নিজস্ব প্রতিবেদক: চব্বিশ এবং একাত্তরের অপরাধীরা নির্বাচন চায় না। তাই সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে চব্বিশের অপরাধীদের তালিকা প্রকাশ এবং একাত্তরের অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার পাশাপাশি তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা না হলে দেশে কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না, বলেছেন নতুন ধারা বাংলাদেশের (এনডিবি) চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদী। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) ৩৩ তোপখানা রোডের বিজয় মিলনায়তনে ‘রাকিব-হুদা-আউয়ালের পথ ধরে মেরুদণ্ডহীন নাসির কমিশন নতুন ধারাকে নিবন্ধন থেকে বঞ্চিত করার প্রতিবাদ’ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মোমিন মেহেদী বলেন, নির্বাচন কমিশনে ১০৪ উপজেলা, ২৪ জেলা, কেন্দ্রীয় কমিটি, মুদ্রিত গঠনতন্ত্র, বাড়ি ভাড়ার চুক্তিপত্র, প্রতি শাখার ২০০ করে ভোটারের স্বাক্ষরসহ সকল শর্ত মেনে মোট ৭ হাজার ৩৪৩ পৃষ্ঠার আবেদন জমা দেয়ার পরও নিবন্ধন না দেয়ার একমাত্র কারণ, নতুন ধারা বাংলাদেশ এনডিবিকে অতীতের সরকারের মতো এই সরকারও সহ্য করতে পারে না।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন এনডিবির প্রেসিডিয়াম মেম্বার বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শান্তা ফারজানা, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব কাজী মুন্নি আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক হরিদাস সরকার, জাতীয় শিক্ষাধারার যুগ্ম আহবায়ক কাজী নওরিন প্রমুখ।
এনডিবির নেতারা বলেন, গত ১৩ বছর ধরে রক্তচক্ষুকে উপক্ষো করে রাজপথে থেকে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি-দুর্নীতি-ধর্ষণ-খুন-গুমের বিরুদ্ধে কথা বলেছে, আন্দোলন করেছে ছাত্র-যুব-জনতার দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে সোচ্চার নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবি ২০১৭ এবং ২০২২ সালে আবেদন করেও নিবন্ধন থেকে বঞ্চিত হওয়ার ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ বৈষম্য বিরোধী সরকার খ্যাত ইউনূস সরকারের নির্বাচন কমিশন নতুনধারাকে বঞ্চিত করে চাল-চুলোহীন নাবালক,এমএলএ কোম্পানী ও বেশবদলানো কিছু ফ্যাসিস্ট-এর রাজনৈতিক প্লাটফর্মকে কিংস পার্টি হিসেবে নিবন্ধন দিয়ে প্রমাণ করেছে এই সরকার বৈষম্য দূর করতে নয়; বৈষম্য তৈরি করতে কাজ করছে। এরআগে নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবি ২০১২ সালের ৩০ ডিসেম্বর রেডর্যালীর মধ্য দিয়ে আত্মপ্রকাশের পর ২০১৭, ২০২২ সালে নিবন্ধনের আবেদন করলেও নিবন্ধন থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিলো। সর্বশেষ ২০২৫ সালে সকল শর্ত পূরণ করে নিবন্ধনের আবেদন করে।
আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ



















