ঢাকা ০৮:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

চবি শিক্ষক শাহ্ আলমের গ্রন্থ “হৃদয়ে জুলাই ’৩৬”

  • আপডেট সময় : ০৬:৪২:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ১২ বার পড়া হয়েছে

সহিত্য ডেস্ক: অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষক মো. শাহ্ আলমের নতুন গ্রন্থ “হৃদয়ে জুলাই ’৩৬”। বইটি প্রকাশ করেছে মিজান পাবলিশার্স। মেলার ২০ নম্বর প্যাভিলিয়নে পাওয়া যাচ্ছে বইটি।
বইটির ফ্ল্যাপে উল্লেখ করা হয়েছে, গত প্রায় ১৬ বছর বাংলাদেশের ইতিহাসে এক স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী সরকার রাজত্ব করেছিল। বাংলাদেশের মানুষের মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছিল প্রতিটি ক্ষেত্রে; এমনকি মত প্রকাশের ভাষা ও লেখনীর শক্তিও হারিয়ে ফেলেছিল এ দেশের মানুষ। গুম, খুন, হত্যা, বলপূর্বক ধরে নিয়ে আয়নাঘরে আটক রাখা ইত্যাদি নির্মম নির্যাতনের মধ্য দিয়ে আমরা পার করছিলাম এক নিষ্ঠুর কালো অধ্যায়। এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে। একগুঁয়ে ও চরম হঠকারী হাসিনার সরকার ছাত্রদের বিরুদ্ধে নির্যাতন শুরু করে। ছাত্ররাও দমে যাওয়ার পাত্র ছিল না। অকাতরে জীবন দিয়েছে তবুও ফ্যাসিবাদের কাছে মাথা নত করেনি। হৃদয়ে জুলাই ’৩৬ হলো ছাত্রদের জীবন দেওয়ার সংক্ষিপ্ত ইতিহাসের আলোকে লেখা; যা ইতিহাসের আকরগ্রন্থ হিসেবে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। আন্দোলন চলাকালীন এবং গত ১৬ বছর চরম নির্যাতনের শিকার আমি নিজেও হয়েছিলাম।

ফ্ল্যাপে উল্লেখ করা হয়, সেই যুগান্তকারী ও আশা জাগানিয়া ঐতিহাসিক ছাত্র আন্দোলনের তীব্রতা এতই কঠিন ও গগণবিদারী ছিল যে, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসি এমনকি বায়তুল মোকাররম মসজিদের ইমামও পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। তাই ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের বিজয়কে ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা’ হিসেবে অভিহিত করা হয়। ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানকে অমর করে রাখতেই আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।

শাহ্ আলম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে শিক্ষকতা করছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ে বিএ অনার্স এবং এমএ প্রথম শ্রেণিতে প্রথম (গোল্ড মেডেল) স্থান অর্জন করেন। তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনের রিপোর্টার ও উপস্থাপক ছিলেন। বিটিভিতে চাকরিকালীন তার মেধা ও সাহসিকতার পরিচয় পাওয়া যায়। এতে ‘শাহ্ আলম বাংলাদেশ টেলিভিশন’ নামেই পরিচিত হয়ে ওঠেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

চবি শিক্ষক শাহ্ আলমের গ্রন্থ “হৃদয়ে জুলাই ’৩৬”

আপডেট সময় : ০৬:৪২:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সহিত্য ডেস্ক: অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষক মো. শাহ্ আলমের নতুন গ্রন্থ “হৃদয়ে জুলাই ’৩৬”। বইটি প্রকাশ করেছে মিজান পাবলিশার্স। মেলার ২০ নম্বর প্যাভিলিয়নে পাওয়া যাচ্ছে বইটি।
বইটির ফ্ল্যাপে উল্লেখ করা হয়েছে, গত প্রায় ১৬ বছর বাংলাদেশের ইতিহাসে এক স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী সরকার রাজত্ব করেছিল। বাংলাদেশের মানুষের মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছিল প্রতিটি ক্ষেত্রে; এমনকি মত প্রকাশের ভাষা ও লেখনীর শক্তিও হারিয়ে ফেলেছিল এ দেশের মানুষ। গুম, খুন, হত্যা, বলপূর্বক ধরে নিয়ে আয়নাঘরে আটক রাখা ইত্যাদি নির্মম নির্যাতনের মধ্য দিয়ে আমরা পার করছিলাম এক নিষ্ঠুর কালো অধ্যায়। এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে। একগুঁয়ে ও চরম হঠকারী হাসিনার সরকার ছাত্রদের বিরুদ্ধে নির্যাতন শুরু করে। ছাত্ররাও দমে যাওয়ার পাত্র ছিল না। অকাতরে জীবন দিয়েছে তবুও ফ্যাসিবাদের কাছে মাথা নত করেনি। হৃদয়ে জুলাই ’৩৬ হলো ছাত্রদের জীবন দেওয়ার সংক্ষিপ্ত ইতিহাসের আলোকে লেখা; যা ইতিহাসের আকরগ্রন্থ হিসেবে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। আন্দোলন চলাকালীন এবং গত ১৬ বছর চরম নির্যাতনের শিকার আমি নিজেও হয়েছিলাম।

ফ্ল্যাপে উল্লেখ করা হয়, সেই যুগান্তকারী ও আশা জাগানিয়া ঐতিহাসিক ছাত্র আন্দোলনের তীব্রতা এতই কঠিন ও গগণবিদারী ছিল যে, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসি এমনকি বায়তুল মোকাররম মসজিদের ইমামও পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। তাই ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের বিজয়কে ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা’ হিসেবে অভিহিত করা হয়। ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানকে অমর করে রাখতেই আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।

শাহ্ আলম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে শিক্ষকতা করছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ে বিএ অনার্স এবং এমএ প্রথম শ্রেণিতে প্রথম (গোল্ড মেডেল) স্থান অর্জন করেন। তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনের রিপোর্টার ও উপস্থাপক ছিলেন। বিটিভিতে চাকরিকালীন তার মেধা ও সাহসিকতার পরিচয় পাওয়া যায়। এতে ‘শাহ্ আলম বাংলাদেশ টেলিভিশন’ নামেই পরিচিত হয়ে ওঠেন।