ঢাকা ১০:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫

ঘাস, কাদা ও বালিতে ফুটবল খেলতে পারে এই রোবট কুকুর

  • আপডেট সময় : ০৯:৪০:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল ২০২৩
  • ৯৫ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক : রোবটের গতিবিধি, তৎপরতা ও সিদ্ধান্তের পরীক্ষা নেওয়ার খুবই ভালো উপায় হচ্ছে এদের ফুটবল খেলতে নামিয়ে দেওয়া। এমআইটির গবেষকরা বলছেন, তাদের বানানো রোবট বল নিয়ে ড্রিবলও করতে পারে। রোবোকাপে এই কৌশল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৯৬ সালে চালু হওয়া রোবট প্রতিযোগিতা রোবোকাপেই সম্ভবত দেখা মিলবে এই ড্রিবলবটের। ‘ড্রিবলবট’ শুরুতেই অনেকটা আলাদা। এর চারটি পা। রোবোকাপে অংশ নেওয়া বিভিন্ন রোবট সাধারণত দ্বিপদী হয়ে থাকে। আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো রোবটটি এমনভাবে নকশা করা হয়েছে যাতে এটি বিভিন্ন অসম ও পরিবর্তিত ভূখ-ে তুলনামূলক জটিল কাজ করতে পারে। এর মানে হচ্ছে রোবটের কার্যক্রমে জটিলতার অতিরিক্ত এক স্তরও যোগ হয়। “চার পায়ের ব্যবহারে বিভিন্ন সমতল, শক্ত মাটির নমুনা অনুমান করে ড্রিবলিং অতীতের রোবটগুলোয় ব্যবহৃত পন্থাগুলোর তুলনায় সহজ।” –এ সংশ্লিষ্ট এক পোস্টে বলেন প্রকল্পের সহ-প্রধান ইয়াংডং জি। আগে রোবটগুলো এমনভাবে নকশা হতো যাতে এটি তুলনামূলক স্থির থাকত, ফলে একই সঙ্গে বল নিয়ে দৌড়ানো ও ফুটবল শৈলি দেখানোর চেষ্টা করত না সেগুলো। তুলনামূলক কঠিন গতিবিদ্যা প্রদর্শন করতে গেলেই সমস্যা দেখা দিত।”
“নিজেদের সাম্প্রতিক বিভিন্ন অগ্রগতির সুবিধা নিয়ে আমরা এর মোকাবেলা করেছি। ফলে এই জটিল কার্যক্রমে তুলনামূলক ভালো উপায়ে আউটডোরে এমনভাবে একে পরিচালনা সম্ভব হয়েছে, যা গতির সঙ্গে দক্ষ ফুটবল শৈলির বিভিন্ন দিককে সমন্বিত করে।” ড্রিবলবট কোথায় কোথায় ফুটবল খেলতে পারে? সম্ভাব্য উত্তরের মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক ঘাস, বালি, নুড়ি, কাদা ও তুষার। উল্লিখিত সবগুলো উপাদানের উত্তর মিলবে রোবটিক্সে সাম্প্রতিক উন্নয়নের মধ্যে। আর এজন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ‘সিমুলেশন’।
প্রশিক্ষণের সময় এই শারীরিক রোবটকে একটি ‘ডিজিটাল টুইন’ হিসাবে গণ্য করা হয় যেহেতু এর কম্পিউটারগুলো বিভিন্ন পরিবেশের চার হাজার সিমুলেশন একসঙ্গে চালিয়ে পরবর্তী ধাপের গতিবিধির সিদ্ধান্ত নেয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট টেকক্রাঞ্চ। পায়ে চলা বিভিন্ন রোবটের কার্যকারিতা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও একটি বিষয় পরিষ্কার। তা হলো, গতিবিধির বেলায় চাকার ওপর নির্ভর করার বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। “আপনি খেয়াল করে দেখবেন, বেশিরভাগ রোবটেই চাকা থাকে। কল্পনা করুন এমন কোনো বিপর্যয়ের দৃশ্য, বন্যা বা ভূমিকম্পের কথা, যেখানে মানুষ খোঁজা ও উদ্ধার প্রক্রিয়ায় সহায়তার জন্য আমাদের রোবট প্রয়োজন।” “আমাদের এমন মেশিন প্রয়োজন, যা বিভিন্ন অসমতল ভূখ-ের ওপর চলাচল করতে পারে। আর চাকাওয়ালা রোবট দিয়ে এই কাজটি সম্ভব নয়।” –বলেন এমআইটি অধ্যাপক পুলকিত আগরাওয়াল। তবে, ড্রিবলবটেরও নিজস্ব সীমাবদ্ধতা আছে। বিভিন্ন সিড়ি ও ঢালু জায়গা এখনও এই ক্ষুদ্রাকৃতির রোবটকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ঘাস, কাদা ও বালিতে ফুটবল খেলতে পারে এই রোবট কুকুর

আপডেট সময় : ০৯:৪০:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল ২০২৩

প্রযুক্তি ডেস্ক : রোবটের গতিবিধি, তৎপরতা ও সিদ্ধান্তের পরীক্ষা নেওয়ার খুবই ভালো উপায় হচ্ছে এদের ফুটবল খেলতে নামিয়ে দেওয়া। এমআইটির গবেষকরা বলছেন, তাদের বানানো রোবট বল নিয়ে ড্রিবলও করতে পারে। রোবোকাপে এই কৌশল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৯৬ সালে চালু হওয়া রোবট প্রতিযোগিতা রোবোকাপেই সম্ভবত দেখা মিলবে এই ড্রিবলবটের। ‘ড্রিবলবট’ শুরুতেই অনেকটা আলাদা। এর চারটি পা। রোবোকাপে অংশ নেওয়া বিভিন্ন রোবট সাধারণত দ্বিপদী হয়ে থাকে। আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো রোবটটি এমনভাবে নকশা করা হয়েছে যাতে এটি বিভিন্ন অসম ও পরিবর্তিত ভূখ-ে তুলনামূলক জটিল কাজ করতে পারে। এর মানে হচ্ছে রোবটের কার্যক্রমে জটিলতার অতিরিক্ত এক স্তরও যোগ হয়। “চার পায়ের ব্যবহারে বিভিন্ন সমতল, শক্ত মাটির নমুনা অনুমান করে ড্রিবলিং অতীতের রোবটগুলোয় ব্যবহৃত পন্থাগুলোর তুলনায় সহজ।” –এ সংশ্লিষ্ট এক পোস্টে বলেন প্রকল্পের সহ-প্রধান ইয়াংডং জি। আগে রোবটগুলো এমনভাবে নকশা হতো যাতে এটি তুলনামূলক স্থির থাকত, ফলে একই সঙ্গে বল নিয়ে দৌড়ানো ও ফুটবল শৈলি দেখানোর চেষ্টা করত না সেগুলো। তুলনামূলক কঠিন গতিবিদ্যা প্রদর্শন করতে গেলেই সমস্যা দেখা দিত।”
“নিজেদের সাম্প্রতিক বিভিন্ন অগ্রগতির সুবিধা নিয়ে আমরা এর মোকাবেলা করেছি। ফলে এই জটিল কার্যক্রমে তুলনামূলক ভালো উপায়ে আউটডোরে এমনভাবে একে পরিচালনা সম্ভব হয়েছে, যা গতির সঙ্গে দক্ষ ফুটবল শৈলির বিভিন্ন দিককে সমন্বিত করে।” ড্রিবলবট কোথায় কোথায় ফুটবল খেলতে পারে? সম্ভাব্য উত্তরের মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক ঘাস, বালি, নুড়ি, কাদা ও তুষার। উল্লিখিত সবগুলো উপাদানের উত্তর মিলবে রোবটিক্সে সাম্প্রতিক উন্নয়নের মধ্যে। আর এজন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ‘সিমুলেশন’।
প্রশিক্ষণের সময় এই শারীরিক রোবটকে একটি ‘ডিজিটাল টুইন’ হিসাবে গণ্য করা হয় যেহেতু এর কম্পিউটারগুলো বিভিন্ন পরিবেশের চার হাজার সিমুলেশন একসঙ্গে চালিয়ে পরবর্তী ধাপের গতিবিধির সিদ্ধান্ত নেয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট টেকক্রাঞ্চ। পায়ে চলা বিভিন্ন রোবটের কার্যকারিতা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও একটি বিষয় পরিষ্কার। তা হলো, গতিবিধির বেলায় চাকার ওপর নির্ভর করার বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। “আপনি খেয়াল করে দেখবেন, বেশিরভাগ রোবটেই চাকা থাকে। কল্পনা করুন এমন কোনো বিপর্যয়ের দৃশ্য, বন্যা বা ভূমিকম্পের কথা, যেখানে মানুষ খোঁজা ও উদ্ধার প্রক্রিয়ায় সহায়তার জন্য আমাদের রোবট প্রয়োজন।” “আমাদের এমন মেশিন প্রয়োজন, যা বিভিন্ন অসমতল ভূখ-ের ওপর চলাচল করতে পারে। আর চাকাওয়ালা রোবট দিয়ে এই কাজটি সম্ভব নয়।” –বলেন এমআইটি অধ্যাপক পুলকিত আগরাওয়াল। তবে, ড্রিবলবটেরও নিজস্ব সীমাবদ্ধতা আছে। বিভিন্ন সিড়ি ও ঢালু জায়গা এখনও এই ক্ষুদ্রাকৃতির রোবটকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে।