ঢাকা ১২:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫

চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন সংশোধন হবে: তথ্য উপদেষ্টা

  • আপডেট সময় : ১২:৫৯:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৯২ বার পড়া হয়েছে

বিনোদন ডেস্ক : চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইনকে ‘ত্রুটিপূর্ণ’ আখ্যা দিয়ে, চলচ্চিত্রের উন্নয়নের স্বার্থে এই আইনকে সংশোধন করার কাজ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্র্বতী সরকারের উপদেষ্টা তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। বুধবার সচিবালয়ে সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড এবং জুরি বোর্ডের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনি বলেন, “২০২৩ সালে যে আইন রয়েছে সেটি অনেক ত্রুটিপূর্ণ, সেগুলো নিয়ে আজকে আলোচনা হয়েছে। সেই আইনটিও নানা অংশীজনের সাথে আলোচনা করে সংশোধনের জন্য আমরা কাজ করব। সে প্রস্তাবনা তৈরি করা হবে।” তথ্য উপদেষ্টা বলেন, “আইন ও বিধি নিয়ে পর্যালোচনা করা হবে। সেন্সর বোর্ড নিয়ে একটি গেজেট হয়েছিল। কিন্তু তার বিধিমালা ছিল না। এক্ষেত্রে এখন ‘সেন্সর’ শব্দ বাদ দিয়ে ২০২৩ সালের আইন দ্রুততম সময়ে প্রজ্ঞাপন দিয়ে কার্যকর করা হবে।
“সিনেমা ব্যবসায়ীদের যেন আর্থিক ক্ষতি না হয়, সেজন্য আপৎকালীন সময়ের জন্য একটা সেন্সর বোর্ড তৈরি করা হয়েছিল। এটি এখন ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড’ নামকরণ হবে। এ সময় চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন থাকার পরও সেন্সর বোর্ড পুনর্গঠন করা নিয়ে ব্যাখ্যা তুলে ধরেন নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, “তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড এবং জুরি বোর্ড গঠন করা হয়েছে। দুই কমিটির সাথে আনুষ্ঠানিক বৈঠক ছিল। সেন্সর বোর্ড নিয়ে আমরা কিছু আলোচনা করেছি। ২০২৩ সালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশনের আইনের গেজেট হয়েছিল, সেই গেজেটের বিধিমালা তৈরি হয়নি এখন পর্যন্ত। “বিগত সময়েও যে সেন্সর বোর্ডটি গঠন করা হয়েছিল সেটিও কিন্তু ১৯৬৩ সালের যে আইন, সে আইন অনুযায়ী করা হয়েছিল। যেহেতু গেজেটের বিধিমালা ছিল না। সেই ধারাবাহিকতায় সেটিকে অনুসরণ করেই আপৎকালীন সময়ে সিনেমার জগতে যেন আর্থিক ক্ষতি না আসে সেজন্য আপৎকালীন একটা সেন্সর বোর্ড তৈরি করেছি।” গত রোববার সেন্সর বোর্ড পুনর্গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। সেখানে পরিচালক নিপুণ ও অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ, নির্মাতা জাকির হোসেন রাজু, খিজির হায়াত খান, তাসমিয়া আফরিন মৌ, লেখক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন এবং চলচ্চিত্র প্রযোজক রফিকুল আনোয়ার রাসেলের নাম আসে।
এছাড়া বোর্ডে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিবকে চেয়ারম্যান এবং সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যানকে সদস্য সচিব করা হয়। পদাধিকারবলে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (চলচ্চিত্র), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্মসচিব পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন-বিএফডিসির বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক, পরিচালক সমিতির সভাপতি বোর্ডের সদস্য হিসেবে আছেন। এর আগে গত ১২ মে এক বছরের জন্য চলচ্চিত্র সেন্সরবোর্ড গঠন করা হয়েছিল। পরে নিপুণ এবং নওশাবা সার্টিফিকেশন আইনের পক্ষে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরেন। এমনকি নতুন বোর্ড থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণাও দেন নিপুণ। কিন্তু আইন থাকার পরও আওয়ামী লীগ সরকারের সময় গঠিত সেন্সর বোর্ড ভেঙ্গে দিয়ে নতুন বোর্ড গঠন করার পর বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা উঠেছে চলচ্চিত্রাঙ্গনে। নাহিদ বলেন, “আমাদের চলচ্চিত্র জগতের যারা আছেন তারা দীর্ঘদিন ধরে সেন্সরশিপের বিরুদ্ধে কথা বলে আসছিলেন। তাদের একধরনের একটিভিজমের জন্যই কিন্তু সার্টিফিকেশন আইনের কথা ভাবা হয়েছিল বিগত সময়ে। নতুন আইন অনুযায়ী আমরা সিনেমা পরিচালনার কাজগুলো চলমান রাখব।” তিনি বলেন, “সেন্সর বোর্ডে সেন্সরবিরোধী মানুষদেরই আমরা আহ্বান করেছি।” এদিকে নতুন সেন্সর বোর্ড গঠনকে ‘অবৈধ ও বেআইনি’ বলে মন্তব্য করেন ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক বেলায়াত হোসেন মামুন। আওয়ামী সরকারের সবশেষ মেয়াদে ১৯৬৩ সালের ‘সেন্সরশিপ অব ফিল্মস অ্যাক্ট’ রহিত করে গত নভেম্বরে ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন ২০২৩’ গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়। এর আগে ২৯ অক্টোবর সংসদে ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বিল, ২০২৩’ বিল পাস হয়।
মঙ্গলবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন, ২০২৩ এর উপ-ধারা ৩(৫) এ ‘বোর্ডের কার্যপদ্ধতি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে’ এবং উপ-ধারা ৫(৬) এ ‘চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশনের শ্রেণীবিন্যাস ও মূল্যায়ন প্রতীক বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে’ মর্মে উল্লেখ রয়েছে। “আইনটি গেজেট আকারে প্রকাশিত হলেও এ আইনের অধীনে এখনো বিধিমালা প্রণয়ন করা যায়নি বিধায় আইনটি কার্যকর করা সম্ভব হচ্ছে না। দ্রুততার সাথে বিধিমালা প্রণয়নের কাজ চলছে। বিধিমালা প্রণয়ন হলেই আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন শুরু হবে।” সেন্সর বোর্ড পুনর্গঠনের ব্যাখ্যায় বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “চলচ্চিত্রের সেন্সর সনদ প্রদান সেন্সর বোর্ডের একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া। সেন্সর সনদের জন্য কোনো চলচ্চিত্র জমাদানের পর সেন্সর বোর্ড কর্তৃক সেন্সর সনদ প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু করতে হয় বিধায় ঈবহংড়ংযরঢ় ড়ভ ঋরষসং অপঃ, ১৯৬৩ (অপঃ ঘড়. ঢঠওওও ড়ভ ১৯৬৩) ও ঞযব ইধহমষধফবংয ঈবহংড়ৎংযরঢ় ড়ভ ঋরষসং জঁষবং-১৯৭৭ অনুযায়ী বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড পুনর্গঠন করা হয়েছে।”

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন সংশোধন হবে: তথ্য উপদেষ্টা

আপডেট সময় : ১২:৫৯:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বিনোদন ডেস্ক : চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইনকে ‘ত্রুটিপূর্ণ’ আখ্যা দিয়ে, চলচ্চিত্রের উন্নয়নের স্বার্থে এই আইনকে সংশোধন করার কাজ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্র্বতী সরকারের উপদেষ্টা তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। বুধবার সচিবালয়ে সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড এবং জুরি বোর্ডের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনি বলেন, “২০২৩ সালে যে আইন রয়েছে সেটি অনেক ত্রুটিপূর্ণ, সেগুলো নিয়ে আজকে আলোচনা হয়েছে। সেই আইনটিও নানা অংশীজনের সাথে আলোচনা করে সংশোধনের জন্য আমরা কাজ করব। সে প্রস্তাবনা তৈরি করা হবে।” তথ্য উপদেষ্টা বলেন, “আইন ও বিধি নিয়ে পর্যালোচনা করা হবে। সেন্সর বোর্ড নিয়ে একটি গেজেট হয়েছিল। কিন্তু তার বিধিমালা ছিল না। এক্ষেত্রে এখন ‘সেন্সর’ শব্দ বাদ দিয়ে ২০২৩ সালের আইন দ্রুততম সময়ে প্রজ্ঞাপন দিয়ে কার্যকর করা হবে।
“সিনেমা ব্যবসায়ীদের যেন আর্থিক ক্ষতি না হয়, সেজন্য আপৎকালীন সময়ের জন্য একটা সেন্সর বোর্ড তৈরি করা হয়েছিল। এটি এখন ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড’ নামকরণ হবে। এ সময় চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন থাকার পরও সেন্সর বোর্ড পুনর্গঠন করা নিয়ে ব্যাখ্যা তুলে ধরেন নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, “তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড এবং জুরি বোর্ড গঠন করা হয়েছে। দুই কমিটির সাথে আনুষ্ঠানিক বৈঠক ছিল। সেন্সর বোর্ড নিয়ে আমরা কিছু আলোচনা করেছি। ২০২৩ সালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশনের আইনের গেজেট হয়েছিল, সেই গেজেটের বিধিমালা তৈরি হয়নি এখন পর্যন্ত। “বিগত সময়েও যে সেন্সর বোর্ডটি গঠন করা হয়েছিল সেটিও কিন্তু ১৯৬৩ সালের যে আইন, সে আইন অনুযায়ী করা হয়েছিল। যেহেতু গেজেটের বিধিমালা ছিল না। সেই ধারাবাহিকতায় সেটিকে অনুসরণ করেই আপৎকালীন সময়ে সিনেমার জগতে যেন আর্থিক ক্ষতি না আসে সেজন্য আপৎকালীন একটা সেন্সর বোর্ড তৈরি করেছি।” গত রোববার সেন্সর বোর্ড পুনর্গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। সেখানে পরিচালক নিপুণ ও অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ, নির্মাতা জাকির হোসেন রাজু, খিজির হায়াত খান, তাসমিয়া আফরিন মৌ, লেখক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন এবং চলচ্চিত্র প্রযোজক রফিকুল আনোয়ার রাসেলের নাম আসে।
এছাড়া বোর্ডে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিবকে চেয়ারম্যান এবং সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যানকে সদস্য সচিব করা হয়। পদাধিকারবলে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (চলচ্চিত্র), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্মসচিব পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন-বিএফডিসির বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক, পরিচালক সমিতির সভাপতি বোর্ডের সদস্য হিসেবে আছেন। এর আগে গত ১২ মে এক বছরের জন্য চলচ্চিত্র সেন্সরবোর্ড গঠন করা হয়েছিল। পরে নিপুণ এবং নওশাবা সার্টিফিকেশন আইনের পক্ষে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরেন। এমনকি নতুন বোর্ড থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণাও দেন নিপুণ। কিন্তু আইন থাকার পরও আওয়ামী লীগ সরকারের সময় গঠিত সেন্সর বোর্ড ভেঙ্গে দিয়ে নতুন বোর্ড গঠন করার পর বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা উঠেছে চলচ্চিত্রাঙ্গনে। নাহিদ বলেন, “আমাদের চলচ্চিত্র জগতের যারা আছেন তারা দীর্ঘদিন ধরে সেন্সরশিপের বিরুদ্ধে কথা বলে আসছিলেন। তাদের একধরনের একটিভিজমের জন্যই কিন্তু সার্টিফিকেশন আইনের কথা ভাবা হয়েছিল বিগত সময়ে। নতুন আইন অনুযায়ী আমরা সিনেমা পরিচালনার কাজগুলো চলমান রাখব।” তিনি বলেন, “সেন্সর বোর্ডে সেন্সরবিরোধী মানুষদেরই আমরা আহ্বান করেছি।” এদিকে নতুন সেন্সর বোর্ড গঠনকে ‘অবৈধ ও বেআইনি’ বলে মন্তব্য করেন ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক বেলায়াত হোসেন মামুন। আওয়ামী সরকারের সবশেষ মেয়াদে ১৯৬৩ সালের ‘সেন্সরশিপ অব ফিল্মস অ্যাক্ট’ রহিত করে গত নভেম্বরে ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন ২০২৩’ গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়। এর আগে ২৯ অক্টোবর সংসদে ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বিল, ২০২৩’ বিল পাস হয়।
মঙ্গলবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন, ২০২৩ এর উপ-ধারা ৩(৫) এ ‘বোর্ডের কার্যপদ্ধতি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে’ এবং উপ-ধারা ৫(৬) এ ‘চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশনের শ্রেণীবিন্যাস ও মূল্যায়ন প্রতীক বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে’ মর্মে উল্লেখ রয়েছে। “আইনটি গেজেট আকারে প্রকাশিত হলেও এ আইনের অধীনে এখনো বিধিমালা প্রণয়ন করা যায়নি বিধায় আইনটি কার্যকর করা সম্ভব হচ্ছে না। দ্রুততার সাথে বিধিমালা প্রণয়নের কাজ চলছে। বিধিমালা প্রণয়ন হলেই আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন শুরু হবে।” সেন্সর বোর্ড পুনর্গঠনের ব্যাখ্যায় বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “চলচ্চিত্রের সেন্সর সনদ প্রদান সেন্সর বোর্ডের একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া। সেন্সর সনদের জন্য কোনো চলচ্চিত্র জমাদানের পর সেন্সর বোর্ড কর্তৃক সেন্সর সনদ প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু করতে হয় বিধায় ঈবহংড়ংযরঢ় ড়ভ ঋরষসং অপঃ, ১৯৬৩ (অপঃ ঘড়. ঢঠওওও ড়ভ ১৯৬৩) ও ঞযব ইধহমষধফবংয ঈবহংড়ৎংযরঢ় ড়ভ ঋরষসং জঁষবং-১৯৭৭ অনুযায়ী বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড পুনর্গঠন করা হয়েছে।”