ঢাকা ০২:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫

চট্টগ্রাম-ঢাকা পাইপলাইনে তেল সরবরাহ শুরু, সাশ্রয় হবে ২২৬ কোটি

  • আপডেট সময় : ১২:৫৩:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫
  • ৯ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় পাইলাইনে জ্বালানি তেল সরবরাহ শুরু হয়েছে। ২৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন উদ্বোধনের মাধ্যমে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) বছরের প্রায় ২২৬ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।

শনিবার (১৬ আগস্ট) বেলা ১১টায় চট্টগ্রামের পতেঙ্গা এলাকায় জ্বালানি তেলের প্রধান স্থাপনা (এমআই) প্রান্তে এর উদ্বোধন করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) কর্মকর্তারা জানান, ২৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পাইপলাইনে নিয়মিত জ্বালানি তেল সরবরাহ করা হলে তেল পরিবহন বাবদ বছরের সাশ্রয় হবে অন্তত ২২৬ কোটি টাকা। এই পাইপলাইন দিয়ে ঢাকা প্রান্তে মূলত ডিজেল পরিবহন হবে।

প্রকল্পের বিবরণ অনুসারে, পেট্রোলিয়াম ট্যাঙ্কারে তেল পরিবহনের ফলে আগে লোডিং এবং আনলোডিং প্রক্রিয়ার সময় দুইবার সময় ব্যয় হতো। এখন থেকে পাইপলাইন ব্যবহারের ফলে দূষণের হার কমবে।

পতেঙ্গা থেকে নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল পর্যন্ত ২৪১ কিলোমিটারজুড়ে ১৬ ইঞ্চি ব্যাসের একটি পাইপ স্থাপন করা হয়েছে। গোদনাইল থেকে ৮.২৯ কিলোমিটার দূরে ফতুল্লায় একটি ডিপো স্থাপন করা হয়েছে, যেখানে ১০ ইঞ্চি ব্যাসের একটি পৃথক পাইপলাইন স্থাপন করা হয়েছে। ভূগর্ভস্থ পাইপলাইনটি ২২টি নদী ও খালের নিচ দিয়ে গেছে।

এর আগে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইন নামে একটি পাইপলাইন ভারত থেকে বাংলাদেশে ডিজেল আমদানির জন্য নির্মাণ করা হয়েছিল। বিপিসি কর্মকর্তারা জানান, তারা এখন সমুদ্র থেকে অপরিশোধিত তেল খালাসের জন্য আরেকটি পাইপলাইন নির্মাণ করছেন।

বিপিসি কর্মকর্তাদের মতে, তেল ট্যাঙ্কারগুলো বন্দর শহর থেকে নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরে পেট্রোলিয়াম পরিবহনে অন্তত ২৪ ঘণ্টা সময় নেয়। সেখানে পাইপলাইনটি মাত্র চার ঘণ্টার মধ্যে তেল পৌঁছাতে সক্ষম।

বর্তমানে বিপিসি প্রতি বছর তেল ট্যাঙ্কারে করে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় তেল পরিবহনে ৩২৬ কোটি টাকা ব্যয় করে। তবে পাইপলাইনটি চালু হলে খরচ হবে ৯০ কোটি টাকা। ফলে বার্ষিক কমপক্ষে ২২৬ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। পাইপলাইন চালুর ফলে তেল চুরিও ঠেকাবে বলে জানান কর্মকর্তারা।

এসি/

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চট্টগ্রাম-ঢাকা পাইপলাইনে তেল সরবরাহ শুরু, সাশ্রয় হবে ২২৬ কোটি

আপডেট সময় : ১২:৫৩:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় পাইলাইনে জ্বালানি তেল সরবরাহ শুরু হয়েছে। ২৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন উদ্বোধনের মাধ্যমে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) বছরের প্রায় ২২৬ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।

শনিবার (১৬ আগস্ট) বেলা ১১টায় চট্টগ্রামের পতেঙ্গা এলাকায় জ্বালানি তেলের প্রধান স্থাপনা (এমআই) প্রান্তে এর উদ্বোধন করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) কর্মকর্তারা জানান, ২৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পাইপলাইনে নিয়মিত জ্বালানি তেল সরবরাহ করা হলে তেল পরিবহন বাবদ বছরের সাশ্রয় হবে অন্তত ২২৬ কোটি টাকা। এই পাইপলাইন দিয়ে ঢাকা প্রান্তে মূলত ডিজেল পরিবহন হবে।

প্রকল্পের বিবরণ অনুসারে, পেট্রোলিয়াম ট্যাঙ্কারে তেল পরিবহনের ফলে আগে লোডিং এবং আনলোডিং প্রক্রিয়ার সময় দুইবার সময় ব্যয় হতো। এখন থেকে পাইপলাইন ব্যবহারের ফলে দূষণের হার কমবে।

পতেঙ্গা থেকে নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল পর্যন্ত ২৪১ কিলোমিটারজুড়ে ১৬ ইঞ্চি ব্যাসের একটি পাইপ স্থাপন করা হয়েছে। গোদনাইল থেকে ৮.২৯ কিলোমিটার দূরে ফতুল্লায় একটি ডিপো স্থাপন করা হয়েছে, যেখানে ১০ ইঞ্চি ব্যাসের একটি পৃথক পাইপলাইন স্থাপন করা হয়েছে। ভূগর্ভস্থ পাইপলাইনটি ২২টি নদী ও খালের নিচ দিয়ে গেছে।

এর আগে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইন নামে একটি পাইপলাইন ভারত থেকে বাংলাদেশে ডিজেল আমদানির জন্য নির্মাণ করা হয়েছিল। বিপিসি কর্মকর্তারা জানান, তারা এখন সমুদ্র থেকে অপরিশোধিত তেল খালাসের জন্য আরেকটি পাইপলাইন নির্মাণ করছেন।

বিপিসি কর্মকর্তাদের মতে, তেল ট্যাঙ্কারগুলো বন্দর শহর থেকে নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরে পেট্রোলিয়াম পরিবহনে অন্তত ২৪ ঘণ্টা সময় নেয়। সেখানে পাইপলাইনটি মাত্র চার ঘণ্টার মধ্যে তেল পৌঁছাতে সক্ষম।

বর্তমানে বিপিসি প্রতি বছর তেল ট্যাঙ্কারে করে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় তেল পরিবহনে ৩২৬ কোটি টাকা ব্যয় করে। তবে পাইপলাইনটি চালু হলে খরচ হবে ৯০ কোটি টাকা। ফলে বার্ষিক কমপক্ষে ২২৬ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। পাইপলাইন চালুর ফলে তেল চুরিও ঠেকাবে বলে জানান কর্মকর্তারা।

এসি/