ঢাকা ০৯:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫

চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হবে সাড়ে ৬ শতাংশ: আইএমএফ

  • আপডেট সময় : ০২:০৬:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২১
  • ১৩২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার বেড়ে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সংস্থাটির মতে, করোনা ভাইরাসের প্রকোপ কমে যাওয়া এবং সরকারের সহায়ক নীতির কারণে প্রবৃদ্ধির হার বাড়বে বলে জানানো হয়েছে। আইএমএফের পূর্বাভাসে আরো বলা হয়েছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়াতে পারে ৭ দশমিক ১ শতাংশ। বৈশ্বিক ব্যবসায়িক পরিবেশের উন্নতি এবং টিকাদান কর্মসূচি গতি পাওয়ার কারণে প্রবৃদ্ধির হার বাড়বে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। বাংলাদেশ ব্যুরো অব স্ট্যাটিসটিকসের (বিবিএস) সাময়িক হিসাব অনুসারে, ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি দাঁড়ায় ৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ। আইএমএফ বলছে, সরকার অর্থনীতি চাঙা করতে বাজেটে যে বরাদ্দ দিয়েছে, তার প্রভাব অর্থনীতিতে অনুভূত হচ্ছে। প্রবৃদ্ধির ধারা বজায় রাখতে রাজস্বের জোগান বৃদ্ধির পরামর্শ দিয়েছে আইএমএফ। কিন্তু দেশে রাজস্ব-জিডিপির অনুপাত অত্যন্ত কম। এই বাস্তবতা ঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত করেছে আইএমএফ। তাদের পরামর্শ, আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা ও নীতি কাঠামোর আধুনিকায়ন জরুরি। সম্প্রতি আইএমএফের অর্থনীতিবিদ রাহুল আনন্দের নেতৃত্বে একদল ঢাকা সফর করেছে। তার সফরের পরিপ্রেক্ষিতে আইএমএফ বাংলাদেশ নিয়ে এক বিবৃতি দিয়েছে। সেখানে প্রবৃদ্ধির এই পূর্বাভাস করা হয়েছে। তবে বিবৃতিতে রাহুল আনন্দ কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন। তার ভাষ্য হলো, বাংলাদেশের আর্থিক খাতে যে চাপ সৃষ্টি হয়েছে, তার রাশ কিছুটা শিথিল করতে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত প্রণোদনা থেকে সময়মতো বেরিয়ে আসতে হবে। খেলাপি ঋণের লাগাম টানতে কর্পোরেটর সুশাসন, আইনি কাঠামো, নিয়ন্ত্রণ ও পর্যবেক্ষণ জরুরি। এলডিসি থেকে উত্তরণ নিয়েও পরামর্শ দিয়েছেন রাহুল আনন্দ। তিনি বলেন, কোভিড-উত্তর পৃথিবীতে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে এবং এলডিসি উত্তরণ সার্থক করতে হলে বাংলাদেশকে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে হবে। বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি। বেসরকারি খাতনির্ভর প্রবৃদ্ধির ধারা বজায় রাখতে কাঠামোগত সংস্কার জরুরি; যেমন শাসন ব্যবস্থার উন্নয়ন, রফতানির বহুমুখীকরণ, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলার সক্ষমতা সৃষ্টি ইত্যাদি। আইএমএফের সফরকারী দল সফরকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থসচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, ব্যাংক, শ্রমিক ইউনিয়ন ও উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন তারা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হবে সাড়ে ৬ শতাংশ: আইএমএফ

আপডেট সময় : ০২:০৬:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার বেড়ে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সংস্থাটির মতে, করোনা ভাইরাসের প্রকোপ কমে যাওয়া এবং সরকারের সহায়ক নীতির কারণে প্রবৃদ্ধির হার বাড়বে বলে জানানো হয়েছে। আইএমএফের পূর্বাভাসে আরো বলা হয়েছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়াতে পারে ৭ দশমিক ১ শতাংশ। বৈশ্বিক ব্যবসায়িক পরিবেশের উন্নতি এবং টিকাদান কর্মসূচি গতি পাওয়ার কারণে প্রবৃদ্ধির হার বাড়বে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। বাংলাদেশ ব্যুরো অব স্ট্যাটিসটিকসের (বিবিএস) সাময়িক হিসাব অনুসারে, ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি দাঁড়ায় ৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ। আইএমএফ বলছে, সরকার অর্থনীতি চাঙা করতে বাজেটে যে বরাদ্দ দিয়েছে, তার প্রভাব অর্থনীতিতে অনুভূত হচ্ছে। প্রবৃদ্ধির ধারা বজায় রাখতে রাজস্বের জোগান বৃদ্ধির পরামর্শ দিয়েছে আইএমএফ। কিন্তু দেশে রাজস্ব-জিডিপির অনুপাত অত্যন্ত কম। এই বাস্তবতা ঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত করেছে আইএমএফ। তাদের পরামর্শ, আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা ও নীতি কাঠামোর আধুনিকায়ন জরুরি। সম্প্রতি আইএমএফের অর্থনীতিবিদ রাহুল আনন্দের নেতৃত্বে একদল ঢাকা সফর করেছে। তার সফরের পরিপ্রেক্ষিতে আইএমএফ বাংলাদেশ নিয়ে এক বিবৃতি দিয়েছে। সেখানে প্রবৃদ্ধির এই পূর্বাভাস করা হয়েছে। তবে বিবৃতিতে রাহুল আনন্দ কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন। তার ভাষ্য হলো, বাংলাদেশের আর্থিক খাতে যে চাপ সৃষ্টি হয়েছে, তার রাশ কিছুটা শিথিল করতে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত প্রণোদনা থেকে সময়মতো বেরিয়ে আসতে হবে। খেলাপি ঋণের লাগাম টানতে কর্পোরেটর সুশাসন, আইনি কাঠামো, নিয়ন্ত্রণ ও পর্যবেক্ষণ জরুরি। এলডিসি থেকে উত্তরণ নিয়েও পরামর্শ দিয়েছেন রাহুল আনন্দ। তিনি বলেন, কোভিড-উত্তর পৃথিবীতে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে এবং এলডিসি উত্তরণ সার্থক করতে হলে বাংলাদেশকে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে হবে। বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি। বেসরকারি খাতনির্ভর প্রবৃদ্ধির ধারা বজায় রাখতে কাঠামোগত সংস্কার জরুরি; যেমন শাসন ব্যবস্থার উন্নয়ন, রফতানির বহুমুখীকরণ, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলার সক্ষমতা সৃষ্টি ইত্যাদি। আইএমএফের সফরকারী দল সফরকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থসচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, ব্যাংক, শ্রমিক ইউনিয়ন ও উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন তারা।