ঢাকা ০৮:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

গ্রিসে দাবানল আরও ভয়াবহ, নিহত ১০

  • আপডেট সময় : ১২:৩৫:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ অগাস্ট ২০২১
  • ১২৩ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :দক্ষিণ ইউরোপের কয়েকটি দেশে ভয়াবহ দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। গ্রিস এবং তুরস্কে এর মাত্রা সবচেয়ে বেশি। গতকাল সোমবার পর্যন্ত দাবানলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গ্রিস। ঘরছাড়া কয়েক হাজার মানুষ। মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১০ জনের। তাদের মধ্যে একজন দমকলকর্মী। ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন অনেক মানুষ।

গ্রিসের দাবানল গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক রূপ নিয়েছে। শনিবার রাত থেকে ভয়াবহ আকার ধারণ করে এই দাবানল। দ্রুত এলাকা থেকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে বাসিন্দাদের। সহায়-সম্বলহীন অবস্থায় ঘর ছাড়ছেন তারা।

গত কয়েকদিনে গ্রিসে মোট ১৫৪টি দাবানল শুরু হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ৬৪টি নেভানোর চেষ্টায় রয়েছে গ্রিস। বহু এলাকা থেকেই মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয়েছে হেলিকপ্টার, বিমানও।

ইতোমধ্যে তিনশো দমকল, ৩৫টি ফায়ার ট্রাক, দশটি বিমান আগুন নেভানোর কাজে নামানো হয়েছে। উদ্ধার কাজে নেমেছে সেনাবাহিনী। এই পরিস্থিতির জেরে গ্রিসের গড় তাপমাত্রা ৪২ থেকে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। ১৯৮৭ সালের পর থেকে সেখানে এত গরম কখনও পড়েনি।

দাবানলের জেরে পুড়ছে দক্ষিণ ইউরোপ। ইতালির সিসিলিতে প্রথম দাবানল শুরু হয়। এখন সেই দাবানল দেশটির বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ছে। শত চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। দাবানলে পুড়ে যাচ্ছে পুরো বন। ধ্বংস হচ্ছে ঘরবাড়ি। হাজার হাজার মানুষ পালাচ্ছেন নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে।

এছাড়া তুরস্কের ৩০টি অঞ্চলে ১৩৭টি দাবানলের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ১১টি বড় আগুন এখনও জ্বলছে। পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে, তা এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

গ্রিসে দাবানল আরও ভয়াবহ, নিহত ১০

আপডেট সময় : ১২:৩৫:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ অগাস্ট ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :দক্ষিণ ইউরোপের কয়েকটি দেশে ভয়াবহ দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। গ্রিস এবং তুরস্কে এর মাত্রা সবচেয়ে বেশি। গতকাল সোমবার পর্যন্ত দাবানলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গ্রিস। ঘরছাড়া কয়েক হাজার মানুষ। মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১০ জনের। তাদের মধ্যে একজন দমকলকর্মী। ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন অনেক মানুষ।

গ্রিসের দাবানল গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক রূপ নিয়েছে। শনিবার রাত থেকে ভয়াবহ আকার ধারণ করে এই দাবানল। দ্রুত এলাকা থেকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে বাসিন্দাদের। সহায়-সম্বলহীন অবস্থায় ঘর ছাড়ছেন তারা।

গত কয়েকদিনে গ্রিসে মোট ১৫৪টি দাবানল শুরু হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ৬৪টি নেভানোর চেষ্টায় রয়েছে গ্রিস। বহু এলাকা থেকেই মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয়েছে হেলিকপ্টার, বিমানও।

ইতোমধ্যে তিনশো দমকল, ৩৫টি ফায়ার ট্রাক, দশটি বিমান আগুন নেভানোর কাজে নামানো হয়েছে। উদ্ধার কাজে নেমেছে সেনাবাহিনী। এই পরিস্থিতির জেরে গ্রিসের গড় তাপমাত্রা ৪২ থেকে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। ১৯৮৭ সালের পর থেকে সেখানে এত গরম কখনও পড়েনি।

দাবানলের জেরে পুড়ছে দক্ষিণ ইউরোপ। ইতালির সিসিলিতে প্রথম দাবানল শুরু হয়। এখন সেই দাবানল দেশটির বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ছে। শত চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। দাবানলে পুড়ে যাচ্ছে পুরো বন। ধ্বংস হচ্ছে ঘরবাড়ি। হাজার হাজার মানুষ পালাচ্ছেন নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে।

এছাড়া তুরস্কের ৩০টি অঞ্চলে ১৩৭টি দাবানলের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ১১টি বড় আগুন এখনও জ্বলছে। পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে, তা এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না।