ঢাকা ০৭:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫

গ্রাম পর্যায়ে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করছি: প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট সময় : ০২:১২:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ জুলাই ২০২১
  • ১৬৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একেবারে গ্রাম পর্যায়ে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার। সেখানে সবার শুধু রেজিস্ট্রেশন করতে হবে তা নয়, আইডি কার্ড দেখিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে সরাসরি টিকা নিতে পারবে সাধারণ মানুষ। সেজন্য স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীদের সহযোগিতা করারও আহ্বান জানান তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা। তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের মধ্যে একটা ভয় ও আতঙ্ক ছিল, যে টিকা নিলে কী হবে? অনেক কিছু হয়ে যাবে। নানা রকমের ভীতি ছিল। এখন সবাই আস্তে আস্তে সেই ভীতি কাটাচ্ছে। তবে একটা সমস্যা এখনও রয়েছে। যেটা আমি গ্রাম থেকে খবর পাই। কেউ করোনা টেস্ট করতে চায় না। তাদের ধারণা টেস্ট করলে, করোনা আছে শুনলে সে অচ্ছুত হয়ে যাবে, মানুষ মিশবে না—এই ভয় করে। কিন্তু এটা তো ঠিক না। টেস্ট করলে তার চিকিৎসা হবে, অন্যকে সংক্রমিত করবে না। নিজে বাঁচবে এবং অন্যকে বাঁচাবে—এই ধারণাটা মানুষের মধ্যে দিতে হবে। এটা আমাদের সকল নেতাকর্মী সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেবে। টিকা যদি দিয়ে দিতে পারি, তাহলে আর কোনও চিন্তা নাই। সেক্ষেত্রে করোনা হলেও বেশি ক্ষতি হচ্ছে না।
করোনাভাইরাস থেকে সকলের সুরক্ষিত থাকা দরকার জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ইতোমধ্যে টিকা যেখানে যা পাওয়া যাচ্ছে তা আমরা কিনছি। তার জন্য টাকাও রাখা আছে। প্রয়োজনে আরও টাকা খরচ করবো। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা মোতাবেক যারা টিকা নিতে পারবে, তার সবাই যাতে টিকা নিতে পারে সেই ব্যবস্থা আমরা করে দিচ্ছি। ইতোমধ্যে ১ কোটি ৮৭ লাখের কাছাকাছি টিকা দেওয়া হয়ে গেছে। আমরা আরও টিকা দিচ্ছি। শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে দেশের মানুষ অনুভব করতে পারলো যে, সরকার জনগণের সেবক। যেটা জাতির পিতা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে ঘোষণা দিয়েছিলেন। আমারও তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে চলি। আমরা জনগণের জন্য এবং তাদের কল্যাণের জন্য কাজ করবো। মঙ্গলের জন্য কাজ করবো। সরকার প্রধান শেখ হাসিনা আরও বলেন, আজ সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিন। তার দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। ১৯৭১ সালের এই দিনে জয়ের জন্ম হয়। সেই সময় আমরা পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর হাতে বন্দি ছিলাম। তারা আমাকে হাসপাতালে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু মাকে যেতে দেয়নি। আম্মাকে তারা বলেছিল হাসপাতালে ডাক্তার, নার্স আছেন, তারা দেখবেন। আপনি তো এগুলোর কিছুই না। আপনি গিয়ে কী করবেন? আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করি আমার ছেলেটা সুস্থভাবে জন্ম নিয়েছিল।

তিনি বলেন, এই সময়ে আমাদের দেশে ব্যাপকভাবে করোনাভাইরাস দেখা দিয়েছে। এটা গ্রাম পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়েছে। দুঃখজনক হলেও আজকে প্রায় দুবছর ধরে করোনার কারণে জয়ের সঙ্গে দেখা হয়নি। দেখা হচ্ছে না। স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

গ্রাম পর্যায়ে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করছি: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০২:১২:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ জুলাই ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একেবারে গ্রাম পর্যায়ে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার। সেখানে সবার শুধু রেজিস্ট্রেশন করতে হবে তা নয়, আইডি কার্ড দেখিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে সরাসরি টিকা নিতে পারবে সাধারণ মানুষ। সেজন্য স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীদের সহযোগিতা করারও আহ্বান জানান তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা। তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের মধ্যে একটা ভয় ও আতঙ্ক ছিল, যে টিকা নিলে কী হবে? অনেক কিছু হয়ে যাবে। নানা রকমের ভীতি ছিল। এখন সবাই আস্তে আস্তে সেই ভীতি কাটাচ্ছে। তবে একটা সমস্যা এখনও রয়েছে। যেটা আমি গ্রাম থেকে খবর পাই। কেউ করোনা টেস্ট করতে চায় না। তাদের ধারণা টেস্ট করলে, করোনা আছে শুনলে সে অচ্ছুত হয়ে যাবে, মানুষ মিশবে না—এই ভয় করে। কিন্তু এটা তো ঠিক না। টেস্ট করলে তার চিকিৎসা হবে, অন্যকে সংক্রমিত করবে না। নিজে বাঁচবে এবং অন্যকে বাঁচাবে—এই ধারণাটা মানুষের মধ্যে দিতে হবে। এটা আমাদের সকল নেতাকর্মী সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেবে। টিকা যদি দিয়ে দিতে পারি, তাহলে আর কোনও চিন্তা নাই। সেক্ষেত্রে করোনা হলেও বেশি ক্ষতি হচ্ছে না।
করোনাভাইরাস থেকে সকলের সুরক্ষিত থাকা দরকার জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ইতোমধ্যে টিকা যেখানে যা পাওয়া যাচ্ছে তা আমরা কিনছি। তার জন্য টাকাও রাখা আছে। প্রয়োজনে আরও টাকা খরচ করবো। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা মোতাবেক যারা টিকা নিতে পারবে, তার সবাই যাতে টিকা নিতে পারে সেই ব্যবস্থা আমরা করে দিচ্ছি। ইতোমধ্যে ১ কোটি ৮৭ লাখের কাছাকাছি টিকা দেওয়া হয়ে গেছে। আমরা আরও টিকা দিচ্ছি। শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে দেশের মানুষ অনুভব করতে পারলো যে, সরকার জনগণের সেবক। যেটা জাতির পিতা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে ঘোষণা দিয়েছিলেন। আমারও তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে চলি। আমরা জনগণের জন্য এবং তাদের কল্যাণের জন্য কাজ করবো। মঙ্গলের জন্য কাজ করবো। সরকার প্রধান শেখ হাসিনা আরও বলেন, আজ সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিন। তার দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। ১৯৭১ সালের এই দিনে জয়ের জন্ম হয়। সেই সময় আমরা পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর হাতে বন্দি ছিলাম। তারা আমাকে হাসপাতালে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু মাকে যেতে দেয়নি। আম্মাকে তারা বলেছিল হাসপাতালে ডাক্তার, নার্স আছেন, তারা দেখবেন। আপনি তো এগুলোর কিছুই না। আপনি গিয়ে কী করবেন? আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করি আমার ছেলেটা সুস্থভাবে জন্ম নিয়েছিল।

তিনি বলেন, এই সময়ে আমাদের দেশে ব্যাপকভাবে করোনাভাইরাস দেখা দিয়েছে। এটা গ্রাম পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়েছে। দুঃখজনক হলেও আজকে প্রায় দুবছর ধরে করোনার কারণে জয়ের সঙ্গে দেখা হয়নি। দেখা হচ্ছে না। স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।