লাইফস্টাইল ডেস্ক : গত বেশ কিছু দিন ধরেই রাতে ঘুম হচ্ছে না সজীবের। পাশে স্ত্রী স্নিগ্ধা যখন গভীর ঘুমে তখন সজীব পায়চারি করে অথবা মোবাইলে ফেসবুক দেখে। এভাবে প্রায় সকাল হয়ে আসে তখন সজীবের ঘুম পায়। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই অফিসের জন্য ঘুম থেকে উঠে তৈরি হতে হয়। ঘুম না হওয়ায় সারাদিনই তার প্রভাব পড়ে শরীর এবং কাজের ওপর। সজীবেরও মাঝে মাঝে মাথাব্যথা হয়, কাজে মনোযোগ দিতেও কষ্ট হয়। শুধু সজীব নয় আমাদের অনেকেরই ভালো ঘুম না হওয়ার সমস্যা রয়েছে। রাতে স্বাভাবিক পরিমাণে ঘুমের অভাবে মানসিক সমস্যা সৃষ্টির পাশাপাশি ডায়াবেটিসের মতো অসুখও শরীরের বাসা বাঁধতে পারে।
রাতে নিয়মিত ঘুমের জন্য যা করতে হবে-
বাইরে থেকে ফিরে গোসল সেরে নিন। সারা দিনের কান্তি এক নিমিষে চলে যাবে। সন্ধ্যার পরই চা-কফি খাওয়া বন্ধ করে দিন। ঘুমোতে যাওয়ার বেশ কিছুক্ষণ আগে টিভি, কম্পিউটার বন্ধ করুন। পরের দিনের কাজের পরিকল্পনা আগেই করে ফেলুন, টেনশনে ঘুম নষ্ট হবে না। ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত ২ ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খেয়ে নিন। রাত ১০টা-১১টার মধ্যেই ঘুমোতে যান। এ সময় বিছানায় গেলে ভালো ঘুম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বিছানা আর শোবার ঘর যেন আরামদায়ক হয়। বেশি গরম বা বেশি ঠান্ডা যেন না হয় এবং সেখানে যেন বেশি আওয়াজ না হয়। নিয়মিত ব্যায়াম করুন। হাঁটা বা সাঁতার কাটা শরীরের জন্য ভালো। জীবনসঙ্গীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখুন, সারাদিনে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন বিষয় শেয়ার করুন। চেষ্টা করুন দুশ্চিন্তা না করার। সব ধরনের মাদক থেকে দূরে থাকুন। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়া ঘুমের ওষুধ খাবেন না। যদি ঘুম না আসে, জোর করে ঘুমানোর চেষ্টা না করে উঠে বই পড়ুন, টিভি দেখুন অথবা পছন্দের গান শুনুন। সুযোগ পেলেও দিনে বেশি সময় ঘুমাবেন না। ঘরে বেশি আলো ঢুকে যেন ঘুমে ব্যাঘাত না ঘটায় তা নিশ্চিত করুন। প্রয়োজনে ভারী পর্দা ব্যবহার করুন। শোবার ঘরটি অযথা একগাদা জিনিস দিয়ে ভরে রাখবেন না। এত কিছু করার পরও যদি ঘুমের সমস্যা না যায় তবে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
ঘুমের সমস্যা সমাধানে কার্যকর উপায়সমূহ
জনপ্রিয় সংবাদ