ঢাকা ০৭:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

চলচ্চিত্র বিষয়ক স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয়ের দাবি সকল অংশীজনের

  • আপডেট সময় : ০৬:০১:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৪৭ বার পড়া হয়েছে

বিনোদন ডেস্ক: বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পের সংস্কার ও উন্নয়নের লক্ষ্যে বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে হয়ে গেল ‘জাতীয় চলচ্চিত্র সম্মেলন ২০২৫’। ‘সংস্কারে চলচ্চিত্র, পরিবর্তনে দেশ’- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশ ফিল্ম স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন প্রায় ৫ শতাধিক চলচ্চিত্র শিক্ষার্থী, শিক্ষক, নির্মাতা, সাংবাদিক, চলচ্চিত্র কর্মী, অভিনয় শিল্পীসহ চলচ্চিত্রের সাথে জড়িত সকল অংশীজন। সম্মেলনে আগামী ৩ মাসের মধ্যে চলচ্চিত্রের জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় করার দাবি জানানো হয়। ‘জাতীয় চলচ্চিত্র সম্মেলন ২০২৫’-এ চলচ্চিত্রের সকল অংশীজন এ বিষয়ে একমত হয়ে ১ দফা ১ দাবি, অন্তর্র্বতীকালীন বাংলাদেশ সরকারকে স্বতন্ত্র ‘চলচ্চিত্র বিষয়ক মন্ত্রণালয়’ অতিসত্বর গঠন করারও দাবি জানান।
কেবল তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে চলচ্চিত্রের কার্যক্রম চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সাথে সমন্বয় করতে গিয়ে দাপ্তরিক জটিলতা বাড়ছে বলে জানায় বক্তারা। চলচ্চিত্র মন্ত্রণালয় গঠনের পাশাপাশি ‘চলচ্চিত্র সংস্কার কমিশন’ গঠনের মাধ্যমে অংশীজন প্রস্তাবিত সংস্কার, ভবিষ্যৎ কর্ম-পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এই সম্মেলনে প্রধান অতিথি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম ও বিশেষ অতিথি অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের আরেক উপদেষ্টা মাহফুজ আলম তাদের রাষ্ট্রীয় কাজের ব্যস্ততার জন্য আয়োজনে উপস্থিত হতে পারেননি। জুলাই বিপ্লবের শহীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। আমন্ত্রিত অতিথিদের বক্তব্য শেষে কথা বলেন বিশেষ অতিথি সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
তিনি বলেন,“আমি ঘটনাচক্রে উপদেষ্টা হলেও আমি আসলে একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় চলচ্চিত্র সংস্কারে এবং তাকে প্রাধান্য দিতে এখনও ব্যর্থ। যখন আমি শুধু একজন নির্মাতা ছিলাম, তখন আমিও সরকারকে দোষারোপ করতাম; তবে সরকারের অন্তর্ভুক্ত হয়ে রিয়েলাইজ করেছি যে প্রতিনিয়ত নানা বাধার সম্মুখীন হতে হয়। উপদেষ্টা হওয়ার পরও আমার ধারণা নেই যে, আমাদের দেশে কতোজন ক্রু আছে। আমিও বিশ্বাস করি, চলচ্চিত্রের আলাদা মন্ত্রণালয় হওয়া উচিৎ।” এসময় তিনি বলেন,“স্টেকহোল্ডারদের একটি নীলনকশা তৈরি করা উচিৎ, যার তত্ত্বাবধানে একটি কর্মশালার ব্যবস্থা করা হবে। যা আমাদের চলচ্চিত্র সংস্কারে প্রথম ধাপ হবে। তো, বাংলাদেশ ফিল্ম অ্যাসোসিয়শনের কাছে আমার অনুরোধ যে, আপনারা রাস্তায় নামেন, আমাদের বাধ্য করেন যাতে আমরা তৎপর হই চলচ্চিত্র সংস্কারে।”

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ঈদযাত্রার ১৫ দিনে সড়কে নিহত ৩৯০, ১৩৪ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৪৭ মৃত্যু

চলচ্চিত্র বিষয়ক স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয়ের দাবি সকল অংশীজনের

আপডেট সময় : ০৬:০১:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫

বিনোদন ডেস্ক: বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পের সংস্কার ও উন্নয়নের লক্ষ্যে বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে হয়ে গেল ‘জাতীয় চলচ্চিত্র সম্মেলন ২০২৫’। ‘সংস্কারে চলচ্চিত্র, পরিবর্তনে দেশ’- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশ ফিল্ম স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন প্রায় ৫ শতাধিক চলচ্চিত্র শিক্ষার্থী, শিক্ষক, নির্মাতা, সাংবাদিক, চলচ্চিত্র কর্মী, অভিনয় শিল্পীসহ চলচ্চিত্রের সাথে জড়িত সকল অংশীজন। সম্মেলনে আগামী ৩ মাসের মধ্যে চলচ্চিত্রের জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় করার দাবি জানানো হয়। ‘জাতীয় চলচ্চিত্র সম্মেলন ২০২৫’-এ চলচ্চিত্রের সকল অংশীজন এ বিষয়ে একমত হয়ে ১ দফা ১ দাবি, অন্তর্র্বতীকালীন বাংলাদেশ সরকারকে স্বতন্ত্র ‘চলচ্চিত্র বিষয়ক মন্ত্রণালয়’ অতিসত্বর গঠন করারও দাবি জানান।
কেবল তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে চলচ্চিত্রের কার্যক্রম চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সাথে সমন্বয় করতে গিয়ে দাপ্তরিক জটিলতা বাড়ছে বলে জানায় বক্তারা। চলচ্চিত্র মন্ত্রণালয় গঠনের পাশাপাশি ‘চলচ্চিত্র সংস্কার কমিশন’ গঠনের মাধ্যমে অংশীজন প্রস্তাবিত সংস্কার, ভবিষ্যৎ কর্ম-পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এই সম্মেলনে প্রধান অতিথি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম ও বিশেষ অতিথি অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের আরেক উপদেষ্টা মাহফুজ আলম তাদের রাষ্ট্রীয় কাজের ব্যস্ততার জন্য আয়োজনে উপস্থিত হতে পারেননি। জুলাই বিপ্লবের শহীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। আমন্ত্রিত অতিথিদের বক্তব্য শেষে কথা বলেন বিশেষ অতিথি সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
তিনি বলেন,“আমি ঘটনাচক্রে উপদেষ্টা হলেও আমি আসলে একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় চলচ্চিত্র সংস্কারে এবং তাকে প্রাধান্য দিতে এখনও ব্যর্থ। যখন আমি শুধু একজন নির্মাতা ছিলাম, তখন আমিও সরকারকে দোষারোপ করতাম; তবে সরকারের অন্তর্ভুক্ত হয়ে রিয়েলাইজ করেছি যে প্রতিনিয়ত নানা বাধার সম্মুখীন হতে হয়। উপদেষ্টা হওয়ার পরও আমার ধারণা নেই যে, আমাদের দেশে কতোজন ক্রু আছে। আমিও বিশ্বাস করি, চলচ্চিত্রের আলাদা মন্ত্রণালয় হওয়া উচিৎ।” এসময় তিনি বলেন,“স্টেকহোল্ডারদের একটি নীলনকশা তৈরি করা উচিৎ, যার তত্ত্বাবধানে একটি কর্মশালার ব্যবস্থা করা হবে। যা আমাদের চলচ্চিত্র সংস্কারে প্রথম ধাপ হবে। তো, বাংলাদেশ ফিল্ম অ্যাসোসিয়শনের কাছে আমার অনুরোধ যে, আপনারা রাস্তায় নামেন, আমাদের বাধ্য করেন যাতে আমরা তৎপর হই চলচ্চিত্র সংস্কারে।”