নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান চলতি নভেম্বরের শেষ দিকে দেশে ফিরছেন বলে জানিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। গণমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, আমরা আশা করছি, এই মাসের শেষ নাগাদ তিনি দেশে ফিরতে পারেন। নাহলে দুয়েকদিন এদিক-ওদিক হতে পারে হয়ত।
বুধবার (১২ নভেম্বর) ঢাকায় নিজের বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আমরা আশা করছি, এই মাসের শেষের দিকেই তিনি দেশে ফিরবেন। দু-একদিন এদিক-ওদিক হতে পারে, তবে আমরা আশাবাদী।
এর আগেও বিএনপির নেতারা বারবার জানিয়েছেন, খুব শিগগির তারেক রহমান দেশে ফিরবেন। নভেম্বরের শেষ নাগাদ তার ফেরার সম্ভাবনার কথাও দলের ভেতর থেকে শোনা যাচ্ছিল। তবে এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো নির্দিষ্ট তারিখ জানায়নি বিএনপি।
২০০৮ সালে জরুরি অবস্থার সময় পরিবারসহ দেশ ছাড়েন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান। তখন থেকে তিনি লন্ডনে অবস্থান করছেন। জুলাই মাসের অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তার বিরুদ্ধে থাকা মামলার জটিলতা কেটে গেলেও তিনি এখনো দেশে ফেরেননি।
গত ৬ অক্টোবর বিবিসি বাংলায় প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে তারেক রহমানকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তিনি কবে দেশে ফিরবেন। উত্তরে তিনি বলেন, দ্রুতই মনে হয়। দ্রুতই ইনশাআল্লাহ।
সাক্ষাৎকারে জানতে চাওয়া হয়, নির্বাচনের আগে তিনি দেশে থাকবেন কি না। জবাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, রাজনীতি করছি, একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে নির্বাচনের সঙ্গে আমার সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। জনগণের প্রত্যাশিত নির্বাচন যখন হবে, তখন আমি কীভাবে দূরে থাকব? আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা, ইচ্ছা ও আগ্রহ থাকবে সেই প্রত্যাশিত নির্বাচনে জনগণের মাঝেই থাকার।
দীর্ঘ প্রায় দুই দশক ধরে দল পরিচালনা ও নির্বাচনী কৌশলে সক্রিয় ভূমিকা রাখলেও তারেক রহমান কখনো সরাসরি ভোটের ময়দানে প্রার্থী হননি। তবে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বগুড়া-৬ (সদর) আসন থেকে প্রার্থী হচ্ছেন।
তারেক রহমানের মা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ১৯৯১ সাল থেকে বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাহজাহানপুর) এবং ১৯৯৬ সালের জুন থেকে বগুড়া-৬ (সদর) আসনে নির্বাচন করে আসছেন। এই দুই আসনে তিনি কখনো পরাজিত হননি। মায়ের সেই ঐতিহ্যবাহী আসনেই এবার ধানের শীষ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তারেক রহমান।
এসি/আপ্র/১২/১১/২০২৫























