ঢাকা ০৮:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫

গ্রাহকের ৪২ কোটি টাকা আত্মসাৎ, প্রিমিয়ার ব্যাংকের ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলাগ্রাহকের ৪২ কোটি টাকা আত্মসাৎ, প্রিমিয়ার ব্যাংকের ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলাগ্রাহকের ৪২ কোটি টাকা আত্মসাৎ, প্রিমিয়ার ব্যাংকের ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

  • আপডেট সময় : ০২:৩৩:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর ২০২২
  • ৯৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেডের গুলশান শাখা থেকে অর্ধশতাধিক গ্রাহকের এফডিআর ও বিভিন্ন সঞ্চয় হিসাবের ৪২ কোটি ৩৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ব্যাংকটির ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। কমিশনের সহকারী পরিচালক আজিজুল হক গত সোমবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি করেন বলে উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক জানান।
আসামিরা হলেন- প্রিমিয়ার ব্যাংক শুলশান শাখার বরখাস্ত এসভিপি অ্যান্ড অপারেশন ম্যানেজার এ এম ওমর খসরু, সাবেক এসইও অ্যান্ড জেনারেল ব্যাংকিং অফিসিয়াল আকবর হোসেন, সাবেক জেএভিপি অ্যান্ড জিবি ইনচার্জ কাজী কাওসার হোসেন, সাবেক জেএভিপি অ্যান্ড ইমপোর্ট ইনচার্জ মো. সাহেদ হোসেন, সাবেক জেএডিপি ও রিলেশনশিপ ম্যানেজার মো. মঞ্জুর হাসান ও সাবেক জুনিয়র অফিসার (বৈদেশিক বাণিজ্য) রুহুল আমিন। এজাহারে বলা হয়, আসামিরা ‘পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে’ ব্যাংকের সিস্টেম লেনদেনের আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে ২০১৬ সাল থেকে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত সময়ে এফডিআর, এসডিএস ও এসএনডিসহ বিভিন্ন সঞ্চয়ী খাতের মুনাফাসহ ৪২ কোটি ৩৭ লাখ ৮৫ হাজার ৮৬৯ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। ব্যাংকটির গুলশান শাখার ৫৯ গ্রাহকের হিসাব থেকে এসব অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে উল্লেখ করে মামলায় বলা হয়, “গ্রাহকের নামে থাকা চারটি এফডিআরে জমা থাকা এক কোটি ২৫ লাখ ৩৫ হাজার ১২২ টাকা, ২২টি পে-অর্ডারের দুই কোটি ৭৩ লাখ ৬৭ হাজার ৩১২ টাকা এবং ৫৯ গ্রাহকের নামে থাকা ব্যাংক হিসারের ৬১৩টি চেক ও একটি ক্রেডিট ভাউচারের ৩৮ কোটি ৩৮ লাখ ৮৩ হাজার ৪৩৫ টাকা মিলিয়ে মোট ৪২ কোটি ৩৭ লাখ ৮৫ হাজার ৮৬৯ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন আসামিরা।”
ব্যাংকের এসব হিসাব থেকে ওই অর্থ বিভিন্ন নামের হিসাবে স্থানান্তর করে এফডিআর হিসাবে এনে নগদায়ন করা হয়েছে বলে মামলায় বলা হয়েছে। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দ-বিধির ৪২০/৪০৯/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

গ্রাহকের ৪২ কোটি টাকা আত্মসাৎ, প্রিমিয়ার ব্যাংকের ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলাগ্রাহকের ৪২ কোটি টাকা আত্মসাৎ, প্রিমিয়ার ব্যাংকের ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলাগ্রাহকের ৪২ কোটি টাকা আত্মসাৎ, প্রিমিয়ার ব্যাংকের ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

আপডেট সময় : ০২:৩৩:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেডের গুলশান শাখা থেকে অর্ধশতাধিক গ্রাহকের এফডিআর ও বিভিন্ন সঞ্চয় হিসাবের ৪২ কোটি ৩৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ব্যাংকটির ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। কমিশনের সহকারী পরিচালক আজিজুল হক গত সোমবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি করেন বলে উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক জানান।
আসামিরা হলেন- প্রিমিয়ার ব্যাংক শুলশান শাখার বরখাস্ত এসভিপি অ্যান্ড অপারেশন ম্যানেজার এ এম ওমর খসরু, সাবেক এসইও অ্যান্ড জেনারেল ব্যাংকিং অফিসিয়াল আকবর হোসেন, সাবেক জেএভিপি অ্যান্ড জিবি ইনচার্জ কাজী কাওসার হোসেন, সাবেক জেএভিপি অ্যান্ড ইমপোর্ট ইনচার্জ মো. সাহেদ হোসেন, সাবেক জেএডিপি ও রিলেশনশিপ ম্যানেজার মো. মঞ্জুর হাসান ও সাবেক জুনিয়র অফিসার (বৈদেশিক বাণিজ্য) রুহুল আমিন। এজাহারে বলা হয়, আসামিরা ‘পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে’ ব্যাংকের সিস্টেম লেনদেনের আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে ২০১৬ সাল থেকে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত সময়ে এফডিআর, এসডিএস ও এসএনডিসহ বিভিন্ন সঞ্চয়ী খাতের মুনাফাসহ ৪২ কোটি ৩৭ লাখ ৮৫ হাজার ৮৬৯ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। ব্যাংকটির গুলশান শাখার ৫৯ গ্রাহকের হিসাব থেকে এসব অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে উল্লেখ করে মামলায় বলা হয়, “গ্রাহকের নামে থাকা চারটি এফডিআরে জমা থাকা এক কোটি ২৫ লাখ ৩৫ হাজার ১২২ টাকা, ২২টি পে-অর্ডারের দুই কোটি ৭৩ লাখ ৬৭ হাজার ৩১২ টাকা এবং ৫৯ গ্রাহকের নামে থাকা ব্যাংক হিসারের ৬১৩টি চেক ও একটি ক্রেডিট ভাউচারের ৩৮ কোটি ৩৮ লাখ ৮৩ হাজার ৪৩৫ টাকা মিলিয়ে মোট ৪২ কোটি ৩৭ লাখ ৮৫ হাজার ৮৬৯ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন আসামিরা।”
ব্যাংকের এসব হিসাব থেকে ওই অর্থ বিভিন্ন নামের হিসাবে স্থানান্তর করে এফডিআর হিসাবে এনে নগদায়ন করা হয়েছে বলে মামলায় বলা হয়েছে। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দ-বিধির ৪২০/৪০৯/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।