ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন বলে জানিয়েছেন ৬৫ বছর বয়সী নারী উদ্যোক্তা মেরী বেগম। তিনি বলেন, বিয়ের পরে অভাবের তাড়নায় স্বামীসহ চট্টগ্রামে চলে যাই। গার্মেন্টসে কাজ করে স্বামী-সন্তান নিয়ে মোটামুটি কেটে যাচ্ছিল। সব সময় আসা ছিল গ্রামে যাব, সেখানে কিছু একটা করব। কিন্তু সন্তানাদিসহ শহরে থেকে-খেয়ে টাকা বাঁচানো খুবই দূরহ ব্যাপার। এরপরও সংসারের খরচ সীমিত করে ২৪ বছরে জমানো লাখ পাঁচেক টাকা নিয়ে গ্রামে আসি। ২০০৮ সালের প্রথম দিকে স্বামী ফকির নুরুজ্জামান ও গার্মেন্টস মেকানিক ছেলে মো. মিলনকে সঙ্গে নিয়ে টিস্যু ব্যাগের ব্যবসা শুরু করি। বৈটপুর বাজারস্থ একটি ঘরভাড়া নিয়ে স্বল্প পরিসরের ব্যবসায় মোটামুটি লাভ হতে থাকে। লাভ ও কর্মচারীর সংখ্যা বাড়তে থাকে প্রতিষ্ঠানে। মূলধনের সংকট মেটাতে ২০১৭ সালে ইউনাইটেড ফাইন্যান্স লিমিটেড থেকে ১৫ লাখ টাকা ঋণ নিই। ব্যবসা ভালো হওয়ায় দুই বছরেই তাদের ঋণ শোধ করে দেই। ২০১৯ সালে ফ্যাক্টরি বড় করার জন্য বৈটপুর বাজার থেকে পার্শ্ববর্তী বটতলা বাজারে জমি লিজ নিই। সেখানে ১০ লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে ফ্যাক্টরি তৈরি করি। বৈটপুর বাজারের ফ্যাক্টরি থেকে পুরোনো মেশিনপত্র বিক্রি করে দিই। ইউনাইটেড ফাইন্যান্স লিমিটেড থেকে ৫০ লাখ টাকা ঋণের আশ্বাসে ৪২ লাখ টাকায় মেশিন ক্রয়ের চুক্তি করি। কিন্তু ইউনাইটেড ফাইন্যান্স লিমিটেড মেশিন ক্রয়ের জন্য আমাকে মাত্র ২৫ লাখ টাকা ঋণ দেয়। ৩ মাস পরে আবারও কাঁচামালের জন্য ২৫ লাখ টাকা দেওয়ার অঙ্গিকার করেন। কিন্তু মেশিন ও আনুসঙ্গিক মালামালের জন্য আমার ৬০ লক্ষাধিক টাকা ব্যয় হয়ে যায়। যার ফলে আমাদের নিজস্ব মূলধনের পাশাপাশি প্রায় ১৫ লক্ষাধিক টাকা ধার-দেনা করে সংগ্রহ করি। এরপরে কাঁচামালের জন্য অবশিষ্ট কোনো টাকা না থাকায় ফ্যাক্টরি পুরোদমে চালু করতে পারিনি। তিনি বলেন, ফ্যাক্টরি চালু করতে না পারলেও ২০১৯ সালের এপ্রিল থেকে প্রায় ১০ মাসে ১০ কিস্তিতে ইউনাইটেড ফাইন্যান্সকে ৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা ঋণ পরিশোধ করেছি। কারণ তারা আমাকে বলেছিল ঋণের কিস্তি দিলে ৬ মাস পরে কাঁচামালের জন্য আরও ২৫ লাখ টাকা ঋণ দিব। কিন্তু ১০ মাসেও তারা আর ঋণ দেয়নি। এদিকে মূলধনের অভাবে ফ্যাক্টরি বন্ধ রয়েছে। ফ্যাক্টরির মূল্যবান মালামাল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়েছে। পরিবারও এক ধরনের মানবেতর জীবন-যাপন করছে। সরকারি-বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে যদি মাত্র ২০ লখি টাকা ঋণ পাই, তাহলে আবারও ব্যবসা করে সবাইকে নিয়ে ভাল থাকতে পারবো। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি। মা-মেরী টিস্যু ব্যাগ ফ্যাক্টরীর ব্যবস্থাপক হারুণ শেখ বলেন, ফ্যাক্টরি চালু থাকা অবস্থায় বাগেরহাটসহ আশপাশের কয়েকটি জেলায় আমরা ব্যাগ সাপ্লাই দিতাম। ২০২০ সালের মার্চ থেকে আমাদের ফ্যাক্টরি বন্ধ। ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরেও কয়েক মাস ২২ জন শ্রমিককে বেতন দিয়েছি। কারণ হঠাৎ করে বন্ধ হলে তারা কোথায় যাবে। কিন্তু বর্তমানে এমন অবস্থা আমাদের যে মালিকের ঘরেই খাবার নেই। এই অবস্থায় মালিকসহ আমাদের ২০-২৫টি পরিবারের না খেয়ে মরার অবস্থা হয়েছে। অন্তত শ্রমিক পরিবারগুলোর কথা চিন্তা করে হলেও এই ফ্যাক্টরিটি আবারও চালুর দাবি জানান তিনি। মেরি বেগমের ছেলে মিলন বলেন, ইউনাইটেড ফাইন্যান্সের প্রতারণায় ফ্যাক্টরি আজ বন্ধ। শ্রমিকরা না খেয়ে মরছে। রক্ত পানি করা টাকায় কেনা মেশিনগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ইউনাইটেড ফাইন্যান্স এর আগে দুইবার ঋণ দিয়েছে, আমরা সময়মতো তাদের টাকা দিয়ে দিয়েছি। এবারও তারা আশ্বাস না দিলে আমরা এতো দামের মেশিন কিনতাম না। তাদের আশ্বাসে এই মেশিন কিনেছি। এই মেশিনের উৎপাদন ক্ষমতা এতো বেশি যে দুই সপ্তাহ মেশিন চালাতে অন্তত ২০ লক্ষাধিক টাকার কাঁচামাল প্রয়োজন। এই অবস্থায় অন্তত ২০ লাখ টাকা পেলে আমরা আবারও শুরু করতে পারতাম। শ্রমিকরাও খেয়ে পরে বাঁচতে পারতো। মো. মিলন আরও বলেন, ফ্যাক্টরি চালুর জন্য স্থানীয় অনেক ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। সবাই বলে ইউনাইটেড ফাইন্যান্সের সঙ্গে আগে লেনদেনের সমাধান করুন, তারপর ঋণ পাবেন। অন্যদিকে ইউনাইটেড ফাইন্যান্সও আর টাকা দিচ্ছে না। বরং তাদের পাওনা টাকার জন্য চাপ দিচ্ছে। দু-এক মাসের মধ্যে ফ্যাক্টরি চালু করতে না পারলে আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোনো পথ থাকবে না। ঋণের বিষয়ে ইউনাইটেড ফাইন্যান্স লিমিটেডের হেড অব করপোরেট ও স্ট্রাকচার্ড ফাইন্যানস এমডি মাহবুবুর রহমান খান বলেন, মেরি বেগমের ঋণের বিষয়টি অবগত রয়েছি। তবে এ বিষয়ে অফিসিয়ালি কোনো কথা বলতে পারব ন