ঢাকা ০৪:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

চট্টগ্রামে হেফাজত নেতা নোমান ফয়েজীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা

  • আপডেট সময় : ০৯:০২:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ মে ২০২১
  • ১১৭ বার পড়া হয়েছে


চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : হেফাজতে ইসলামের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির প্রচার সম্পাদক জাকারিয়া নোমান ফয়েজীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন চট্টগ্রামের এক নারী। চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) আব্দুল্লাহ আল মাসুম জানান, গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে হাটহাজারি থানায় ওই মামলা দায়ের করা হয়। তিনি বলেন, ‘নোমান ফয়েজী বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ২০১৯ সাল থেকে ওই নারীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। কিন্তু বিয়ে না করে তার সাথে প্রতারণা করায় ওই নারী ধর্ষণের মামলাটি করেছেন।’
বাংলাদেশের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বলা হয়েছে, যদি কোন পুরুষ বিয়ে না করে ষোল বছরের বেশি বয়সী কোনো নারীর সাথে তার সম্মতি ছাড়া অথবা ভয় দেখিয়ে বা প্রতারণামূলকভাবে সম্মতি আদায় করেন, অথবা ষোল বছরের কম বয়সী কোনো নারীর সাথে তার সম্মতিতে বা সম্মতি ছাড়া যৌন সঙ্গম করেন, তা ধর্ষণ বলে গণ্য হবে।
হাটহাজারীর সাম্প্রতিক সহিংসতার মামলায় নোমান ফয়েজীকে কক্সবাজার থেকে গ্রেপ্তার করে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়। ওই মামলায় তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।
ধর্ষণ মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ফেইসবুকের মাধ্যমে ওই নারীর সঙ্গে জাকারিয়া নোমান ফয়েজীর পরিচয় হয়। পরে ফেইসবুক মেসেঞ্জার ও হোয়াটসআপের আলাপ জমিয়ে ওই নারীকে ‘বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে’ হাটহাজারিতে নিয়ে যান এই হেফাজত নেত। মামলার বাদী বলছেন, ওই বছরের নভেম্বরে হাটহাজারিতে একটি বাসা ভাড়া করে সেখানে তাকে রাখেন নোমান ফয়েজী। সেখানে বিভিন্ন সময়ে নোমান ফয়েজী তার সাথে ‘শারীরিক সম্পর্ক’ করেন। প্রায় এক বছর ওই নারী হাটহাজারি থেকে চট্টগ্রাম শহরে তার খালার বাসায় চলে যান। তখনও নোমান ফয়েজী ‘ফুসলিয়ে বিভিন্ন বাসা ও হোটেলে নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করেন’ বলে মামলায় অভিযোগ করেছেন বাদী। চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক বৃহস্পতিবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে কাওমী মাদ্রাসা ভিত্তিক সংগঠন হেফাজত ইসলামের নেতা জাকারিয়া নোমান ফয়েজীর একাধিক ‘বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কের’ প্রমাণ পাওয়ার কথা বলেছিলেন। গ্রেপ্তারের পর জাকারিয়া নোমানের কাছ থেকে জব্দ করা মোবাইল ফোন থেকে বেশ কিছু লিখিত কথোপকথন পুলিশ জব্দ করেছে, যেগুলো মামলার আলামত হিসেবে আদালতে জমা দেওয়া হবে বলে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘তিনি (নোমান ফয়েজী) আমাদের কাছেও স্বীকার করেছেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। আমি তাকে বলেছি আপনি যে বেশভূষা নিয়ে চলেন এবং আপনার যে লক্ষ্য উদ্দেশ্য, সেগুলোর সাথে এসব যায় কিনাৃ এজন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

চট্টগ্রামে হেফাজত নেতা নোমান ফয়েজীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা

আপডেট সময় : ০৯:০২:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ মে ২০২১


চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : হেফাজতে ইসলামের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির প্রচার সম্পাদক জাকারিয়া নোমান ফয়েজীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন চট্টগ্রামের এক নারী। চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) আব্দুল্লাহ আল মাসুম জানান, গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে হাটহাজারি থানায় ওই মামলা দায়ের করা হয়। তিনি বলেন, ‘নোমান ফয়েজী বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ২০১৯ সাল থেকে ওই নারীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। কিন্তু বিয়ে না করে তার সাথে প্রতারণা করায় ওই নারী ধর্ষণের মামলাটি করেছেন।’
বাংলাদেশের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বলা হয়েছে, যদি কোন পুরুষ বিয়ে না করে ষোল বছরের বেশি বয়সী কোনো নারীর সাথে তার সম্মতি ছাড়া অথবা ভয় দেখিয়ে বা প্রতারণামূলকভাবে সম্মতি আদায় করেন, অথবা ষোল বছরের কম বয়সী কোনো নারীর সাথে তার সম্মতিতে বা সম্মতি ছাড়া যৌন সঙ্গম করেন, তা ধর্ষণ বলে গণ্য হবে।
হাটহাজারীর সাম্প্রতিক সহিংসতার মামলায় নোমান ফয়েজীকে কক্সবাজার থেকে গ্রেপ্তার করে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়। ওই মামলায় তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।
ধর্ষণ মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ফেইসবুকের মাধ্যমে ওই নারীর সঙ্গে জাকারিয়া নোমান ফয়েজীর পরিচয় হয়। পরে ফেইসবুক মেসেঞ্জার ও হোয়াটসআপের আলাপ জমিয়ে ওই নারীকে ‘বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে’ হাটহাজারিতে নিয়ে যান এই হেফাজত নেত। মামলার বাদী বলছেন, ওই বছরের নভেম্বরে হাটহাজারিতে একটি বাসা ভাড়া করে সেখানে তাকে রাখেন নোমান ফয়েজী। সেখানে বিভিন্ন সময়ে নোমান ফয়েজী তার সাথে ‘শারীরিক সম্পর্ক’ করেন। প্রায় এক বছর ওই নারী হাটহাজারি থেকে চট্টগ্রাম শহরে তার খালার বাসায় চলে যান। তখনও নোমান ফয়েজী ‘ফুসলিয়ে বিভিন্ন বাসা ও হোটেলে নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করেন’ বলে মামলায় অভিযোগ করেছেন বাদী। চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক বৃহস্পতিবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে কাওমী মাদ্রাসা ভিত্তিক সংগঠন হেফাজত ইসলামের নেতা জাকারিয়া নোমান ফয়েজীর একাধিক ‘বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কের’ প্রমাণ পাওয়ার কথা বলেছিলেন। গ্রেপ্তারের পর জাকারিয়া নোমানের কাছ থেকে জব্দ করা মোবাইল ফোন থেকে বেশ কিছু লিখিত কথোপকথন পুলিশ জব্দ করেছে, যেগুলো মামলার আলামত হিসেবে আদালতে জমা দেওয়া হবে বলে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘তিনি (নোমান ফয়েজী) আমাদের কাছেও স্বীকার করেছেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। আমি তাকে বলেছি আপনি যে বেশভূষা নিয়ে চলেন এবং আপনার যে লক্ষ্য উদ্দেশ্য, সেগুলোর সাথে এসব যায় কিনাৃ এজন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন।’