ঢাকা ০২:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫

চলতি মাসেই নির্বাচনী রোডম্যাপ চান বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন

  • আপডেট সময় : ০৮:৩৬:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫
  • ৭৭ বার পড়া হয়েছে

শনিবার একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ- ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: সংস্কারের অজুহাতে কিংবা অন্য কোনো বাহানায় চলতি মাসের মধ্যে সরকার যদি নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা না করে, তবে দেশের রাজনৈতিক শক্তিগুলো এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।

প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ইনিয়ে বিনিয়ে বিদেশি মিডিয়ায় না বলে দেশে সাংবাদিক সম্মেলন করে রোডম্যাপ ঘোষণা করুন। সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে নির্বাচনী রোডম্যাপ ফেলে রাখার কোনো কারণ নেই।

শনিবার (১ মার্চ) দুপুরে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সংগ্রামে বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের ত্যাগ ও নেতৃত্ব শীর্ষক আলোচনা সভা ও নন্দিত নেত্রী খালেদা জিয়া বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ছাত্রদের নতুন দলকে স্বাগত জানিয়ে তাদের উদ্দেশে গণপরিষদ ও স্থানীয় নির্বাচন এবং দ্বিতীয় স্বাধীনতার বিষয়টিকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে দীর্ঘায়ত করার ষড়যন্ত্র বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

গণপরিষদ নির্বাচনের দাবির বিষয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, সংবিধান থাকার পরও গণপরিষদ প্রয়োজন কেন? যারা এসব প্রশ্ন সামনে আনছেন, হয় তারা বোঝে না অথবা তারা গভীর ষড়যন্ত্রে যুক্ত আছে।

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা থাকলে ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের পথ রচিত হতো না। বিএনপি জানতো তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় গিয়ে স্বৈরাচার হয়ে উঠবে। বিএনপি জানতো আওয়ামী লীগের পতন হবে। কিন্তু কবে হবে সেটার জন্যই অপেক্ষায় ছিল।

তিনি বলেন, যদি আওয়ামী লীগ আবার এদেশে রাজনীতির সুযোগ পায় সেটা হবে রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যর্থতা। শুধু পুলিশ দিয়ে আওয়ামী লীগ মোকাবিলা করলে হবে না। এদেরকে সমন্বিতভাবে বিতাড়িত করতে হবে। পাঁচ আগস্ট নির্ধারণ হয়ে গেছে আওয়ামী লীগ এই দেশে রাজনীতি করতে পারবে না, এই রায় জনগণ পাঁচ আগস্ট দিয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর ও সাবেক রাষ্ট্রদূত অধ্যাপক ড. আনোরুল্লাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিবউননবী খান সোহেল, বিশিষ্ঠ রসায়ন বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. তাজমেরী এস এ ইসলাম, ছাত্র সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বকুল, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন রুনু, ভারপ্রাপ্ত চেয়্যারম্যানের উপদেষ্টা ড. মাহাদী আমিন, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন অসিম, সহ-স্বেচ্ছাসেবক সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী প্রমুখ।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার ৭ দফা প্রস্তাব

চলতি মাসেই নির্বাচনী রোডম্যাপ চান বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন

আপডেট সময় : ০৮:৩৬:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: সংস্কারের অজুহাতে কিংবা অন্য কোনো বাহানায় চলতি মাসের মধ্যে সরকার যদি নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা না করে, তবে দেশের রাজনৈতিক শক্তিগুলো এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।

প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ইনিয়ে বিনিয়ে বিদেশি মিডিয়ায় না বলে দেশে সাংবাদিক সম্মেলন করে রোডম্যাপ ঘোষণা করুন। সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে নির্বাচনী রোডম্যাপ ফেলে রাখার কোনো কারণ নেই।

শনিবার (১ মার্চ) দুপুরে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সংগ্রামে বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের ত্যাগ ও নেতৃত্ব শীর্ষক আলোচনা সভা ও নন্দিত নেত্রী খালেদা জিয়া বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ছাত্রদের নতুন দলকে স্বাগত জানিয়ে তাদের উদ্দেশে গণপরিষদ ও স্থানীয় নির্বাচন এবং দ্বিতীয় স্বাধীনতার বিষয়টিকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে দীর্ঘায়ত করার ষড়যন্ত্র বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

গণপরিষদ নির্বাচনের দাবির বিষয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, সংবিধান থাকার পরও গণপরিষদ প্রয়োজন কেন? যারা এসব প্রশ্ন সামনে আনছেন, হয় তারা বোঝে না অথবা তারা গভীর ষড়যন্ত্রে যুক্ত আছে।

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা থাকলে ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের পথ রচিত হতো না। বিএনপি জানতো তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় গিয়ে স্বৈরাচার হয়ে উঠবে। বিএনপি জানতো আওয়ামী লীগের পতন হবে। কিন্তু কবে হবে সেটার জন্যই অপেক্ষায় ছিল।

তিনি বলেন, যদি আওয়ামী লীগ আবার এদেশে রাজনীতির সুযোগ পায় সেটা হবে রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যর্থতা। শুধু পুলিশ দিয়ে আওয়ামী লীগ মোকাবিলা করলে হবে না। এদেরকে সমন্বিতভাবে বিতাড়িত করতে হবে। পাঁচ আগস্ট নির্ধারণ হয়ে গেছে আওয়ামী লীগ এই দেশে রাজনীতি করতে পারবে না, এই রায় জনগণ পাঁচ আগস্ট দিয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর ও সাবেক রাষ্ট্রদূত অধ্যাপক ড. আনোরুল্লাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিবউননবী খান সোহেল, বিশিষ্ঠ রসায়ন বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. তাজমেরী এস এ ইসলাম, ছাত্র সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বকুল, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন রুনু, ভারপ্রাপ্ত চেয়্যারম্যানের উপদেষ্টা ড. মাহাদী আমিন, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন অসিম, সহ-স্বেচ্ছাসেবক সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী প্রমুখ।