ঢাকা ০৬:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫

চট্টগ্রামে প্রস্তুত ৪ হাজার স্কুল

  • আপডেট সময় : ০১:৫০:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ১০৬ বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : দেড় বছর বন্ধ থাকার পর খুলে দেওয়ার আগে পাঠদানের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে চট্টগ্রামের প্রায় চার হাজার স্কুল। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্কুলে প্রবেশ এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাসে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়েছে। শিক্ষার্থীদের পৌঁছে দিয়ে তাদের অভিভাবকদের অহেতুক স্কুলের সামনে জটলা না করার অনুরোধ জানিয়েছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান। গতকাল শনিবার সকালে নগরীর ন্যাশনাল প্রাইমারি স্কুল ও ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক। জেলা প্রশাসক বলেন, ‘যাদের পাবলিক পরীক্ষা আছে, তারা সপ্তাহে প্রতিদিন ক্লাস করবে। আর যাদের পাবলিক পরীক্ষা নেই, তারা সপ্তাহে একদিন ক্লাস করবে। এটাই সিদ্ধান্ত হয়েছে। করোনার প্রকোপ আস্তে আস্তে কমে আসছে। আশা করি অচিরেই সব শিক্ষার্থী যাতে প্রতিদিন ক্লাস করতে পারে, সেই সিদ্ধান্ত হবে। তবে অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ, অনেক অভিভাবক সন্তানকে পৌঁছে দিয়ে স্কুলের সামনে বসে থাকেন। অনেক অভিভাবক একসঙ্গে বসার ফলে জটলা তৈরি হয়। স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে অভিভাবকদের জটলা না করার অনুরোধ করছি।’ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান জানিয়েছেন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোকে গত এক সপ্তাহ ধরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে পাঠদানের উপযোগী করা হয়েছে। এজন্য প্রত্যেক স্কুলভিত্তিক কমিটি করে দেওয়া হয়। গত দু’দিন উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং মহানগর পর্যায়ে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিদর্শন করেছেন। তারা সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পাঠদানের উপযোগী বলে মত দিয়েছেন। পাঠদান শুরুর পরও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো মনিটরিংয়ের আওতায় থাকবে। জেলা প্রশাসক জানান, শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে। স্কুলগুলোর প্রবেশপথে মার্কিং করে দেওয়া হয়েছে যাতে সবাই সামাজিক দূরত্ব মেনে প্রবেশ করতে পারেন। প্রত্যেকটি শ্রেণিকক্ষ, বাথরুম, শিক্ষকদের অফিস, কমনরুম স্যানিটাইজ করা হয়েছে। স্কুলের সামনে ওয়াশ ব্লক স্থাপন করা হয়েছে, প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করতে হবে। মুখে মাস্ক না থাকলে সেই শিক্ষার্থীকে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। এছাড়া শ্রেণিকক্ষে বসতে হবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে। এসময় চট্টগ্রামের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. শহীদুল ইসলাম জানিয়েছেন, স্কুল খোলার ঘোষণা আসার পর মহানগরের ২১৫টি সহ জেলার মোট ২ হাজার ২৬৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে পাঠদানের উপযোগী করে তোলা হয়েছে। উল্লেখ্য, জেলা প্রশাসনের হিসাব অনুযায়ী, চট্টগ্রাম নগরী ও জেলায় সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক মিলিয়ে ৩ হাজার ৭৪৮টি স্কুল আছে। জেলা প্রশাসকের সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মু. মাহমুদ উল্লাহ মারুফ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওমর ফারুক, গালিব চৌধুরী, পীষুষ দত্ত, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শহীদুল ইসলাম, জেলা শিক্ষা অফিসার এন এম জিয়াউল হায়দার হেনরী, কোতোয়ালী থানা শিক্ষা অফিসার হারুন-উর রশীদ, সহকারী থানা শিক্ষা অফিসার (কোতোয়ালী) লিপি গোপ, ডা. খাস্তগীর সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহিদা আক্তার, সরকারী ন্যাশনাল প্রাইমারী স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোছাম্মৎ বদরুন্নেছা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

চট্টগ্রামে প্রস্তুত ৪ হাজার স্কুল

আপডেট সময় : ০১:৫০:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : দেড় বছর বন্ধ থাকার পর খুলে দেওয়ার আগে পাঠদানের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে চট্টগ্রামের প্রায় চার হাজার স্কুল। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্কুলে প্রবেশ এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাসে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়েছে। শিক্ষার্থীদের পৌঁছে দিয়ে তাদের অভিভাবকদের অহেতুক স্কুলের সামনে জটলা না করার অনুরোধ জানিয়েছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান। গতকাল শনিবার সকালে নগরীর ন্যাশনাল প্রাইমারি স্কুল ও ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক। জেলা প্রশাসক বলেন, ‘যাদের পাবলিক পরীক্ষা আছে, তারা সপ্তাহে প্রতিদিন ক্লাস করবে। আর যাদের পাবলিক পরীক্ষা নেই, তারা সপ্তাহে একদিন ক্লাস করবে। এটাই সিদ্ধান্ত হয়েছে। করোনার প্রকোপ আস্তে আস্তে কমে আসছে। আশা করি অচিরেই সব শিক্ষার্থী যাতে প্রতিদিন ক্লাস করতে পারে, সেই সিদ্ধান্ত হবে। তবে অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ, অনেক অভিভাবক সন্তানকে পৌঁছে দিয়ে স্কুলের সামনে বসে থাকেন। অনেক অভিভাবক একসঙ্গে বসার ফলে জটলা তৈরি হয়। স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে অভিভাবকদের জটলা না করার অনুরোধ করছি।’ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান জানিয়েছেন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোকে গত এক সপ্তাহ ধরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে পাঠদানের উপযোগী করা হয়েছে। এজন্য প্রত্যেক স্কুলভিত্তিক কমিটি করে দেওয়া হয়। গত দু’দিন উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং মহানগর পর্যায়ে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিদর্শন করেছেন। তারা সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পাঠদানের উপযোগী বলে মত দিয়েছেন। পাঠদান শুরুর পরও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো মনিটরিংয়ের আওতায় থাকবে। জেলা প্রশাসক জানান, শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে। স্কুলগুলোর প্রবেশপথে মার্কিং করে দেওয়া হয়েছে যাতে সবাই সামাজিক দূরত্ব মেনে প্রবেশ করতে পারেন। প্রত্যেকটি শ্রেণিকক্ষ, বাথরুম, শিক্ষকদের অফিস, কমনরুম স্যানিটাইজ করা হয়েছে। স্কুলের সামনে ওয়াশ ব্লক স্থাপন করা হয়েছে, প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করতে হবে। মুখে মাস্ক না থাকলে সেই শিক্ষার্থীকে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। এছাড়া শ্রেণিকক্ষে বসতে হবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে। এসময় চট্টগ্রামের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. শহীদুল ইসলাম জানিয়েছেন, স্কুল খোলার ঘোষণা আসার পর মহানগরের ২১৫টি সহ জেলার মোট ২ হাজার ২৬৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে পাঠদানের উপযোগী করে তোলা হয়েছে। উল্লেখ্য, জেলা প্রশাসনের হিসাব অনুযায়ী, চট্টগ্রাম নগরী ও জেলায় সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক মিলিয়ে ৩ হাজার ৭৪৮টি স্কুল আছে। জেলা প্রশাসকের সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মু. মাহমুদ উল্লাহ মারুফ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওমর ফারুক, গালিব চৌধুরী, পীষুষ দত্ত, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শহীদুল ইসলাম, জেলা শিক্ষা অফিসার এন এম জিয়াউল হায়দার হেনরী, কোতোয়ালী থানা শিক্ষা অফিসার হারুন-উর রশীদ, সহকারী থানা শিক্ষা অফিসার (কোতোয়ালী) লিপি গোপ, ডা. খাস্তগীর সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহিদা আক্তার, সরকারী ন্যাশনাল প্রাইমারী স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোছাম্মৎ বদরুন্নেছা।