ঢাকা ০৫:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫

ঘর ভাঙল শিখর ধাওয়ানের

  • আপডেট সময় : ০৮:৪১:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ৮৮ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দুজনের পরিচয়। দুজনেরই ‘মিউচুয়াল ফ্রেন্ড’ ছিলেন ভারতের স্পিনার হরভজন সিং। পরিচয় প্রণয়ে গড়াতে সময় লাগেনি।
জীবনের ইনিংসেও দুজন জুটি বাঁধার সিদ্ধান্ত নেন ২০০৯ সালে—যখন আয়েশা মুখার্জিকে বাগদত্তা হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন শিখর ধাওয়ান। ২০১২ সালে বিয়ের পর এত দিন সংসার করেছেন দুজন। একটি ছেলেও আছে।
কিন্তু সেই সংসার আর টিকল না। ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে খবরটি নিশ্চিত করেছেন আয়েশা মুখার্জি।
ইনস্টাগ্রামে দীর্ঘ এক পোস্টের শুরুতে আয়েশা লিখেছেন, ‘দ্বিতীয়বারের মতো বিচ্ছেদ ঘটার আগে জানতাম (ডিভোর্স) শব্দটা নোংরা।’
অপেশাদার বক্সার আয়েশা অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে থাকেন। শিখরের জীবনে আসার আগে সেখানে অস্ট্রেলিয়ান এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। সেই ঘরে দুটি কন্যা সন্তানও আছে। সেখানে বিচ্ছেদের পর শিখরের সঙ্গে জীবনের জুটি বেঁধেছিলেন আয়েশা। প্রায় ৯ বছর পর এই ঘরও ভাঙল।
৪৬ বছর বয়সী আয়েশা ইনস্টাগ্রামে সেই পোস্টে আরও লিখেছেন, ‘কিছু শব্দ কত শক্তিশালী এবং প্রাসঙ্গিক হতে পারে। প্রথমবার বিচ্ছেদের সময় খুব ভীত ছিলাম। মনে হচ্ছিল আমি ব্যর্থ হয়েছি এবং ভুল কিছু করেছি সে সময়। নিজেকে স্বার্থপর মনে হচ্ছিল। এখন ভেবে দেখুন, দ্বিতীয়বার একই পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হলো।
দ্বিতীয়বার বিচ্ছেদে আরও বেশি ভয় লেগেছে। প্রথমবারের সব অনুভূতি ফিরে এসেছে। ভয়, ব্যর্থতা, হতাশা এসব আর কি। তবে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া শেষে ভেবে দেখলাম আমি ঠিক আছি। নিজেকে আরও বেশি ক্ষমতাবান মনে হচ্ছে।’
২০১৪ সালে শিখর-আয়েশার ঘর আলো করে জোরাভার জন্ম নেন। আয়েশার বাবা ভারতীয় এবং মা ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত। আয়েশার জন্মের পর তাঁর পরিবার অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমায়। তখন থেকেই তিনি মেলবোর্নে বসবাস করছিলেন। বিচ্ছেদ নিয়ে ধাওয়ানের কোনো মন্তব্য পায়নি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।
আইপিএল খেলতে এখন দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতে রয়েছেন বাঁ হাতি এই ওপেনার। ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে ডাক পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ঘর ভাঙল শিখর ধাওয়ানের

আপডেট সময় : ০৮:৪১:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২১

ক্রীড়া ডেস্ক : সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দুজনের পরিচয়। দুজনেরই ‘মিউচুয়াল ফ্রেন্ড’ ছিলেন ভারতের স্পিনার হরভজন সিং। পরিচয় প্রণয়ে গড়াতে সময় লাগেনি।
জীবনের ইনিংসেও দুজন জুটি বাঁধার সিদ্ধান্ত নেন ২০০৯ সালে—যখন আয়েশা মুখার্জিকে বাগদত্তা হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন শিখর ধাওয়ান। ২০১২ সালে বিয়ের পর এত দিন সংসার করেছেন দুজন। একটি ছেলেও আছে।
কিন্তু সেই সংসার আর টিকল না। ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে খবরটি নিশ্চিত করেছেন আয়েশা মুখার্জি।
ইনস্টাগ্রামে দীর্ঘ এক পোস্টের শুরুতে আয়েশা লিখেছেন, ‘দ্বিতীয়বারের মতো বিচ্ছেদ ঘটার আগে জানতাম (ডিভোর্স) শব্দটা নোংরা।’
অপেশাদার বক্সার আয়েশা অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে থাকেন। শিখরের জীবনে আসার আগে সেখানে অস্ট্রেলিয়ান এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। সেই ঘরে দুটি কন্যা সন্তানও আছে। সেখানে বিচ্ছেদের পর শিখরের সঙ্গে জীবনের জুটি বেঁধেছিলেন আয়েশা। প্রায় ৯ বছর পর এই ঘরও ভাঙল।
৪৬ বছর বয়সী আয়েশা ইনস্টাগ্রামে সেই পোস্টে আরও লিখেছেন, ‘কিছু শব্দ কত শক্তিশালী এবং প্রাসঙ্গিক হতে পারে। প্রথমবার বিচ্ছেদের সময় খুব ভীত ছিলাম। মনে হচ্ছিল আমি ব্যর্থ হয়েছি এবং ভুল কিছু করেছি সে সময়। নিজেকে স্বার্থপর মনে হচ্ছিল। এখন ভেবে দেখুন, দ্বিতীয়বার একই পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হলো।
দ্বিতীয়বার বিচ্ছেদে আরও বেশি ভয় লেগেছে। প্রথমবারের সব অনুভূতি ফিরে এসেছে। ভয়, ব্যর্থতা, হতাশা এসব আর কি। তবে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া শেষে ভেবে দেখলাম আমি ঠিক আছি। নিজেকে আরও বেশি ক্ষমতাবান মনে হচ্ছে।’
২০১৪ সালে শিখর-আয়েশার ঘর আলো করে জোরাভার জন্ম নেন। আয়েশার বাবা ভারতীয় এবং মা ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত। আয়েশার জন্মের পর তাঁর পরিবার অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমায়। তখন থেকেই তিনি মেলবোর্নে বসবাস করছিলেন। বিচ্ছেদ নিয়ে ধাওয়ানের কোনো মন্তব্য পায়নি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।
আইপিএল খেলতে এখন দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতে রয়েছেন বাঁ হাতি এই ওপেনার। ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে ডাক পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি।