ঢাকা ০৬:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫

ঘন কুয়াশার কারণে বিমান উঠা-নামা বন্ধ

  • আপডেট সময় : ১২:০৬:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৪
  • ৭১ বার পড়া হয়েছে

নীলফামারী সংবাদদাতা : ঘন কুয়াশার কারণে নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে গতকাল বুধবার সকাল থেকে ফ্লাইট ওঠানামায় বিঘœ ঘটেছে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত বাংলাদেশ বিমানসহ বেসরকারি কোম্পানির তিনটি উড়োজাহাজ সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা থাকলেও এগুলো ঢাকা থেকে আসতে পারেনি। এতে ঢাকাগামী দুই শতাধিক যাত্রী বিমানবন্দরে আটকা পড়েছে। তবে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে বেলা ২টার পরে উড়োজাহাজ চলাচল স্বাভাবিক হতে পারে এবং এই সময়ের মধ্যে কোনো ফ্লাইট বাতিলের আশঙ্কা। সৈয়দপুর বিমানবন্দরের আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ লোকমান হোসেন বলেন, ভোররাত থেকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে এই অঞ্চল। বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ ওঠানামার জন্য দৃষ্টিসীমা কমপক্ষে ২ হাজার মিটার থাকতে হবে। কিন্তু বেলা ১১টায় সৈয়দপুর বিমানবন্দরের রানওয়েতে দৃষ্টিসীমা ছিল মাত্র ২০০ মিটার, যা উড়োজাহাজ ওঠানামার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। ঘন কুয়াশা কেটে যেতে দুপুর ২টা পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। এ ছাড়া এই অঞ্চলে সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে বিমানবন্দরে আটকে পড়া যাত্রী দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার মোজাফফর হোসেন বলেন, সকাল ১০টা থেকে বিমানবন্দরে অবস্থান করছি। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় সময়মতো ঢাকায় যেতে পারছি না। বিশেষ প্রয়োজনে ঢাকায় যেতে হচ্ছে এবং কাজ শেষে সন্ধ্যার ফ্লাইটে ফেরত আসার টিকিট করা রয়েছে। অথচ এখনো যেতেই পারলাম না। কখন যে ফিরবো! সৈয়দপুর বিমানবন্দরের ম্যানেজার সুপ্লব কুমার ঘোষ বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামা ব্যাহত হয়েছে। সকাল ১০টা ৫০ মিনিট থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে ওই সব ফ্লাইট সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করার সময়সূচি থাকা ইউএস-বাংলা, নভোএয়ার ও বাংলাদেশ বিমানের তিনটি ফ্লাইট ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করেনি। তবে এসব ফ্লাইট বাতিলের আশঙ্কা এখনো নেই। কুয়াশা কেটে গেলে ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক হবে। তার পরও বেলা ২টার আগে ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানান তিনি। আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম বলেন, সকাল ৬টা ও ৯টায় এখানে সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিনি বলেন, কুয়াশা থাকায় এখন সূর্যের দেখা মিলছে না। এদিকে শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দুর্ভোগও বেড়েছে নি¤œ আয়ের মানুষের। তীব্র শীত ও কুয়াশা উপেক্ষা করেও সকাল থেকে কাজে বের হয়েছেন তারা। বলছেন, জীবিকার তাগিদে যত কষ্টই হোক ঘরে থাকার উপায় নেই। সৈয়দপুরে পেপার বিক্রেতা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘন কুয়াশায় আর ঠান্ডায় হাত পা বরফ হয়ে যাচ্ছে। বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। সকাল ৬টায় পত্রিকার নেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে বাজারে এসেছি। এখন গাড়ির কোন খবর নাই। শহরের নওশাদ ফুল বিতানের মালিক নওশাদ বলেন, কয়েক দিন থেকে ঠান্ডার কারণে ফুলের বেচাকেনা নেই। যে ফুল নিয়ে এসেছি। সেগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। জমানো টাকা খরচ করে সংসার চালাচ্ছি। এ রকম আবহাওয়া থাকলে পথে বসতে হবে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন বলেন, যেহেতু তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি নিচে নামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশনা আছে তাই উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখা হয়েছে। প্রসঙ্গত, তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামায় প্রাথমিক বিদ্যালয় ৭৮টি মাধ্যমিক ও মাদরাসা ৭৮টি স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামী ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ঘন কুয়াশার কারণে বিমান উঠা-নামা বন্ধ

আপডেট সময় : ১২:০৬:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৪

নীলফামারী সংবাদদাতা : ঘন কুয়াশার কারণে নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে গতকাল বুধবার সকাল থেকে ফ্লাইট ওঠানামায় বিঘœ ঘটেছে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত বাংলাদেশ বিমানসহ বেসরকারি কোম্পানির তিনটি উড়োজাহাজ সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা থাকলেও এগুলো ঢাকা থেকে আসতে পারেনি। এতে ঢাকাগামী দুই শতাধিক যাত্রী বিমানবন্দরে আটকা পড়েছে। তবে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে বেলা ২টার পরে উড়োজাহাজ চলাচল স্বাভাবিক হতে পারে এবং এই সময়ের মধ্যে কোনো ফ্লাইট বাতিলের আশঙ্কা। সৈয়দপুর বিমানবন্দরের আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ লোকমান হোসেন বলেন, ভোররাত থেকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে এই অঞ্চল। বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ ওঠানামার জন্য দৃষ্টিসীমা কমপক্ষে ২ হাজার মিটার থাকতে হবে। কিন্তু বেলা ১১টায় সৈয়দপুর বিমানবন্দরের রানওয়েতে দৃষ্টিসীমা ছিল মাত্র ২০০ মিটার, যা উড়োজাহাজ ওঠানামার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। ঘন কুয়াশা কেটে যেতে দুপুর ২টা পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। এ ছাড়া এই অঞ্চলে সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে বিমানবন্দরে আটকে পড়া যাত্রী দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার মোজাফফর হোসেন বলেন, সকাল ১০টা থেকে বিমানবন্দরে অবস্থান করছি। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় সময়মতো ঢাকায় যেতে পারছি না। বিশেষ প্রয়োজনে ঢাকায় যেতে হচ্ছে এবং কাজ শেষে সন্ধ্যার ফ্লাইটে ফেরত আসার টিকিট করা রয়েছে। অথচ এখনো যেতেই পারলাম না। কখন যে ফিরবো! সৈয়দপুর বিমানবন্দরের ম্যানেজার সুপ্লব কুমার ঘোষ বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামা ব্যাহত হয়েছে। সকাল ১০টা ৫০ মিনিট থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে ওই সব ফ্লাইট সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করার সময়সূচি থাকা ইউএস-বাংলা, নভোএয়ার ও বাংলাদেশ বিমানের তিনটি ফ্লাইট ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করেনি। তবে এসব ফ্লাইট বাতিলের আশঙ্কা এখনো নেই। কুয়াশা কেটে গেলে ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক হবে। তার পরও বেলা ২টার আগে ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানান তিনি। আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম বলেন, সকাল ৬টা ও ৯টায় এখানে সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিনি বলেন, কুয়াশা থাকায় এখন সূর্যের দেখা মিলছে না। এদিকে শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দুর্ভোগও বেড়েছে নি¤œ আয়ের মানুষের। তীব্র শীত ও কুয়াশা উপেক্ষা করেও সকাল থেকে কাজে বের হয়েছেন তারা। বলছেন, জীবিকার তাগিদে যত কষ্টই হোক ঘরে থাকার উপায় নেই। সৈয়দপুরে পেপার বিক্রেতা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘন কুয়াশায় আর ঠান্ডায় হাত পা বরফ হয়ে যাচ্ছে। বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। সকাল ৬টায় পত্রিকার নেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে বাজারে এসেছি। এখন গাড়ির কোন খবর নাই। শহরের নওশাদ ফুল বিতানের মালিক নওশাদ বলেন, কয়েক দিন থেকে ঠান্ডার কারণে ফুলের বেচাকেনা নেই। যে ফুল নিয়ে এসেছি। সেগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। জমানো টাকা খরচ করে সংসার চালাচ্ছি। এ রকম আবহাওয়া থাকলে পথে বসতে হবে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন বলেন, যেহেতু তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি নিচে নামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশনা আছে তাই উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখা হয়েছে। প্রসঙ্গত, তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামায় প্রাথমিক বিদ্যালয় ৭৮টি মাধ্যমিক ও মাদরাসা ৭৮টি স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামী ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।