ঢাকা ১০:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

চবি ছাত্রীকে হেনস্তায় গ্রেফতার চারজনের দোষ স্বীকার, স্থায়ী বহিষ্কার

  • আপডেট সময় : ১২:৫৪:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ জুলাই ২০২২
  • ৮৯ বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত ছাত্রদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক শিরীণ আখতার। গতকাল শনিবার উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে সিনেট সভায় তিনি বলেন, “আমি লজ্জার সাথে বলছি যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের তিনজন আমাদের ছাত্র। “ডিসিপ্লিনারি কমিটির মাধ্যমে আজ অথবা কালকের মধ্যে তাদের আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হবে।”
গত ১৭ জুলাই ক্যাম্পাসে এক শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নে জড়িত অভিযোগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীসহ চারজনকে গ্রেপ্তারের কথা শনিবার জানিয়েছে র‌্যাব। গ্রেপ্তার অন্য দুজন পাশের হাটহাজারী কলেজের ছাত্র। এছাড়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক ছাত্রকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ধরে নিয়েছে বলে গুঞ্জন রয়েছে। গ্রেপ্তার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র দুজনের মধ্যে মোহাম্মদ আজিমকে (২৩) ঘটনার ‘হোতা’ বলছে র‌্যাব। তিনি ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। আরেকজন আবছার বাবু (২২) বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। অভিভাবকের চাকরি সূত্রে তারা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় থাকেন। এই ঘটনায় মোট ছয়জনের জড়িত থাকার তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়েছে র‌্যাব। সতীর্থ যৌন নিপড়নের শিকার হওয়ার পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে নেমেছে। বিচারের দাবি তুলে তারা প্রশাসনকে সময়ও বেঁধে দিয়েছে।
সিনেট সভায় উপাচার্য বলেন, “এখানে উপস্থিত সমস্ত শিক্ষক প্রতিনিধি, সিনেটর সবাইকে বলতে চাই- আমরা এ ব্যাপারে কোনো ছাড় দেব না। “যেখানে আমি উপাচার্য আছি, সেখানে আমাদের মেয়েরা কেন লাঞ্ছিত হবে। আমি বলে দিয়েছি এর মূলোৎপাটন করতে হবে।”
উল্লেখ্য, গত ১৭ জুলাই রাতে চবির এক ছাত্রী পাঁচজন দুর্বৃত্তের হাতে শারীরিক হেনস্তার শিকার হন। ওই সময় তার সঙ্গে থাকা বন্ধুকেও মারধর ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়। পরে এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী প্রক্টর বরাবর অভিযোগ দিলে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়া অজ্ঞাতনামা পাঁচজনকে আসামি করে থানায় মামলাও করেছেন ওই ছাত্রী। জড়িতদের বিচার দাবিতে উত্তাল চবি ক্যাম্পাস।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

চবি ছাত্রীকে হেনস্তায় গ্রেফতার চারজনের দোষ স্বীকার, স্থায়ী বহিষ্কার

আপডেট সময় : ১২:৫৪:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ জুলাই ২০২২

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত ছাত্রদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক শিরীণ আখতার। গতকাল শনিবার উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে সিনেট সভায় তিনি বলেন, “আমি লজ্জার সাথে বলছি যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের তিনজন আমাদের ছাত্র। “ডিসিপ্লিনারি কমিটির মাধ্যমে আজ অথবা কালকের মধ্যে তাদের আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হবে।”
গত ১৭ জুলাই ক্যাম্পাসে এক শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নে জড়িত অভিযোগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীসহ চারজনকে গ্রেপ্তারের কথা শনিবার জানিয়েছে র‌্যাব। গ্রেপ্তার অন্য দুজন পাশের হাটহাজারী কলেজের ছাত্র। এছাড়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক ছাত্রকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ধরে নিয়েছে বলে গুঞ্জন রয়েছে। গ্রেপ্তার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র দুজনের মধ্যে মোহাম্মদ আজিমকে (২৩) ঘটনার ‘হোতা’ বলছে র‌্যাব। তিনি ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। আরেকজন আবছার বাবু (২২) বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। অভিভাবকের চাকরি সূত্রে তারা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় থাকেন। এই ঘটনায় মোট ছয়জনের জড়িত থাকার তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়েছে র‌্যাব। সতীর্থ যৌন নিপড়নের শিকার হওয়ার পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে নেমেছে। বিচারের দাবি তুলে তারা প্রশাসনকে সময়ও বেঁধে দিয়েছে।
সিনেট সভায় উপাচার্য বলেন, “এখানে উপস্থিত সমস্ত শিক্ষক প্রতিনিধি, সিনেটর সবাইকে বলতে চাই- আমরা এ ব্যাপারে কোনো ছাড় দেব না। “যেখানে আমি উপাচার্য আছি, সেখানে আমাদের মেয়েরা কেন লাঞ্ছিত হবে। আমি বলে দিয়েছি এর মূলোৎপাটন করতে হবে।”
উল্লেখ্য, গত ১৭ জুলাই রাতে চবির এক ছাত্রী পাঁচজন দুর্বৃত্তের হাতে শারীরিক হেনস্তার শিকার হন। ওই সময় তার সঙ্গে থাকা বন্ধুকেও মারধর ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়। পরে এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী প্রক্টর বরাবর অভিযোগ দিলে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়া অজ্ঞাতনামা পাঁচজনকে আসামি করে থানায় মামলাও করেছেন ওই ছাত্রী। জড়িতদের বিচার দাবিতে উত্তাল চবি ক্যাম্পাস।