ঢাকা ০৭:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঘরের অকেজো জিনিস থেকে সহজ পরিত্রাণ

  • আপডেট সময় : ০৫:০৪:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৬ বার পড়া হয়েছে

লাইফস্টাইল ডেস্ক: ঘরের অব্যবহৃত অকেজো জিনিস পরিষ্কার করার বিষয়টা ঝামেলাকর মনে হতে পারে। তবে পুরো বাড়ি পরিষ্কার করার সাধারণ একটা নিয়ম আছে। তা হলো ‘যা মনে নেই, সেটি ফেলে দিন’। মানে, ঘরে কোনো জিনিস পড়ে আছে সেটি কাজে লাগানোর কথা মনেও পড়ছে না, এমন জিনিস বা পোশাক সরিয়ে ফেলা হলো ঘর পরিষ্কার করার সহজ নিয়ম।
ওই তথ্য জানিয়ে রিয়েলসিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে লস অ্যাঞ্জেলেস ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘মেগান কেসম্যান হোম অর্গানাইজেশন’-এর প্রতিষ্ঠাতা মেগান কেসম্যান বলেন, এটা খুবই সাধারণ কিন্তু শক্তিশালী একটা পন্থা। আর এজন্য পুরো ঘরবাড়ি খুঁজে দেখুন কী কী জিনিস আর ব্যবহার করা হচ্ছে না। সেগুলো হয় দান করে দিন বা ফেলেও দিতে পারেন।
রান্নাঘরের জিনিসপত্র: হতে পারে সালাদ কাটার কিংবা আনারস ঝুরি করার কোনো যন্ত্র। অথবা হয়তো কেনা হয়েছে একাধিক কাঁচি। এরকম জিনিসগুলো মনে না থাকলে বা কখনই ব্যবহার না হলে, সরিয়ে ফেলতে হবে রান্নাঘর থেকে। তাহলে অনেকটা জঞ্জাল মুক্ত হবে এই ঘর।
বিভিন্ন রকমের পণ্য: অতিরিক্ত খাতা, কলম, নোটবুক হয়তো লুকিয়ে আছে ড্রয়ারে বা বুক সেলফের কোনো কোনায়। মনেই যদি না থাকে এসবের কথা তবে দরকারও নেই। সরিয়ে ফেলতে হবে ঘর থেকে।
ভুলে যাওয়া পোশাক: কোনো বিশেষ অনুষ্ঠানের জন্য হয়তো কেনা হয়েছিল পোশাক। একবারের পর আর পরা হয়নি। বা ছোট হয়ে গেছে কোনো পোশাক- যা পড়ে আছে আলামরির ভেতর। এ রকম অনেক পোশাকের কথাই হয়তো আর মনে নেই। তবে জায়গা দখল করে আছে। তাই কেসম্যান বলেন, কাপড় রাখার জায়গাগুলোতে চোখ বুলান। এই ধরনের পোশাক আলাদা করে দিয়ে দিতে পারেন দান হিসেবে।
সাজানোর জিনিস: কারো জন্মদিন বা কোনো অনুষ্ঠানের জন্য হয়তো কেনা হয়েছিল নানান ধরনের রিবন আর সাজানোর জিনিস। অনুষ্ঠান শেষ, তারপর রয়ে গেছে বাড়তি কিছু; যেগুলো হয়তো পড়ে আছে ঘরে। এ রকম জিনিস ঘর থেকে বিদায় করাই মঙ্গল। তবে কোনো স্মরণীয় জিনিস থাকলে সেটা রেখে দেওয়া যেতেই পারে।
সেলাইয়ের জিনিসপত্র: অনেক আগে হয়তো শখ হয়েছিল সেলাই শিল্পকর্ম শেখার। তারপর হয়তো আর মনে নেই। এমন জিনিস বাড়তি সুতা ড্রয়ারে জট পাঁকিয়ে হয়তো বসে আছে। প্রয়োজনীয় সুতা আর সুই ছাড়া এসব বাড়তি জিনিস রাখার দরকারই নেই।
পোষা প্রাণীর খেলনা: যাদের পোষা প্রাণী আছে তাদের ঘরে অনেক অকেজো খেলনা পড়ে থাকা স্বাভাবিক। এই ধরনের খেলনাগুলোর মধ্যে কোনগুলো কাজে লাগছে না, সেগুলো খুঁজে বের করে কোনো প্রাণী সংরক্ষণ প্রতিষ্ঠানে দান করার ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ঘরের অকেজো জিনিস থেকে সহজ পরিত্রাণ

আপডেট সময় : ০৫:০৪:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৪

লাইফস্টাইল ডেস্ক: ঘরের অব্যবহৃত অকেজো জিনিস পরিষ্কার করার বিষয়টা ঝামেলাকর মনে হতে পারে। তবে পুরো বাড়ি পরিষ্কার করার সাধারণ একটা নিয়ম আছে। তা হলো ‘যা মনে নেই, সেটি ফেলে দিন’। মানে, ঘরে কোনো জিনিস পড়ে আছে সেটি কাজে লাগানোর কথা মনেও পড়ছে না, এমন জিনিস বা পোশাক সরিয়ে ফেলা হলো ঘর পরিষ্কার করার সহজ নিয়ম।
ওই তথ্য জানিয়ে রিয়েলসিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে লস অ্যাঞ্জেলেস ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘মেগান কেসম্যান হোম অর্গানাইজেশন’-এর প্রতিষ্ঠাতা মেগান কেসম্যান বলেন, এটা খুবই সাধারণ কিন্তু শক্তিশালী একটা পন্থা। আর এজন্য পুরো ঘরবাড়ি খুঁজে দেখুন কী কী জিনিস আর ব্যবহার করা হচ্ছে না। সেগুলো হয় দান করে দিন বা ফেলেও দিতে পারেন।
রান্নাঘরের জিনিসপত্র: হতে পারে সালাদ কাটার কিংবা আনারস ঝুরি করার কোনো যন্ত্র। অথবা হয়তো কেনা হয়েছে একাধিক কাঁচি। এরকম জিনিসগুলো মনে না থাকলে বা কখনই ব্যবহার না হলে, সরিয়ে ফেলতে হবে রান্নাঘর থেকে। তাহলে অনেকটা জঞ্জাল মুক্ত হবে এই ঘর।
বিভিন্ন রকমের পণ্য: অতিরিক্ত খাতা, কলম, নোটবুক হয়তো লুকিয়ে আছে ড্রয়ারে বা বুক সেলফের কোনো কোনায়। মনেই যদি না থাকে এসবের কথা তবে দরকারও নেই। সরিয়ে ফেলতে হবে ঘর থেকে।
ভুলে যাওয়া পোশাক: কোনো বিশেষ অনুষ্ঠানের জন্য হয়তো কেনা হয়েছিল পোশাক। একবারের পর আর পরা হয়নি। বা ছোট হয়ে গেছে কোনো পোশাক- যা পড়ে আছে আলামরির ভেতর। এ রকম অনেক পোশাকের কথাই হয়তো আর মনে নেই। তবে জায়গা দখল করে আছে। তাই কেসম্যান বলেন, কাপড় রাখার জায়গাগুলোতে চোখ বুলান। এই ধরনের পোশাক আলাদা করে দিয়ে দিতে পারেন দান হিসেবে।
সাজানোর জিনিস: কারো জন্মদিন বা কোনো অনুষ্ঠানের জন্য হয়তো কেনা হয়েছিল নানান ধরনের রিবন আর সাজানোর জিনিস। অনুষ্ঠান শেষ, তারপর রয়ে গেছে বাড়তি কিছু; যেগুলো হয়তো পড়ে আছে ঘরে। এ রকম জিনিস ঘর থেকে বিদায় করাই মঙ্গল। তবে কোনো স্মরণীয় জিনিস থাকলে সেটা রেখে দেওয়া যেতেই পারে।
সেলাইয়ের জিনিসপত্র: অনেক আগে হয়তো শখ হয়েছিল সেলাই শিল্পকর্ম শেখার। তারপর হয়তো আর মনে নেই। এমন জিনিস বাড়তি সুতা ড্রয়ারে জট পাঁকিয়ে হয়তো বসে আছে। প্রয়োজনীয় সুতা আর সুই ছাড়া এসব বাড়তি জিনিস রাখার দরকারই নেই।
পোষা প্রাণীর খেলনা: যাদের পোষা প্রাণী আছে তাদের ঘরে অনেক অকেজো খেলনা পড়ে থাকা স্বাভাবিক। এই ধরনের খেলনাগুলোর মধ্যে কোনগুলো কাজে লাগছে না, সেগুলো খুঁজে বের করে কোনো প্রাণী সংরক্ষণ প্রতিষ্ঠানে দান করার ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।