ঢাকা ০৪:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ঘরে বসেই দেওয়া যাবে ভূমি সংক্রান্ত ফি

  • আপডেট সময় : ০১:০০:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মে ২০২১
  • ১৪৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঘরে বসেই ভূমি উন্নয়ন কর, মিউটেশন, খতিয়ানসহ যাবতীয় ফি পরিশোধে একটি ব্যাংক এবং তিনটি মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেছে সরকার। এ প্রক্রিয়ায় ভূমি মন্ত্রণালয়ের তৈরি করা অ্যাপ্লিকেশন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সেবা গ্রহীতারা ঘরে বসেই অনলাইনে সব ফি দিতে পারবেন।
গতকাল সোমবার সচিবালয়ে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড (ইউসিবিএল), মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান নগদ, বিকাশ ও উপায়-এর সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে ভূমি মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের পক্ষে অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার দাস এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, “আমাদের উদ্দেশ্য সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়া। আমাদের ডিজিটাল প্রসেসটা খুবই ইফেকটিভ হয়েছে। আমরা যাই করি চেষ্টা করি। কথা ও কাজের সাথে মিল রাখি। পেমেন্ট গেটওয়ে নিশ্চিতের ক্ষেত্রে ইউসিবি এগিয়ে এসেছে। উপায়, নগদ, বিকাশও এগিয়ে এসেছে।”
ফি পরিশোধের প্রক্রিয়া সম্পর্কে ভূমি সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর দিতে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। কারণ জানতে হবে মানুষটা কে? রেজিস্ট্রেশন প্ল্যাটফরমটা আমরা তৈরি করেছি, এনআইডির সঙ্গে ভেরিফাইড। একই সঙ্গে তার একটা মোবাইল নম্বরকে আমরা রেজিস্টার্ড কর। এই মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করব।”
এ সপ্তাহের শেষদিকে বিজ্ঞাপন দিয়ে রেজিস্ট্রেশনের প্ল্যাটফর্ম খুলে দেওয়া হবে বলে জানান ভূমি সচিব। তিনটি উপায়ে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে জানিয়ে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “ওয়েবসইটে ঢুকে সরাসরি করা যাবে, ডিজিটাল সেন্টারে গিয়ে করা যাবে। কল সেন্টারে ফোন করেও রেজিস্ট্রেশন করা যাবে, এটা নতুন একটা ডাইমেনশন।
“রেজিস্ট্রেশন হওয়ার পর বাকি তথ্য আমাদের লোকজন এন্ট্রি দেবে। এরপর সেবা গ্রাহক মোবাইলে একটি এসএমএস পাবেন। এসএমএস পাওয়ার পর উনি যখনই জানতে চাইবেন আমার খাজনা কত, তাকে মোবাইলে দেওয়া হবে, একটা টোকেন নম্বর দেওয়া হবে। সেই নম্বর দিয়ে যেকোনো এমএফএসে (মোবাইল ব্যাংকিং) ঢুকে নম্বর উল্লেখ করে পেমেন্ট দিলে আমাদের সিস্টেম বুঝবে এটা অত সালের এই লোকের খাজনা। এই হল প্রক্রিয়া।”
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ভূমি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে অনলাইনে যাবতীয় ফি পরিশোধের জন্য ভূমিসেবা প্ল্যাটফর্ম, পেমেন্ট গেটওয়ে চ্যানেল ও ব্যাংকের মধ্যে সমন্বয় হবে।
এই চুক্তির আওতায ইউসিবিএল হবে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়কারী তথা সেটেলমেন্ট ব্যাংক। সাধারণ মানুষ উপায়, নগদ, বিকাশ এবং অন্যান্য পেমেন্ট গেটওয়ে চ্যানেলের মাধ্যমে তাদের জমির বিভিন্ন ফি দিতে পারবেন। ফি পরিশোধের পর সেবা গ্রহীতারা কিউআর কোড সমৃদ্ধ রশিদ পাবেন এবং সেবাটি গ্রহণ করতে পারবেন। উপায়, বিকাশ এবং নগদ ইত্যাদির মাধ্যমে আদায়কৃত অর্থ তাৎক্ষণিকভাবে সেটেলমেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে ভূমি মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত ব্যাংক অ্যাকাউন্ট হয়ে ই-চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে স্থানান্তরিত হবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়। ভূমি সচিব বলেন, “ই-পর্চা বা ডিজিটাল রেকর্ড রুম অলরেডি চালু করেছি। এক কোটি ৭৬ লাখ রেকর্ড আমাদের আছে। যে কেউ ওয়েবসাইটে গিয়ে এনআইডি নম্বর দিয়ে খতিয়ান দেখতে পারেবন। এই সার্ভিসটিও টেলিফোনের মাধ্যমে দেওয়ার চিন্তা করছি। এটা খুব তাড়াতাড়ি চালু হবে। “একজন মানুষ ঘরে বসে ফোন করে পর্চার আবেদন দিতে পারবে। পেমেন্টটা ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ যখন উত্তরণ হল মানুষকে আর ভূমি অফিসে যেতে হচ্ছে না।”

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ঘরে বসেই দেওয়া যাবে ভূমি সংক্রান্ত ফি

আপডেট সময় : ০১:০০:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মে ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঘরে বসেই ভূমি উন্নয়ন কর, মিউটেশন, খতিয়ানসহ যাবতীয় ফি পরিশোধে একটি ব্যাংক এবং তিনটি মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেছে সরকার। এ প্রক্রিয়ায় ভূমি মন্ত্রণালয়ের তৈরি করা অ্যাপ্লিকেশন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সেবা গ্রহীতারা ঘরে বসেই অনলাইনে সব ফি দিতে পারবেন।
গতকাল সোমবার সচিবালয়ে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড (ইউসিবিএল), মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান নগদ, বিকাশ ও উপায়-এর সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে ভূমি মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের পক্ষে অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার দাস এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, “আমাদের উদ্দেশ্য সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়া। আমাদের ডিজিটাল প্রসেসটা খুবই ইফেকটিভ হয়েছে। আমরা যাই করি চেষ্টা করি। কথা ও কাজের সাথে মিল রাখি। পেমেন্ট গেটওয়ে নিশ্চিতের ক্ষেত্রে ইউসিবি এগিয়ে এসেছে। উপায়, নগদ, বিকাশও এগিয়ে এসেছে।”
ফি পরিশোধের প্রক্রিয়া সম্পর্কে ভূমি সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর দিতে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। কারণ জানতে হবে মানুষটা কে? রেজিস্ট্রেশন প্ল্যাটফরমটা আমরা তৈরি করেছি, এনআইডির সঙ্গে ভেরিফাইড। একই সঙ্গে তার একটা মোবাইল নম্বরকে আমরা রেজিস্টার্ড কর। এই মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করব।”
এ সপ্তাহের শেষদিকে বিজ্ঞাপন দিয়ে রেজিস্ট্রেশনের প্ল্যাটফর্ম খুলে দেওয়া হবে বলে জানান ভূমি সচিব। তিনটি উপায়ে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে জানিয়ে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “ওয়েবসইটে ঢুকে সরাসরি করা যাবে, ডিজিটাল সেন্টারে গিয়ে করা যাবে। কল সেন্টারে ফোন করেও রেজিস্ট্রেশন করা যাবে, এটা নতুন একটা ডাইমেনশন।
“রেজিস্ট্রেশন হওয়ার পর বাকি তথ্য আমাদের লোকজন এন্ট্রি দেবে। এরপর সেবা গ্রাহক মোবাইলে একটি এসএমএস পাবেন। এসএমএস পাওয়ার পর উনি যখনই জানতে চাইবেন আমার খাজনা কত, তাকে মোবাইলে দেওয়া হবে, একটা টোকেন নম্বর দেওয়া হবে। সেই নম্বর দিয়ে যেকোনো এমএফএসে (মোবাইল ব্যাংকিং) ঢুকে নম্বর উল্লেখ করে পেমেন্ট দিলে আমাদের সিস্টেম বুঝবে এটা অত সালের এই লোকের খাজনা। এই হল প্রক্রিয়া।”
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ভূমি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে অনলাইনে যাবতীয় ফি পরিশোধের জন্য ভূমিসেবা প্ল্যাটফর্ম, পেমেন্ট গেটওয়ে চ্যানেল ও ব্যাংকের মধ্যে সমন্বয় হবে।
এই চুক্তির আওতায ইউসিবিএল হবে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়কারী তথা সেটেলমেন্ট ব্যাংক। সাধারণ মানুষ উপায়, নগদ, বিকাশ এবং অন্যান্য পেমেন্ট গেটওয়ে চ্যানেলের মাধ্যমে তাদের জমির বিভিন্ন ফি দিতে পারবেন। ফি পরিশোধের পর সেবা গ্রহীতারা কিউআর কোড সমৃদ্ধ রশিদ পাবেন এবং সেবাটি গ্রহণ করতে পারবেন। উপায়, বিকাশ এবং নগদ ইত্যাদির মাধ্যমে আদায়কৃত অর্থ তাৎক্ষণিকভাবে সেটেলমেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে ভূমি মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত ব্যাংক অ্যাকাউন্ট হয়ে ই-চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে স্থানান্তরিত হবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়। ভূমি সচিব বলেন, “ই-পর্চা বা ডিজিটাল রেকর্ড রুম অলরেডি চালু করেছি। এক কোটি ৭৬ লাখ রেকর্ড আমাদের আছে। যে কেউ ওয়েবসাইটে গিয়ে এনআইডি নম্বর দিয়ে খতিয়ান দেখতে পারেবন। এই সার্ভিসটিও টেলিফোনের মাধ্যমে দেওয়ার চিন্তা করছি। এটা খুব তাড়াতাড়ি চালু হবে। “একজন মানুষ ঘরে বসে ফোন করে পর্চার আবেদন দিতে পারবে। পেমেন্টটা ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ যখন উত্তরণ হল মানুষকে আর ভূমি অফিসে যেতে হচ্ছে না।”