ঢাকা ০২:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২৫, ২৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রাম আবাহনীকে উড়িয়ে দিল ১০ জনের মোহামেডান

  • আপডেট সময় : ০৮:১৪:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৫
  • ১৭ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া প্রতিবেদক: ২০ মিনিটেই ১০ জনের দলে পরিণত হলো মোহামেডান। শক্তি ক্ষয় হলেও একটুও দমল না সাদাকালো জার্সিধারীরা, বরং এরপর আরও আগ্রাসী ফুটবলের পাসরা মেলল তারা। দ্বিতীয়ার্ধে একের পর এক গোলের আনন্দে ডানা মেললেন মনজির কুলদিয়াতি, এমানুয়েল সানডে, সৌরভ দেওয়ান। চট্টগ্রাম আবাহনীকে স্রেফ খড়কুঁটোর মতো উড়িয়ে নতুন বছর শুরু করল আলফাজ আহমেদের দল। ময়মনসিংহের রফিকউদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে শনিবার চট্টগ্রাম আবাহনীকে ৫-১ গোলে হারিয়ে প্রিমিয়ার লিগে শতভাগ জয়ের ধারা ধরে রেখেছে মোহামেডান। ৬ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান মজবুত করেছে তারা। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে মোহামেডান। পঞ্চম মিনিটে সানডের শট গোলরক্ষক ফিস্ট করার পর মোজাফ্ফরভের শট প্রতিহত হয় রক্ষণে।

অষ্টম মিনিট প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডারের পাশ দিয়ে রহিম উদ্দিন বল বের করে নিলেও ঠিকঠাক শট নিতে পারেননি। চতুর্দশ মিনিটে মোজাফ্ফরভের বাঁকানো ফ্রি কিক ঝাঁপিয়ে আটকান মোহাম্মদ নাঈম। ২০তম মিনিটে মারাত্মক ফাউলের কারণে লাল কার্ড দেখেন মোহামেডানের শাকিল আহাদ তপু। লাফিয়ে ওঠা বলে হেড করতে গিয়েছিলেন চট্টগ্রাম আবাহনীর অনিক ঘোষ, একই সময়ে উঁচু করে পা চালিয়ে দেন তপু।

তার পা গিয়ে লাগে অনিকের কাঁধের নিচে! ব্যথায় কাতরাতে কাতরাতে মাঠেই শুয়ে পড়েন তিনি। দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন তপু। ৪২তম মিনিটে সানডের আচমকা দূরপাল্লার শট অল্পের জন্য যায় বাইরে। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে চট্টগ্রাম আবাহনীর শুভ রাজবংশী ক্রস বাড়িয়েছিলেন, সেই ক্রসই জালের দিকে ছুটছিল, লাফিয়ে আটকান মোহামেডান গোলকিপার। ম্যাচে বন্দর নগরীর দলটির ঝলক বলতে এতটুকুই। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে এগিয়ে যায় মোহামেডান।

মোজাফ্ফরভের কর্নারে কুলদিয়াতি হেডে খুঁজে নেন ঠিকানা। ৫৪তম মিনিটে ঢিলেঢালা রক্ষণে দ্বিতীয় গোলটি হজম করে চট্টগ্রাম আবাহনী। আরিফ হোসেনের আড়াআড়ি ক্রসে গোলমুখে একেবারে ফাঁকায় থাকা সানডে আলতো টোকায় অনায়াসে লক্ষ্যভেদ করেন।
৬৩তম মিনিটে আর্নেস বোয়াটেংয়ের শট পোস্টে লেগে ফিরে আসার পর ফিরতি সুযোগ কাজে লাগিয়ে স্কোরলাইন ৩-০ করেন সৌরভ দেওয়ান। ম্যাচে চালকের আসনে বসে মোহামেডান।

শেষ দিকে আরও দুই গোল হজম করে ম্যাচ থেকে পুরোপুরি ছিটকে যায় চট্টগ্রাম আবাহনী। ৮৫তম মিনিটে আক্রমণ ক্লিয়ার করতে গিয়ে আত্মঘাতী গোল করে বসেন সেলিম রেজা। এরপর ৯০তম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন সুমন। চলতি লিগে টানা ছয় ম্যাচ হারের আগে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান কমান চট্টগ্রাম আবাহনীর ইমতিয়াজ সুলতান জিতু। বক্সে রাজীবের হাতে বল লাগলে স্পট কিকের বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি। এখন পর্যন্ত পয়েন্টের খাতা খুলতে না পারা চট্টগ্রাম আবাহনী টেবিলে আছে তলানিতে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

চট্টগ্রাম আবাহনীকে উড়িয়ে দিল ১০ জনের মোহামেডান

আপডেট সময় : ০৮:১৪:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৫

ক্রীড়া প্রতিবেদক: ২০ মিনিটেই ১০ জনের দলে পরিণত হলো মোহামেডান। শক্তি ক্ষয় হলেও একটুও দমল না সাদাকালো জার্সিধারীরা, বরং এরপর আরও আগ্রাসী ফুটবলের পাসরা মেলল তারা। দ্বিতীয়ার্ধে একের পর এক গোলের আনন্দে ডানা মেললেন মনজির কুলদিয়াতি, এমানুয়েল সানডে, সৌরভ দেওয়ান। চট্টগ্রাম আবাহনীকে স্রেফ খড়কুঁটোর মতো উড়িয়ে নতুন বছর শুরু করল আলফাজ আহমেদের দল। ময়মনসিংহের রফিকউদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে শনিবার চট্টগ্রাম আবাহনীকে ৫-১ গোলে হারিয়ে প্রিমিয়ার লিগে শতভাগ জয়ের ধারা ধরে রেখেছে মোহামেডান। ৬ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান মজবুত করেছে তারা। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে মোহামেডান। পঞ্চম মিনিটে সানডের শট গোলরক্ষক ফিস্ট করার পর মোজাফ্ফরভের শট প্রতিহত হয় রক্ষণে।

অষ্টম মিনিট প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডারের পাশ দিয়ে রহিম উদ্দিন বল বের করে নিলেও ঠিকঠাক শট নিতে পারেননি। চতুর্দশ মিনিটে মোজাফ্ফরভের বাঁকানো ফ্রি কিক ঝাঁপিয়ে আটকান মোহাম্মদ নাঈম। ২০তম মিনিটে মারাত্মক ফাউলের কারণে লাল কার্ড দেখেন মোহামেডানের শাকিল আহাদ তপু। লাফিয়ে ওঠা বলে হেড করতে গিয়েছিলেন চট্টগ্রাম আবাহনীর অনিক ঘোষ, একই সময়ে উঁচু করে পা চালিয়ে দেন তপু।

তার পা গিয়ে লাগে অনিকের কাঁধের নিচে! ব্যথায় কাতরাতে কাতরাতে মাঠেই শুয়ে পড়েন তিনি। দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন তপু। ৪২তম মিনিটে সানডের আচমকা দূরপাল্লার শট অল্পের জন্য যায় বাইরে। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে চট্টগ্রাম আবাহনীর শুভ রাজবংশী ক্রস বাড়িয়েছিলেন, সেই ক্রসই জালের দিকে ছুটছিল, লাফিয়ে আটকান মোহামেডান গোলকিপার। ম্যাচে বন্দর নগরীর দলটির ঝলক বলতে এতটুকুই। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে এগিয়ে যায় মোহামেডান।

মোজাফ্ফরভের কর্নারে কুলদিয়াতি হেডে খুঁজে নেন ঠিকানা। ৫৪তম মিনিটে ঢিলেঢালা রক্ষণে দ্বিতীয় গোলটি হজম করে চট্টগ্রাম আবাহনী। আরিফ হোসেনের আড়াআড়ি ক্রসে গোলমুখে একেবারে ফাঁকায় থাকা সানডে আলতো টোকায় অনায়াসে লক্ষ্যভেদ করেন।
৬৩তম মিনিটে আর্নেস বোয়াটেংয়ের শট পোস্টে লেগে ফিরে আসার পর ফিরতি সুযোগ কাজে লাগিয়ে স্কোরলাইন ৩-০ করেন সৌরভ দেওয়ান। ম্যাচে চালকের আসনে বসে মোহামেডান।

শেষ দিকে আরও দুই গোল হজম করে ম্যাচ থেকে পুরোপুরি ছিটকে যায় চট্টগ্রাম আবাহনী। ৮৫তম মিনিটে আক্রমণ ক্লিয়ার করতে গিয়ে আত্মঘাতী গোল করে বসেন সেলিম রেজা। এরপর ৯০তম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন সুমন। চলতি লিগে টানা ছয় ম্যাচ হারের আগে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান কমান চট্টগ্রাম আবাহনীর ইমতিয়াজ সুলতান জিতু। বক্সে রাজীবের হাতে বল লাগলে স্পট কিকের বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি। এখন পর্যন্ত পয়েন্টের খাতা খুলতে না পারা চট্টগ্রাম আবাহনী টেবিলে আছে তলানিতে।