ঢাকা ০১:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫

ঘূর্ণিঝড় গুলাব যাচ্ছে অন্ধ্রে, বৃষ্টি ঝরাবে বাংলাদেশেও

  • আপডেট সময় : ০১:০২:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ১১০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় গুলাব ঘণ্টায় ১৮ কিলোমিটার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে ভারতের উত্তর অন্ধ্র প্রদেশ-দক্ষিণ ওড়িশা উপকূলের দিকে। বাংলাদেশ সময় রোববার মধ্যরাতে এ ঘূর্ণিঝড় ঘণ্টায় ৭৫ থেকে ৮৫ কিলোমিটার গতির বাতাসের শক্তি নিয়ে অন্ধ্র প্রদেশের কলিঙ্গপত্তমের কাছ দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারার পূর্বাভাস দিয়েছে ভারতের আবহাওয়া দপ্তর।
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিপ্তর বলেছে, বাংলাদেশে এ ঘূর্ণিঝড়ের বড় কোনো প্রভাব পড়ার শঙ্কা নেই। তবে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়বে।
জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ খোন্দকার হাফিজুর রহমান জানান, রোববার বেলা ১২টায় ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছিল।
সে সময় গুলাবের অবস্থান ছিল চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে পশ্চিম- উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে জানিয়ে আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে কাছে সাগর উত্তাল থাকায় বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থাকার এবং গভীর সাগরে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আরিফ হোসেন বলেন, “ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ উপকূল থেকে বেশ দূরে অবস্থান করছে। রোববার মধ্যরাতের পর উত্তর অন্ধ্র প্রদেশ-দক্ষিণ ওড়িশা উপকূল অতিক্রম করতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণ হতে পারে।”
২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বাংলাদেশের আবহওয়া অফিন বলেছে, ঢাকা, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকাসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে।
উপকূলে আঘাত হানার পর গুলাবের পুরোপুরি স্থলভাবে উঠে আসতে সোমবার ভোর হয়ে যেতে পারে। এরপর শক্তি হারিয়ে স্থল নি¤œচাপের রূপ পাবে এ ঘূর্ণিঝড়।
এদিকে গুলাব এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকার। ভারতের আবহাওয়া দপ্তর অতি ভারি বর্ষণের শঙ্কার ওই দুই রাজ্যের কিছু অংশে ‘রেড ওয়ার্নিং’ জারি করেছে। ওড়িশা ও অন্ধ্রের নিচু এলাকা থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে রয়টার্সের খবরে জানানো হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নি¤œচাপটি ঘনীভূত হয়ে শনিবার ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেওয়ার পর ‘গুলাব’ নাম পায়। এটি পাকিস্তানের দেওয়া নাম। আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগর অঞ্চলের ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেয় বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার সাইক্লোন সংক্রান্ত আঞ্চলিক সংস্থা এসকাপ। এ অঞ্চলের ১৩টি দেশের দেওয়া নামের তালিকা থেকে পর্যায়ক্রমে নতুন নতুন ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঠিক হয়। গেল মে মাসে সবশেষ ঘূর্ণঝড় ‘ইয়াস’ ওড়িশা উপকূলে আঘাত হানে। করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে গত বছর মে মাসে বাংলাদেশে যে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছিল, তার নাম ছিল ‘আম্পান’।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ঘূর্ণিঝড় গুলাব যাচ্ছে অন্ধ্রে, বৃষ্টি ঝরাবে বাংলাদেশেও

আপডেট সময় : ০১:০২:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় গুলাব ঘণ্টায় ১৮ কিলোমিটার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে ভারতের উত্তর অন্ধ্র প্রদেশ-দক্ষিণ ওড়িশা উপকূলের দিকে। বাংলাদেশ সময় রোববার মধ্যরাতে এ ঘূর্ণিঝড় ঘণ্টায় ৭৫ থেকে ৮৫ কিলোমিটার গতির বাতাসের শক্তি নিয়ে অন্ধ্র প্রদেশের কলিঙ্গপত্তমের কাছ দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারার পূর্বাভাস দিয়েছে ভারতের আবহাওয়া দপ্তর।
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিপ্তর বলেছে, বাংলাদেশে এ ঘূর্ণিঝড়ের বড় কোনো প্রভাব পড়ার শঙ্কা নেই। তবে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়বে।
জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ খোন্দকার হাফিজুর রহমান জানান, রোববার বেলা ১২টায় ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছিল।
সে সময় গুলাবের অবস্থান ছিল চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে পশ্চিম- উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে জানিয়ে আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে কাছে সাগর উত্তাল থাকায় বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থাকার এবং গভীর সাগরে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আরিফ হোসেন বলেন, “ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ উপকূল থেকে বেশ দূরে অবস্থান করছে। রোববার মধ্যরাতের পর উত্তর অন্ধ্র প্রদেশ-দক্ষিণ ওড়িশা উপকূল অতিক্রম করতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণ হতে পারে।”
২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বাংলাদেশের আবহওয়া অফিন বলেছে, ঢাকা, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকাসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে।
উপকূলে আঘাত হানার পর গুলাবের পুরোপুরি স্থলভাবে উঠে আসতে সোমবার ভোর হয়ে যেতে পারে। এরপর শক্তি হারিয়ে স্থল নি¤œচাপের রূপ পাবে এ ঘূর্ণিঝড়।
এদিকে গুলাব এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকার। ভারতের আবহাওয়া দপ্তর অতি ভারি বর্ষণের শঙ্কার ওই দুই রাজ্যের কিছু অংশে ‘রেড ওয়ার্নিং’ জারি করেছে। ওড়িশা ও অন্ধ্রের নিচু এলাকা থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে রয়টার্সের খবরে জানানো হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নি¤œচাপটি ঘনীভূত হয়ে শনিবার ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেওয়ার পর ‘গুলাব’ নাম পায়। এটি পাকিস্তানের দেওয়া নাম। আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগর অঞ্চলের ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেয় বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার সাইক্লোন সংক্রান্ত আঞ্চলিক সংস্থা এসকাপ। এ অঞ্চলের ১৩টি দেশের দেওয়া নামের তালিকা থেকে পর্যায়ক্রমে নতুন নতুন ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঠিক হয়। গেল মে মাসে সবশেষ ঘূর্ণঝড় ‘ইয়াস’ ওড়িশা উপকূলে আঘাত হানে। করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে গত বছর মে মাসে বাংলাদেশে যে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছিল, তার নাম ছিল ‘আম্পান’।