বিনোদন ডেস্ক: টালিউড ইন্ডাষ্ট্রির বটবৃক্ষ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। চার দশকেরও বেশি সময় ধরে সমান জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছেন তিনি। বানিজ্যিক ঘরানার ছবি থেকে শুরু করে জীবনঘনিষ্ঠ শৈল্পিক চলচ্চিত্র-সব ক্ষেত্রেই তাঁর সমান দাপট তার। এই অভিনেতার সঙ্গে ঢাকার জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে দারুণ সখ্যতা। মূলত গৌতম ঘোষের মনের মানুষ সিনেমায় একসঙ্গে কাজের সূত্রেই তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে আন্তরিক সম্পর্ক। চঞ্চল চৌধুরীর অভিনয়ে যারপরনাই মুগ্ধ প্রসেনজিৎ।
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সাক্ষাৎকারে হাজির হয়েছিলেন হাওয়া খ্যাত চঞ্চল চৌধুরী। সাক্ষাৎকারের একপর্যায়ে ভিডিও বার্তায় যুক্ত হন টলিউডের মেগাস্টার প্রসেনজিৎ।
শুরুতেই হিন্দু ধর্মীয় রীতি মেনে নমস্কার জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আজ যে মানুষটিকে নিয়ে কথা বলব, তিনি আমার প্রাণের মানুষ, মনের মানুষ-চঞ্চল চৌধুরী। ওঁর অভিনয় নিয়ে আলোচনা করার মতো যোগ্যতা আমার আছে কি না জানি না, তবে আমি ওঁকে বড্ড ভালোবাসি। অভিনেতা হিসেবে ওঁর বেড়ে ওঠা আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি।’ প্রথম দেখা ও কাজের স্মৃতিচারণ করে প্রসেনজিৎ বলেন, ‘আমাদের প্রথম আলাপ হয়েছিল মনের মানুষ ছবির সেটে। গৌতম দা বলেছিলেন, চঞ্চল এই চরিত্রটি করবে।
এর আগেই আমি কলকাতায় বসে মনপুরা দেখেছিলাম। ছবিটি দেখে বলেছিলাম-বাহ! ছেলেটি কে? অসাধারণ অভিনয় করেছে।’
তিনি আরও জানান, ‘মনের মানুষ-এর পর থেকে আমরা প্রায়ই ফোনে কথা বলি। অভিনয় ও জীবন নিয়ে আলোচনা করি। এখান থেকেই এক ধরনের ভালোলাগা ও ভালোবাসার সম্পর্ক তৈরি হয়েছে।’
চঞ্চলের প্রতি নিজের শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে প্রসেনজিৎ বলেন, ‘আমি সত্যিই ওঁকে ভালোবাসি এবং শ্রদ্ধা করি। হাওয়া দেখতে নন্দনে গিয়েছিলাম। দর্শকদের সঙ্গে বসে হাওয়া ও দেবী দেখেছি। চঞ্চলের অধিকাংশ নাটকও আমার দেখা। কিছুদিন আগে ও বাংলায় একটি কাজ করেছে, দেখে আমি স্তম্ভিত হয়েছি। যদি ও আমার বয়সে ছোট না হতো, আমি নিশ্চিতভাবে ওর পা ছুঁয়ে প্রণাম করতাম। কারণ, মৃণাল সেনের চরিত্রে অভিনয় করা সহজ ছিল না-পদাতিক-এ সে অসাধারণ অভিনয় করেছে।’
সবশেষে প্রসেনজিৎ বলেন, ‘আমি গর্বিত যে চঞ্চলের মতো একজন অভিনেতাকে আমি চিনি। আর মানুষ চঞ্চল অসাধারণ ভালো মনের। ভালো অভিনেতা হতে হলে ভেতরে ভেতরে ভালো মানুষ হওয়া জরুরি-চঞ্চল তার জীবন্ত প্রমাণ।’
ওআ/