নিজস্ব প্রতিবেদক : কয়েকটি ব্যাংক থেকে শত কোটি টাকা ঋণ ‘আত্মসাত’ করে চট্টগ্রাম থেকে পালানো ব্যবসায়ী হোসাইন হায়দার আলী (৫০) প্রায় এক দশক পর ঢাকায় গ্রেপ্তার হয়েছেন।
চট্টগ্রামে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে শত কোটি টাকা ঋণ ‘আত্মসাত’ করে দশ বছর ধরে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। গত শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ওই ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তারের খবর জানায় চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানা পুলিশ। এর আগে শুক্রবার ঢাকা বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার সড়ক থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওসি নেজাম উদ্দিন জানান, শনিবারই হোসাইন হায়দার আলীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
হোসাইন হায়দার নগরীর কোতোয়ালী থানার লাভলেইন আবেদিন কলোনি এলাকার বাসিন্দা মৃত হায়দার আলী জিওয়ানীর ছেলে। জুবিলি রোডে মেসার্স জুবলি ট্রেডার্স নামের একটি প্রতিষ্ঠান ছিল হায়দার আলী। ওসি নেজাম জানান, ঢাকায় পাড়ি দেওয়ার দেওয়ার আগে তিনি পণ্য আমদানি-রপ্তানির ব্যবসা করতেন। সেই টাকা আত্মসাত করে তিনি আত্মগোপনে যান। হোসাইন হায়দার আলী তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে ২০১২ সাল থেকে চট্টগ্রামের বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রায় ১০০ কোটি কোটি ঋণ নেন। তা আর পরিশোধের ধার ধারেননি তিনি। বরং গোপনে ছেড়ে যান চট্টগ্রাম নগরী। এদিকে ঋণের টাকা না পেয়ে তার বিরুদ্ধে একে একে ১০টি মামলা দায়ের করে বিভিন্ন ব্যাংক। এসব মামলায় সাজা ও জরিমানা হয়। কিন্তু লাপাত্তা হয়ে হায়দার আলীকে গত ৫ বছর ধরে অনুসন্ধান করে খুঁজে পায়নি পুলিশ। তবে শেষ রক্ষা তার হয়নি। ঢাকার অভিজাত বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে শেষ পর্যন্ত তিনি গ্রেপ্তার হলেন। এখানে বিলাসবহুল বাড়ি কিনে পরিবার নিয়ে বিলাসী জীবন যাপন করছিলেন তিনি। গতকাল রোববার সকালে কোতোয়ালী থানার ওসি নেজাম উদ্দিন জানান, দীর্ঘদিন নিজেকে আত্মগোপনে রাখলেও কোতোয়ালী থানার চৌকস অনুসন্ধানী দল গুপ্তচরের মাধ্যমে ঢাকার অভিজাত এলাকায় তার অবস্থান শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। তাকে গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়।
চট্টগ্রাম থেকে শতকোটি টাকা হাতিয়ে ঢাকায় বিলাসী জীবন
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ